আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কে এই রাজাকারের দালাল ড. পিয়াস করিম?

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। পিয়াস করিম, রাজাকারের ছাওয়াল সম্পর্কে তথ্য চাই। বলার পর এমন ঘটবে বুঝিনি..। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার ঢাকার শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দেয়া ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. পিয়াস করিমের বাবা ও নানা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী। তারা ছিলেন জেলা শান্তি কমিটির নেতা।

শুধু তাই নয় মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বাবা অ্যাডভোকেট এম এ করিম ও নানা জহিরুল হক লিল মিয়ার বাড়িতে গ্রেনেড চার্জ করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযুদ্ধের পর ড. পিয়াস করিমের বাবা অ্যাডভোকেট এম কে করিমকে দালালির অপরাধে দালালি আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি অনেকদিন কুমিল্লা কারাগারে বন্দি ছিলেন। ড. পিয়াস করিম কুমিল্লা শহরের জজকোর্ট রোডের অ্যাডভোকেট এম এ করিমের ছেলে। তার বাবা অ্যাডভোকেট এম এ করিম মুক্তিযুদ্ধের সময় জেলা শান্তি কমিটির নেতা ছিলেন।

তিনি মুসলিম লীগের রাজনীতি করতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি হোমনার রামপুরে। পিয়াস করিমের বাবা এম এ করিম বিয়ে করেন আরেক মুসলিম লীগ নেতা জহিরুল হক লিল মিয়ার মেয়ে বাচ্চুকে। জহিরুল হক লিল মিয়া এর আগে আওয়ামী মুসলীম লীগের সভাপতি ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে তিনি অংশ নেন।

ছিলেন যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় জহিরুল হক লিল মিয়া মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এ কারণে মুক্তিযোদ্ধারা কুমিল্লার জজকোর্টের উত্তর পাশে জহিরুল হক লিল মিয়ার বাড়ি এবং জজকোর্ট রোডের এম এ করিমের বাড়িতে গ্রেনেড চার্জ করেছিলেন। আর এ গ্রেনেড চার্জে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল কবির বীর প্রতীক, বাহার উদ্দিন রেজা বীর প্রতীক ও মুক্তিযোদ্ধা খোকন। বাহার উদ্দিন রেজা বীর প্রতীকের কাছ থেকে জানা গেছে, মেলাঘর থেকে কমান্ডার হায়দারের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধারা জহিরুল হক লিল মিয়া এবং এম এ করিমের বাসায় গ্রেনেড হামলা করা হয়।

তাদের বাড়িতে পাকিস্তানি বাহিনীর যাতায়াত ছিলো। তিনি জানিয়েছেন, কী পর্যায়ে গেলে একজন কমান্ডার তাদের বাড়িতে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তা বুঝে নিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলে দালাল আইনে গ্রেফতার হন ড. পিয়াস করিমের বাবা অ্যাডভোকেট এম এ করিম। তিনি অনেকদিন কুমিল্লা কারাগারে ছিলেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পর বাবাকে বাঁচাতে পিয়াস করিম কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগে নাম লেখান।

যদিও জেলা ছাত্রলীগে তার কোনো পদবি ছিল না। সে সময়ের জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রুস্তম আলী তার ছাত্রলীগে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পিয়াস করিম কুমিল্লা মডার্ন স্কুল, কুমিল্লা জিলা স্কুল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়াশুনার পর আমেরিকায় চলে যান। স্বাধীনবাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাডভোকেট রুস্তম আলীর কাছ থেকে জানা গেছে, পিয়াস করিম তার বাবাকে বাঁচাতে ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছিলেন কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত সাথে থাকেননি। তিনি জানান, পিয়াস করিম নকশালের রাজনীতির সাথেও যুক্ত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ড. পিয়াস করিম শুক্রবার রাতে এক টক শোতে শাহবাগের আন্দোলনকে অবৈধ আখ্যা দেন। এখবর শাহবাগে ছড়িয়ে পড়লে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাকে রাজাকারের দালাল আখ্যা দিয়ে বয়কটের ঘোষণা দেয়া হয়। লেখক: আবুল কাশেম হৃদয়,মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও সম্পাদক, দৈনিক কুমিল্লার কাগজ,সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা প্রেসক্লাব পিয়াস করীম এবং আসিফ নজরুলকে কিভাবে বয়কট করবেন-আপনি যদি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কোন ছাত্রের অভিভাবক হউন তাহলে রেজিষ্ট্রার অফিসে ফোন করে পিয়াস করীমের ব্যাপারে অভিযোগ করুন- আপনি যদি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ছাত্র বা ছাত্রী হউন তাহলে ডিপারটমেনট হেডের কাছে অভিযোগ জানান-পিয়াস করীমের ক্লাস বর্জন করুন- এমনকি ক্যাম্পাসের অন্যান্য টিচারদের পিয়াস করীমকে বয়কট করতে অনুরোধ করুন- পিয়াস করীমকে ক্যামপাসে দেখলএ তুই রাজাকার বলুন-শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ বেশী দুরে নয় আসুন আসিফ নজরুকলে ক্যাম্পাস ছাড়া করি- আসিফ নজরুলের ক্লাশ ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা বর্জন করুন! ঢাকা ইনভারসিটি সংহতি প্রকাশকারী টিচারদের আসিফ নজরুল কে বর্জন করতে আহবান জানান- আসিফ নজরুলকে শাহবাগ অন্চলে বিশ্ববিদ্যালয় যেতে দেখলে পথরোধ করুন- তুই রাজাকার বলুন! পিয়াস করীম এবং আসিফ নজরুল স্বাধীনতার শত্রু এদেরকে বর্জন করুন- বয়কট করুন- আর এর দায়িত্ব আপনারই!!  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।