কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....
ঘুষ একটি অলৌকিক বস্তু অনেকে চেয়ে নেয়। অনেকে না চাইতেই পায়। দুঃপক্ষের আন্ত সংযোগ এখানে একটা বড় ব্যাপার। সুবিধা এবং ভোগের ভিত্তিতে ঘুষের বেশ রকম ফের পরিলক্ষিত হয়। আমাদের দেশে ঘুষ একটি লালিত পালিত সরকারের আসকারায় দূর্ভেধ্য সরকারী কর্মকান্ড পরিচালনার একটি মারাত্বক চাবিকাঠি।
ঘুষ ছাড়া সরকারী অফিস একদিন চলে না।
দ্রুত গতিলয়ে কার্য সমাধা করার জন্যে অনেকে ঘুষ দেয়।
ঘুষের স্থান কাল পাত্র ভেদে অনেক ব্যাতিক্রম লক্ষ করা যায়।
অনেকে তৃতিয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর মাধ্যমে ঘুষ কালেকসন করে।
অনেকে আবার বাণিজ্য করে ।
সবচেয়ে বেশী ঘুষ পরিলক্ষিত হয় চাকুরি বাণিজ্যে। সেখানে চাকুরি পাইয়ে দেবার নাম করে চাকুরি বিক্রি করা হয়।
ঘুষ অযোগ্যদের জন্য সু-মধুর। আর যোগ্য লোক হয় বঞ্চিত।
এখন কি করে একজন ঘুষখোর ণবেল পাইতে পারে।
কয়দিন আগে আমাদের থানায় অপেন ডে হয়ে গেল। সেখানে কু-কর্মকরদের বেশ আপ্যায়িত করা হলো। যারা শুধু চামাচামি করে গেল । যারা প্রবলেম বলতে পারে তাদের কাউকে দাওয়াত ই দেয়া হলো না।
পরিবর্তন এবং ণবেল এর প্রয়োজনে ঘুষ খাওয়ার স্বীকৃতি প্রয়োজন।
সারা পৃথিবীতেই ঘুষ নামক বস্তুটি বিদ্যমান। সেখানে ব্যাতিক্রম হলো কর্মকর্তা বা কর্মচারিরা তার লিখা বই একটু বেশী টাকার বিনিময়ে অথবা কোন পণ্য বিক্রির মাধ্যমে ঘুষ খায়। এবং ঘুষ খেলে সেই কাজটি সরকারের ক্ষতি না করেও কাজটি করে দেয়।
আমাদের দেশে ঘুষ খাবে কিন্তু কাজ করবে না।
ইহা ঘুষের নামে একধরনের প্রতারনা।
ঘুষ নামক বস্তুটির অপমান । এই ঘুষকে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সরকারী নজরদারীতে নিয়ে আসা সম্ভব।
ধরে নেয়া গেল। কাল্পনিক.....
আমি কোন মামলা নিয়া থানায় কোন দারোগার কাছে গেলাম। সেই দারোগা আমার মামলা সরেজমিনে পর্যবেক্ষন করিয়া ,এবং সেই রাতে তিন প্যাকেট ব্যানসন খাইয়া সারা রাত্রি চিন্তা করিয়া আমার পক্ষে রায় যাওয়ার জন্যে যাবতীয় কার্য সমাধা করিয়া সেই দারোগা যদি থিংকিং চার্জ নেয় সেটা বৈধ না হয়ে পারে না।
কোন মানূষকে বিপদগ্রস্থ না করে নায্য বিচার পাওয়ার জন্যে পুলিশ সদা প্রস্তুত থাকা চাই। সেখানে পুলিশ যদি কোন আপস না করে অন্যান্য কার্যক্রমে ঘুষ চলতেই পারে।
আবার কোন কর্মকর্তা যদি আমার ফাইলের কোন কাজ রাষ্ট্রের কোনরুপ ক্ষতি না করে আমার ফাইল নিয়ে অনেক ঘাটাঘাটি করিয়া আমার ব্যাবসার উপকার হয় তাহলে আমি তাকে % দেব না কেন।
ঘুষ নেব এবং থিংকিং চার্জ বাবদ একটি রশিদ ধরাইয়া দিয়া এই ঘুষ কে ডঃ ইউনুস সাহেবের মতো জনপ্রিয় করিয়া ণবেল পুরুস্কার এর জন্যে মনোয়ন পাইতে চেষ্টা করা যাইতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।