আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আল কুরআনের কতিপয় সুরা ও তার ফযিলত

নিজে শিখি ও অপরকে জানাই সুরা ফাতিহা- একে উম্মুল কুরআন বা কুরআনের মা বলা হয় । এ সুরার ফযিলত অপরিসীম । ওযুর সহিত এ সুরা পাঠ করে যে কোন রোগীর দেহে ফুঁক দিলে , রোগমুক্তি হয় । নবীজী (সঃ) বিপদে পতিত ব্যক্তিকে এই সুরা পাঠ করিতে বলিতেন । সুরা বাকারাহ- নবী করীম সঃ বলিয়াছেন, যে ঘরে সুরা বাকারাহ পাঠ করা হয় সে ঘরে শয়তান প্রবেশ করিতে পারেনা ।

তিনি ইহাও বলিয়াছেন যে, তোমরা সুরা বাকারাহ পাঠ কর । ইহাতে খায়ের ও বরকত আছে । সুরা আল ইমরান- নিয়মিত এই সুরা পাঠ করিলে ঋণ হতে মুক্তি পাওয়া সহজ হয় । সুরা নিসা- রোজ নিয়ম মত কোন স্বামী এই সুরা ৭ বার করিলে স্ত্রী তাহাকে ভালবাসিবে আর স্ত্রী পাঠ করিলে স্বামী তাহাকে ভালবাসিবে । সুরা মায়িদাহ- দুর্ভিক্ষের সময় অধিক পরিমাণ এই সুরা পাঠে দুর্ভিক্ষ হতে নাজাত পাওয়া সহজ হয় ।

সুরা আন’আম – যে ব্যক্তি সুরা আন’আম একবার পাঠ করে, ফেরেশতাগণ তাহার গুনাহ মাফের জন্য দুয়া করিতে থাকেন । কঠিন মছিবতে পড়িয়া ইহা পাঠ করিলে মছিবত দুর হয় । সুরা আরাফ- যে ব্যক্তি এই সুরা পাঠ করিবে কিয়ামাতের দিন সে ব্যক্তি বাবা আদম আলাইহিস সালামের সাক্ষাৎ লাভ করিবে । জালিম হাকেম বা মহাজনের নিকট যাইতে হইলে এই সুরা তিন বার পাঠ করিয়া গেলে তাহার মন নরম হইবে । সুরা আনফাল- নবী করীম সঃ বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি প্রত্তেহ এই সুরা পাঠ করিবে , হাসরের দিন আমি সাক্ষ্য দিব যে এই ব্যক্তি মুনাফেকি হইতে পবিত্র ছিল ।

বিনা দোষে জেলে আবদ্ধ হইলে নিয়ম মত এই সুরা পাঠে মুক্তির উপায় মেলে । সুরা তওবাহ- রোজ একবার এই সুরা পাঠ করিলে ঈমান বহাল থাকে ও পাকা হয় । ওলী – দরবেশগণ এই সুরা পাঠ করিয়া এমন উপকারিতা লাভ করেন জাহা বাহ্য দৃষ্টিতে অসম্ভব বলিয়া মনে হয় । সুরা ইউনুস- এই সুরা হামেসা পাঠ করিলে জানের কষ্ট হয়না ও কবর আজাব মাফ হয় । কেহ দুঃখ – কষ্টে পতিত হইয়া ১৩ বার এই সুরা পাঠ করিলে তাহা হইতে মুক্তি মেলে ও বিবাদের সময় ইহা ২১ বার পাঠ করিলে দুশমনের উপর বিজয়লাভ হয় ।

সুরা ইউসুফ- চাকুরী ছুতিয়া গেলে প্রত্তেহ নিয়ম মত এই সুরা পাঠ করিবে , ইহাতে চাকুরী ফিরিয়া পাইবে । সুরা কাহফ – বৃহস্পতিবার দিবাগত জুমুয়ার রাতে এই সুরা পাঠ করিলে আল্লাহ পাক তাহাকে এমন গায়েবী নুর দান করিবেন জাহার আলো কা’বা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছিবে । তাহার গুনাহ মাফ হইবে । প্রত্তেহ এই সুরা পাঠ করিলে প্লেগ, কুষ্ঠ, শ্বেত কুষ্ঠ ও দাজ্জালের ফিতনা হইতে মুক্তি পাইবে । এই সূরার শেষ দশ আয়াত পড়ারই বেশী তাকীদ করা হইয়াছে ।

আজ জুমাবার বা শুক্রবার । তাই সুরা কাহফ পাঠ করিতে ভুলিবেন না । সেই সাথে আমার জন্য দুয়া করিবেন যেন সঠিক পথে অটল থাকা আমার জন্য আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা সহজ করেন ।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।