মানবতার গান গেঁয়ে যায়-তারুণ্যের প্রেরণায়
যুগে যুগে ন্যায় ও সত্যের জন্য সংগ্রাম করে যারা জীবন উৎসর্গ করে। নব জীবনের সঙ্গীত রচনার ভার যাদের উপর তারাই যুবক। যারা অসাধারণ সুন্দরের স্রষ্টা,অকল্পনীয় অসহনীয় ভাঙ্গনের প্রমিথিউস,অসাধ্য সাধনের কারিগর তারাই যুবক। যেখানে প্রতিকারহীন মানবতা বার বার অশ্র“ ঝরিয়ে বোবা কান্নায় মুষড়ে পড়ে, সেখানেই সে রুপান্তর সিংহ দিলীয় যোদ্ধা পুরুষে। যারা বয়সে নবীন ,মন যাদের বিশ্বাসে ভরপুর,যাদের কাধে ভবিষ্যতের রঙিন স্বপ্ন,যারা অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না,পুরাতনকে ভেঙ্গে চুরে নতুন কিছু গড়তে চায় সেই তরুণ।
তারা বুঝে কাজ আর কাজ সৃষ্টি আর গড়া। সৃষ্টি সুখের উল্লাসে সে মেতে উঠে। রাত কিংবা দিন,মরু কিংবা সাগর কিছুই তার পথের বাধাঁ হয়ে দাড়াতে পারে না। যৌবনাবেগে সে সকল কিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায় সকল কিছু। সমস্ত ভয়ংকরকে অতিক্রম এক অসম্ভব সুন্দর তার হাতের তলোয়ার।
কালো অসুন্দর,অসহনীয় ভয়ংকরকে সে ধ্বংস করে সেই সুন্দর আয়োজনের মাধ্যমে। তারা দেশ ও পৃথিবীর প্রাণ। মুসলিম জাতির গৌরব। জাতিসংঘ তারুণ্যকে ২৫ বছর ব্যাপী এক সুন্দর সময় হিসাবে চিহিৃত করেছে। ১৫ থেকে ৪০ এর মধ্যকার টগবগে ২৫ টি বছর তাদের মতে তারুণ্য।
বুদ্ধি যিনি ,তিনি যৌবনকে সুপথে চালিত করেন এবং তার সাহায্যে জগতের আশ্চর্য আশ্চর্য কাজ করেন। জাতির যৌবনকে ব্যবহার করতে শেখ-তুমি জাতির পরম কল্যাণ করতে পারবে। যুবকের বড় সুন্দর বড় মধুর যে ওকে ব্যবহার করতে শিখেছে,সেই জগতের রাজা হতে পেরেছে। কিন্তু যুব সমাজ যখন অবয়ের পথে পা বাড়ায়,তখন তা জাতির জন্য ভয়ংকররুপ ধারণ করে। তাদের বিপদগামিতার কারণে জাতীয় জীবনে নেমে আসে চরম অন্ধকার।
যৌবনের পরম দানকে কামুকতায় ,শুক্রয়ে ,পাপের পথে নষ্ট করে ফেল না। স্থবির হয়ে জীবনের পরম সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হয়ো না। যৌবনের বলহারা যে হল; সে রাজ্য হারা হলো। যৌবন শক্তির সদ্ব্যবহার করো। মহাকালে ঐশ্বরিক কার্যে তোমার যৌবনকে ব্যবহার করো।
তোমার জীবনে বসন্ত জেগেছে ,এ বসন্ত কি বৃথা হয়ে যাবে তোমার কাছে? তাই নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে না বলো-
১.মিথ্যা ঃ মিথ্যা হচ্ছে সকল পাপের মূল। পৃথিবীর সকল অঘটন ও অশান্তির মূল কারণ এ মিথ্যাবাদিতা। মিথ্যার কারণে পরস্পরের মধ্যে অবিশ্বাসের বীজ রোপিত হয়। সমাজা ও রাষ্ট্র অশান্তিতে ভরে উঠে এ মিথ্যার কারণে। তাই মিথ্যাকে মহাপাপ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
এ মিথ্যা সুন্দর যৌবনকে অসুন্দরে পরিণত করে। কলংকময় করে জীবনকে ,তাই আসুন আমরা আজ থেকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই ,মিথ্যাকে না বলবো। জীবন দেবো তবুও মিথ্যা বলবো না। সকল প্রকার মিথ্যাকে আমরা প্রতিরোধ ও প্রতিহত করবো এবং এমন একটি সমাজ গড়ে তুলবো যেখানে মিথ্যার কোন লেশও থাকবে না। এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
২.ধূমপান ঃ ধূমপান এক ধরনের নেশা। সাধারণভাবে ধূমপানকে সামাজিক অপরাধ হিসাবে দেখা হয় না। কিন্তু সকল মাদকাসক্তির প্রাথমিক স্তর হচ্ছে ধূমপান। তাই ধূমপানকে বিষপানের চেয়েও মারাত্বক বলা হয়। কারণ,বিষপানে জীবনের তাৎনিক মৃত্যু ঘটে।
কিন্তু ধূমপানে মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মরে। ধূমপান একটি বাজে অভ্যাস;অপচয় ও পরিচ্ছন্নতা পরিপন্থি কাজ। ধূমপানের তিকর দিক উপলব্ধি করে প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী বলেছেন –“উৎরহশ ঢ়ড়রংধহ নঁঃ ষবধাব ংসড়শরহম” ধূমপান হচ্ছে মানব জীবন ধ্বংসকারী একটি নেশা। মানুষ যে কোন নেশায় একবার অভ্যাস্ত হলে তা আর সহজে পরিত্যাগ করতে পারে না। ধূমপায়ীদের মুখে দু’মঠো অন্ন না জুটলেও তারা এক কাঠি সিগারেটের জন্য পাগলপারা হয়ে ওঠে।
ধূমপান ব্যাক্তি,সমাজ ও জাতির জন্য এক জীবন্ত অভিশাপ। কারণ ধূমপানের মূল উপকরণ অত্যান্ত তিকর। এর মূল উপাদান হলো তামাক ও গাঁজা পাতা। তাই ধূমপান এমন এক অভিশপ্ত অভ্যাস,যা জীবনের জন্য ধ্বংস ডেকে আনে। এ-অভিশাপ আমাদের সমাজকেও গ্রাস করেছে।
একটি জ্বলন্ত সিগারেট থেকে প্রায় কয়েক হাজার তিকর রাসায়নিক উপাদান নিগর্ত হয়। সেগুলোর মধ্যে নিকোটিন সবচেয়ে মারাত্মক বিষ। ধূমপান থেকে যক্ষ্মা,হাঁপানি ইত্যাদির মতো রোগ সৃষ্টি হয়। ক্যান্সারের মতো দূরারোগ্য ব্যাধিতে ও ধূমপানের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তাছাড়া সুস্থ-সবল দেহের জন্য ধূমপান সব সময়ই তিকর।
এটা শুধূ শারিরীক তিই বরে না ,মানসিক বিভিন্ন সমস্যার জন্ম দেয়। সুস্থ মন মানসিকতাকে নষ্ট করে দেয়। প্রকৃতপে ধূমপানের ক্রমাগত নেশাই ধীরে ধীরে মানুষকে মাদকাসক্তের দিকে নিয়ে যায়। এ জন্য বলা হয়েছে –“ংসড়শরহম রং ঃযব ভরৎংঃ ংঃবঢ় ড়ভ রহঃড়ীরপধংঃ”। এক নির্ভরযোগ্য গবেষনায় দেখা গেছে সমবয়স্ক ও সমপর্যায়ের ধূমপায়ীদের মধ্যে আচরণের অস্বাভাবিকতা অনেক বেশি।
ধূশপায়ী মানুষ খুব সহজে ধার-কর্জ,এমনকি অন্যের কাছে হাত পাততেও দ্বিধাবোধ করে না। যা ব্যাক্তিত্বের জন্য খুবই তিকর। ধূমপায়ীদের মধ্যে এক ধরনের অপরাধবোধ কাজ করে,যা আমাদের সমাজ জীবনকে কলংকিত করে। মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা “মানস”এর এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে-দেশে প্রতি সাড়ে ৬ সেকেন্ডে একজন করে ঘন্টায় ৪৫০ জন মাদকাসক্ত বা ধূমপায়ীর মৃত্যু হয়। এতে আরো বলা হয়েছে-একটি সিগারেটে ক্যান্সার উৎপাদক ২৮ টি উপাদান রয়েছে।
একজন নারী ধূশপায়ীর হৃদরোগ হওয়ার আশংকা শতকরা ১ ভাগ। বাংলাদেশে ২০ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ধূমপায়ীর সংখ্যা শতকরা ৮৯ জন। যার অধিকাংশই শির্থী। বিশেষ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রদের মধ্যে সিগারেট খাওয়ার প্রবণতা বেশি। শুধুমাত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রতিদিন ৭৩ হাজার ৮৬৬ টাকার সিগারেট বিক্রি হয়।
অনেকে এটাকে স্মার্টনেস মনে করে। ধূমপায়ীদের মধ্যে গড়পরতা শতকরা ৪২ জন কোন না কোন অপরাধের সাথে জড়িত। এছাড়া ঢাকা শহরের কলেজ-বিশ্ববিধ্যালয়ের ৫ হাজারেরও অধিক ছাত্রী মারাত্মক পর্যায়ে মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে পড়েছে। তাই হে যুবক এসো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই-
ধূমপান করবনা, অকালে মরব না।
৩.মাদক ঃ বর্তমান বিশ্বে সমগ্র মানব জাতির জীবন ও সভ্যতার অত্যন্ত বড় হুমকি হলো ড্রাগ বা মাদকাসক্ত।
এটি একটি অভ্যাসগত রোগএবং ধীরে ধীরে তা মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। ড্রাগের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ মতা নি:শেষ হয়ে যায়। ক্রমশ ভোতা হয়ে পড়ে তাদের মনন শক্তি। েিদ পায় না,হাসি-কান্নার বোধ থাকে না,ওজন কমে যায় এবং অবশেষে মৃত্যুর কোল ঢলে পড়ে। ড্রাগ পৃথিবী বিধ্বংসী নিরাময়ের অযোগ্য জীবনহনন কারী এইডস রোগ উৎপত্তির অন্যতম প্রধান কারণ।
সুন্দর পৃথিবী গড়ার কারিগর সম্ভবাময়ী যুব স¤প্রদায়কে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছে এ ড্রাগ। ড্রাগের কারণে আজ বুকফাটা কান্নায় পৃথিবীর আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠে। আর্ত হাহাকারে রাতের অন্ধকার আরো নি:সঙ্গ ও বেদনার্ত হয়ে উঠে,পরিবার গুলোতে অকালে শোকের ছায়া,শ্মশানের হাহাকার। কি সেই ভয়াবহ নেশা যা মায়ের বুক থেকে সন্তানকে ছিনিয়ে নেয় চিরতরে। আজ অধিকাংশ পরিবারেই এক ভয়ংকর আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
নেশার টাকা যোগাতে ব্যর্থ পিতা-মাতা খুন হচ্ছে সন্তানের হাতে। নেশাগ্রস্ত সন্তানের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য সন্ত্রাসী ভাড়া করে মায়ের সন্তান হত্যা। আমরা আজ এমনই এক রুঢ় নিষ্টুর সময়ের মখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়েছি। শিকার হয়েছি এক গভীর ষড়যন্ত্রের। যুদ্ধ পৃথিবীকে ধ্বংস্তুপে,জীবানু যুদ্ধ,পারমানবিক যুদ্ধ,রাসায়নিক যুদ্ধের পর এবার ড্রাগ বা নেশার যুদ্ধ।
এই নেশা যুদ্ধের কবলে পড়েছে ল ল যুব সমাজ। অসার হতে চলেছে আমাদের প্ল্যান পরিকল্পনা। যুব শক্তিই দেশ ও পৃথিবীর প্রাণ। কিন্তু তারা নেশার ঘোরে ঢলে পড়ছে মৃত্যুর কোলে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৭০ ল মাদকাসক্ত রয়েছে।
তারাই দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির মূল অন্তরায়। এদের মধ্যে ৭০ ভাগ হিরোইন বা ব্রাউন সুগারে আসক্ত আর ৩০ ভাগ ফেন্সিডিলে আসক্ত। এনএসপি ২০০৭ সালের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে এইচআইভি /এইডস এর জন্য অধিক ঝঁকিপূর্ণ এন্ট্রভেনাস ড্রাগ ইউজার রয়েছে ২০-৫০ হাজার। এক গবেষনায় দেখা যায়-ঢাকা শহরের বিভিন্ন উচ্চ শিা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের যাদের বয়স ১৫-৩০ বছরের মধ্যে সেসব যুবকদের ৭০% এবং যুবতীদের ৫০% নেশাগ্রস্ত। বাংলাদেশে ১০ লাখ লোক মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত যার অধিকাংশই তরুণ।
হে তরুণ এসো মাদকের সেই ভয়ংকর ছোবল থেকে নিজেকে,সমাজকে মুক্ত করি এবং মাদকমুক্ত সমাজ ও শিাঙ্গন গড়ে তোলি। এটাই হোক তোমাদের কাছে আগামী প্রজন্মের প্রত্যাশা।
৪.নকল ঃ শিাই জাতির মেরুদন্ড। কিন্তু নকল নামক এ ব্যাধিটি জাতির এ মেরুদন্ডকে দূর্বল করে দিচ্ছে। ফলে দেশ ও পৃথিবীতে আমরা পিছিয়ে পড়ছি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়।
নকল হচ্ছে মানব জীবনের এক অভিশাপ,এ অভিশাপের কবলে পড়ে দেউলিয়া হতে চলেছে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম। নকল করা চরম নির্লজ্জের কাজ। যা শিার্থীর শিাজীবনকে বিপন্ন করে তোলে। লাঞ্ছিত সমাজ ও শিা প্রতিষ্ঠানে। নকলের কারণে আমাদের দেশের বেকারত্বের সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।
তাই এসো হে যুবক নকলমুক্ত সমাজ, শিাঙ্গন ও রাষ্ট্র গঠনে আমরাই নেতৃত্বের ভৃমিকা পালন করি।
৫.দূর্নীতি ঃ শিা যেমন জাতির মেরুদন্ড তেমনি অর্থনীতি দেশের মেরুদন্ড। সকল উন্নয়নের মূল চাবিকাটি অর্থনীতি,আর সেখানে যদি দূর্নীতি বাসা বাঁধে তাহলে জাতির ভাগ্যে নেমে আসে অন্ধকার। তৃতীয় বিশ্বের গরীব দেশগুলোতে ুধা ও দারিদ্রতার পাশাপাশি দূর্নীতি তিলে তিলে নি:শেষ করে দিচ্ছে আমাদের উন্নয়ন ও উৎপাদনকে। আর এ সুযোগে সাম্রাজ্যকাদ তাদের উপর চেপে বসছে।
যে সমস্ত দেশ উন্নতির উচ্চ শিকড়ে আরোহন করেছে,সেখানে দূর্নীতি নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমেই তা সম্ভব হয়েছে। দূর্নীতির কারণে ছাত্রদের ক্যারিয়ার জীবনেও ধস নামে। ফলে বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দূর্নীতির কারণে আমাদের দেশ ৩৮ বছর আগে স্বাধীন হয়েও মাথা উচঁ করে দাঁড়াতে পারছে না। আমাদের দেশকে দূর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়াল করার েেত্র রাজনীতিবিদরাই প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।
তাই দেশ ও জনগনের স্বার্থে দেশের প্রধান শক্র দূর্নীতিকে নির্মূল করতে হবে। আর এেেত্র তরুণ সমাজেকই মূল ভূমিকা পালন করতে হবে। আসুন আমরা শপথবদ্ধ হই আজ থেকে কোন প্রকার দূনীতির সাথে জড়িত হব না এবং দূর্নীতিকে প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে মূল ভূমিকা পালন পালন করব। দূর্নীতি সোনার বাংলা আমরা দেশবাসীকে উপহার দেবো,এটাই হোক যুব সমাজের অঙ্গীকার।
৬.অশ্লীলতা ঃ অশ্লীলতা আমাদের যুব সমাজকে তিলে তিলে নি:শেষ করে দিচ্ছে।
সদা ক্রিয়াশীল এ স¤প্রদায়কে রুগ্ন করে দিচ্ছে এ অশ্লীলতা। পৃথিবীময় সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদীরা মানুষকে/যুব সমাজকে এক শ্রেণীর যৌন জীব হিসাবে পরিচিত করানোর,এবং সেই হিসাবে বাঁচিয়ে রাখার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। শোবিজ তারকাদের যুব সমাজের কাছে স্বপ্নের মানুষ হিসাবে উপস্থাপন ও প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষদেরকে তাদের মতো জীবন যাপনে অভ্যস্ত করানোর অপপ্রয়াস চলছে সর্বত্র। যুব সমাজের চরিত্র ধ্বংসের জন্য যৌন উত্তেজক উপকরণ,অশ্লীল সিডি,ভিসিডি,ম্যাগাজিন,ক্যাবল টিভি নেটওর্য়াক,পত্রপত্রিকা,পর্ণো ইত্যাদি গুলোকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে যুব সমাজের মনুষ্যত্বের শক্তিকে গলাপিপে হত্যা করে পশুত্ব শক্তিকে জাগিয়ে তোলা হচ্ছে।
ফলে দেশ ও সমাজ অবয়ের যাঁতাকলে নিিেপত হচ্ছে। অশান্ত গোটা পৃথিবী। বেড়ে যাচ্ছে খুন,ধর্ষণ,রাহাজানি,সন্ত্রাস ও যৌন নির্যাতন। তাই এসো হে যুব সমাজ নিজেদের স্বার্থে,দেশের স্বার্থে,সমাজের স্বার্থে এবং আগামী প্রজন্মের স্বার্থে অশ্লীলতাকে না,না,না বলি। গড়ে তুলি অশ্লীলতামুক্ত একটি নির্মল পৃথিবী।
যৌবন হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি সময়। নিজেকে বিকশিত করার সুবর্ণ সময় হচ্ছে এ যৌবন। বিশ্বজয় করার মোম সময় হচ্ছে এ তারুণ্য। কিন্তু দু:খ জনক হলে সত্য যে,বর্তমানে সেই তরুণ স¤প্রদায় অবয়ের জ্বরে আক্রান্ত। পৃথিবী গড়ার পরিবর্তে পৃথিবী ধ্বংসে ব্যস্ত।
কিন্তু মানুষ কি চিরদিনই বেচেঁ থাকে? যুব সমাজ মনে করে তারা অনেকদিন বাঁচবে?এ চিন্তা চেতনায় তারা পাপের পথে ডুবে থাকে। কিন্তু কত যৌবন অকালে জীবনের সাধ-আহলাদ,স্বপ্ন-আকাঙ্খা পূরণ না হতেই ব্যাধি,পীড়ায়,দুর্ঘটনায় কোথায় হারিয়ে যায়। এর চেয়ে মানব হিতে,সত্য প্রতিষ্ঠায়,ন্যায় যুদ্ধে গৌরবের মৃত্যুবরণ করাই তো ভাল। তাই হে যুবক! সমস্ত রিপুকে দমন করে ,যৌবনের তাবৎ সৌন্দর্য প্রভুর পাদপদ্মে নিবেদন কর। যে জীবন দুর্বল,বার্ধক্য ভারাক্রান্ত,জরাজীর্ণ,বলহীন সে জীবন কি আল্লাহর আরাধনার যোগ্য? তপস্যার প্রকৃষ্ট সময়ই যৌবন-হায়! এই যৌবনকালে যে প্রভূর ইবাদত ত্যাগ করে বিফলে কাটিয়ে দিল -আপে তার জন্য! তাই যৌবনকে রা ও নিষ্কলুষ করার জন্য ‘না’ বলি-মিথ্যা,ধূমপান,মাদক,নকল,দূর্নীতি ও অশ্লীলতাকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।