আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আগামীকাল শামসু চাচা ওরফে খালাত ভাই টুশকির জন্মদিন

............................................
ব্লগে আমার পোস্টে ওর টুশকি নিকের প্রথম কমেন্ট ছিল, “ চানাচুর তুমি তো খুব দুষ্টু। আগে তো জানতাম তুমি ছেলে খালি বান্ধবীর নিয়ে পোস্ট দিতা”!! কমেন্টটা দেখে ভেবেছিলাম স্কুল পড়ুয়া কোনো পিচ্চি হবে। তারপর তার পোস্ট থেকে ঘুরে আসলাম। দেখি শিশুসুলভ সব লেখা। একটা পোস্টের বিষয়বস্তু ছিল এরকম....কিভাবে বিরিয়ানি রাঁধে???..... ব্লগে ওর সাথে টুকিটাকি কথাবার্তা হত পোস্টে।

দেখি সে আমাদেরকে ভালোই চেনে। সব পোস্ট সম্পর্কে ভালোই আইডিয়া আছে। সবার সম্পর্কেই কম বেশি জানত সে। আমি তখন ভাবতাম এইটা আসলে কে?? ভুরু কুচকে ভাবতাম, কোনো পুরান পাপী টাপী না তো!! আমার ব্লগীয় এক বড় ভাইও গভীর সন্দেহ নিয়ে আমার আর আউলার সাথে কথা হলেই বলত, এই টুশকিটা আসলে কে?? একদিন আমি বললাম, সে যেই হোক...আমাদের সাথে তো আর খারাপ কিছু করছে না। তাই এত মাথা ঘামিয়ে লাভও নেই।

তবে সবার সন্দেহ ছিল যে ও আমাদের সবার ফেইসবুক ফ্রেন্ড। আরেকদিন নিবিড়ের সাথে ব্লগ আড্ডা শো-এর ঐ সময় ঐ বিষয়ক টুকিটাকি কথা বলে মোটামুটি ধারণা পেলাম টুশকি নামে আসলেই একজন মানুষ আছে যার আগে একটা নিক ছিল(অপ্রকাশিত)...কিন্তু সে তার নিজের নিকে ব্লগাতে আসছে। তারপর একদিন রাতে তানজু আপু, নিবিড় আর আমি একটা কনফারেন্সে কথা বলছিলাম। এরপর আমি খেতে যাওয়ার আগে সেখানে আউলাকে বসিয়ে দিয়ে গেছিলাম। ওই কনফারেন্স থেকে টুশকিকে অ্যাড করি।

সেদিন টুশকির সাথে কারোরই ভয়েসে কথা হয় নি কারণ সে কথা বলতে লজ্জা পাচ্ছিল আমিও কথা বলি নি কিন্তু তার মানে এই না আমি লজ্জা পাচ্ছিলাম!! আমাকে আসলে আউলা ফ্লোর দেয়নি সেদিন। কিন্তু টুশকি যে তার কণ্ঠ নিয়ে সদা-সর্বদাই বিব্রত থাকে এইটা আমি জানতাম না । আউলার জন্মদিনে টুশকি ওকে উইশ করতে ফোন দিয়েছিল.....তখন আউলার কাছে কাতর কণ্ঠে বলেছিল....আপু ফোন রাখি চানাচুর আমার কণ্ঠ শুনলে আমাকে ক্ষ্যাপাবে তবে মেয়েটা সারাদিন খাই খাই করে। কমেন্ট করতে গেলে খাওয়ার গল্প, এমনি গল্প করার সময় খাওয়ার গল্প, পোস্ট দিতে গেলে খাওয়ার গল্প, সব কিছুতেই খাই খাই করে। ওর আর আমার পাবনায় নতুন ইউনিভার্সিটি পড়তে যাবার কথা আছে।

ওর তো আবার একটু মাথা খারাপের মত আছে তাই ও ঠিক করেছে পাবনা মেন্টাল হসপিটালে রাতের বেলায় থাকবে। আর সকালে ডিম সেদ্ধ, কলা আর কি কি যেন নাশ্তা দেয় তা আমাকে খেতে দিবে। তবে এইটা মনে হয় এত দিনে সে ভুলে গেছে! ব্লগে একটা সময় ছিল যখন সারাদিনই দেখা যেত টুশকি ব্লগে পটপট করছে। কিন্তু কোনোদিনও কাউকে বুঝতে দেয়নি সে একজন অত্যন্ত ভাবুক প্রকৃতির কবি। আমি ফেইসবুকে তার কবিতা পড়ে টাশকি খেয়েছিলাম।

নিচে তার একটা কবিতা দিলাম একদিন আমাকে বলে, চানাচুর আমরা ছোট মানুষ। আমাদের জন্য ব্লগিং না। আমি বললাম, কে বলেছে আমরা ছোট? এই জিনিস আমাকে বলেছিস বলেছিস আর কাউকে বলিস না। কিন্তু ঘাউড়া টুশকি তা মানতে নারাজ। সে নিজেকে ছোটই ভাববে।

কিন্তু কিছু সিনিয়রদের সাথে সে এমনভাবে কথা বলে যেন তাদের চেয়ে সে সিনিয়র! মানে চরম দাম বাড়ানি চাল দেখায় তখন! আরেকদিন আমাকে বলে, তুই বেল তলায় যাবি ঠিক আছে কিন্তু মাথায় ক্যাপটা দিতিস! আমাকে দেখে তোর শিক্ষা হয় নাই? আমি ওর কথা শুনে আকাশ থেকে পড়েছিলাম। পরে যেই প্রেক্ষাপটে কথাটা বলেছিল সেটা বুঝতে পারার পর মাথায় ঢুকেছিল একটা ব্যাপার। আমি ওকে শামসু ডাকি ও আমাকে মতিন ডাকে। আমরা দুই খালাত ভাই। ও আমাকে ভাতিজা ডাকে...খালাত ভাই কীভাবে ভাতিজা হয় বুঝি নি তাই জিজ্ঞেস করেছিলাম কিন্তু উত্তর পাই নি।

তাই এখন আমি তাকে চাচাও ডাকি খালাত ভাইয়ের পাশাপাশি। আমার ধারণা ছিল ওর চেহারাটা হবে ঠিক সিক্স সেভেনে পড়া বাচ্চা মেয়েদের মত। কিন্তু ধারণা ভুল ছিল। ছোটবেলায় অনেক অনেক ছবি আঁকতাম। আজকে কোচিং থেকে আসার পর আজকে টুশকির ছবি আঁকার চেষ্টা করলাম।

ওর কিছু ছবি ছিল আমার কাছে সেগুলো সব হারিয়ে গেছে। না দেখে এক টানে এঁকেছি কিন্তু ডাইনি দুইটা হইছে। সেইগুলোই দিয়ে দিলাম ওর জন্মদিনে সামুকে অনেক ভালবাসি। কারণ সামু থেকেই টুশকির মত বন্ধুকে পেয়েছি। মানুষ হিসেবে তাকে কেন পছন্দ করি সেটা নাই বা বললাম।

দোয়া করি ওর জন্মদিন ওর জন্য সুন্দর কিছু বয়ে আনুক। শুভ জন্মদিন খালাত ভাই টুশকি ওরফে শামসু চাচা কৃতজ্ঞতা: বরাবরের মতই সাইফুর ভাইয়া
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।