আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খুন করেই পালিয়ে যায় তারা

পেশাদার কিলাররা খুন করে পালিয়ে যায় দুবাই, ভারত, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সুইডেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডায় অনেকে আশ্রয় নিয়ে আছেন। বিভিন্ন দেশের ভিসা তাদের থাকে অনেক আগে থেকেই। পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায় তারা নিমিষেই। সর্বশেষ যুবলীগ নেতা মিল্কি হত্যার দুই আসামি আরিফ ও চঞ্চল আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে।

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ভারতে থাকলেও দুবাইয়ে তার যাওয়া-আসা রয়েছে। জিসান রয়েছেন দুবাইতে। হারিস ভারত থেকে কানাডায় আশ্রয় নিয়েছেন। জয় রয়েছেন মালয়েশিয়ায়। গোলাম রসুল সাগর ওরফে টোকাই সাগর আছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

মাঝে-মধ্যে তিনি কানাডায় যান। বন্দীবিনিময় চুক্তি না থাকায় এসব সন্ত্রাসীকে ফিরিয়ে আনতে পারছে না সরকার।

সূত্র জানায়, শুধু শীর্ষ সন্ত্রাসী নয়, ছোট ও মাঝারি মাপের সন্ত্রাসীরাও এখন অঘটন ঘটিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান। তাদের টার্গেট থাকে সীমান্ত পাড়ি দেওয়া। দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা প্রথমে ভারতে গিয়ে অবস্থান নেন।

পরিস্থিতি বুঝে সেখানেই অবস্থান নিতে থাকেন। না হলে অন্য কোনো দেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা চালান।  

শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রওনা হন সীমান্ত এলাকার দিকে। সীমান্ত পেরিয়ে তিনি নিরাপদেই চলে যান ভারতে। বাংলাদেশের এই শীর্ষ সন্ত্রাসী এখন কলকাতাতেই রয়েছেন।

সেখান থেকে তিনি ফ্রান্সে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী তারই ছোট ভাই প্রকাশ রয়েছেন ফ্রান্সে। বিকাশ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকাকালেই তার ছোট ভাই প্রকাশকে কলকাতা থেকে ফ্রান্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। র্যাব ও পুলিশ সূত্র জানায়, তাদের তালিকায় ফেরারি ১৪ শীর্ষ সন্ত্রাসী রয়েছে, যারা নয় বছরেও গ্রেফতার হয়নি। পুরস্কার ঘোষিত এই দাগি সন্ত্রাসীরা পুলিশের খাতায় এখনো পলাতক।

এরা ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে। পুলিশ সদর দফতর ও র্যাবের ওয়েবসাইটে ফেরারি অপরাধী হিসেবে তাদের নাম-পরিচয় ও ছবি সংযুক্ত আছে। এদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই সন্ত্রাসীরা পলাতক থাকলেও থেমে নেই তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। ঢাকার অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করছে ফেরারি থেকেই।

সহযোগীদের মাধ্যমে চাঁদাবাজি, হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। কখনো সীমান্ত দিয়ে ঢুকে পড়ছে দেশে। মোবাইল ফোনে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের দিচ্ছে হুমকি। পলাতক সন্ত্রাসীদের মধ্যে তানভিরুল ইসলাম জয়, জাহাঙ্গীর ফেরদৌস ওরফে কালা জাহাঙ্গীর, ত্রিমতি সুব্রত বাইন, শামিম ওরফে আগা শামিম, প্রকাশ কুমার বিশ্বাস, মোল্লা মাসুদ, জাফর আহমেদ মানিক, জব্বার মুন্না মানিক, হারিস আহমেদ, আমিনুর রসুল সাগর ওরফে টোকাই সাগর, ইমাম হোসেন, ডাকাত শহীদ ও ফারুকুল ইসলাম কাজল অন্যতম। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে কালা জাহাঙ্গীর জীবিত না মৃত, তা এখনো রহস্যাবৃত।

দুই বছর আগে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান তাজ সিআইডিকে বলেছিল, কালা জাহাঙ্গীর জীবিত নেই, সে আত্দহত্যা করেছে। অন্য একটি মহল থেকে বলা হচ্ছে, পুলিশের চোখ এড়াতে কালা জাহাঙ্গীর আত্দহত্যার নাটক সাজিয়েছে। তবে কালা জাহাঙ্গীর জীবিত না মৃত, তা নিয়ে পুলিশের মধ্যেও দ্বিধা রয়েছে। কেননা র্যাব ও পুলিশের ওয়েবসাইটে এখনো কালা জাহাঙ্গীরকে ধরিয়ে দিতে হুলিয়া জারি আছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, ফেরারি এসব শীর্ষ সন্ত্রাসী বাদেও বড় মাপের আরও অন্তত দুই ডজন সন্ত্রাসী কলকাতায় আত্মগোপন করে আছে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।