বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
ডেনিস ভিনসেন্ট ব্রুটাস । মানবজীবন লাভ করে অর্পিত দায়িত্বটি যথাযথভাবেই পালন করেছেন নির্ভয়ে-যে দায়িত্বটি পালনের সময়ে অনিবার্য মৃত্যুর ঝুঁকি ছিল! নিজে আদ্যপান্ত ইউরোপীয় শ্বেতকায়দের একজন হয়েও কবি ডেনিস ভিনসেন্ট ব্রুটাস বর্ণবাদী দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গদের যৌক্তিক অধিকারের সংগ্রামে শামিল হয়েছিলেন নির্ভয়ে । দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের পেটোয়া পুলিশ তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করেছিল, তারপর ছুঁড়ে ফেলেছিল অন্ধকার কারাগারে- তারপরও এই আধুনিক ঋষিটিকে দমানো যায় নাই ...
১৯২৪ সালের ২৮ নভেম্বর কবি ডেনিস ভিনসেন্ট ব্রুটাস-এর জন্ম জিম্বাবোয়ের সালিসবারি হলেও কবির মা-বাবা দক্ষিণ আফ্রিকার ।
কবির পড়াশোনা জিম্বাবোয়ের রাজধানী হারারের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর কবি দক্ষিণ আফ্রিকার যোহানেসবার্গে পড়তে যান। সেখানেই নিষ্পেষিত কালোদের রক্ষক্ষয়ী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।
ষাট-এর দশকজুড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামআন্দোলন সংগঠিত করেছেন-দাবী তুলেছিলেন বিশ্ব অলিম্পিকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিষিদ্ধ করার; এরই পরিনতিতে ১৯৭০ সালে অলিম্পিক কমিটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিশ্ব অলিম্পিকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করে। কাজেই বর্ণবাদী দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ক্রদ্ধ হয়ে উঠে কবিকে গ্রেপতার করে, গুলি করে, তারপর বিনাবিচারে জেলে বন্দি করে রাখে।
ওই সময়কার অভিজ্ঞতা কবির লেখায় প্রকাশ পেয়েছে-
কিন্তু আমার একান্ত ভাবনা গেল উবে
বুটের ভোঁতা শব্দে আর
মেশিনগান পোস্টের কাছে
কুকুরের ডাকে ...
বর্ণবাদী সরকার কবিকে বন্দি করা ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকায় কবির শিক্ষাদান ও প্রকাশনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। জেলে থাকাকালীন নাইজেরিয়া থেকে কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ বেরয়। নাম: ‘সাইরেন, নাকলস অ্যান্ড বুটস। ’
কৃষ্ণকায় কবিদের ক্যাটাগরিতে বইটি পুরস্কারও পায়। সঙ্গত কারণেই কবি সে পুরস্কার গ্রহন করেননি ।
১৯৬৬ সালে কবি কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করলেন। এরপর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কবি অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত হন।
পরে অবশ্য কবি দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে গেছেন। তবে কবি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বাস করছেন।
আসুন এবার আমরা কবি ডেনিস ভিনসেন্ট ব্রুটাস-এর জেলে বসে লেখা একটি কবিতা পাঠ করি।
কবিতার নাম: চিঠি#১৮
আমার মনে আছে-
এক রাতে জেগে উঠেছি আমি;
সময়টা মধ্যরাতের পর,
নিঃসঙ্গতার ভিতরেই নড়ে উঠতে উঠতে
আমি নক্ষত্রগুলি খুঁজছিলাম।
ঘোরের মধ্যেই
আলোর সুতো আর
দেওয়ালের গায়ে সাদা গর্ত দেখে-
আমি ভাবলাম নক্ষত্র বুঝি।
তারপর, ভয়ানক সাহসী হয়ে উঠলাম আমি।
গারদের মধ্যে দিয়ে বাড়িয়ে দিলাম হাত
তারপর, নিভিয়ে দিলাম করিডোরের বাতি ।
আমার ছোট্ট কুঠুরিটি ডুবে গেল নিকষ অন্ধকারে।
কিন্তু আমার একান্ত ভাবনা গেল উবে
বুটের ভোঁতা শব্দে আর
মেশিনগান পোস্টের কাছের
কুকুরের ডাকে।
এরপর তাড়াহুড়ো করে জিজ্ঞাসাবাদ
আর হুমকি-
আমার মনে আছে সেই রাতটির কথা
নক্ষত্রের কথা মনে নেই!
কবি ডেনিস ভিনসেন্ট ব্রুটাস; আমাদের সময়ের একজন ঋষি।
কবি আজও অপ্রতিরোধ্য। প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভেনিজুয়েলা নিয়ে দুটি কবিতা_
১
Saffron dawn glimmers
beyond the mountain's blue bulk
my shoulder's reflection infringes
on the window's dim report
So let some impact from you my words echo resonance
lend impulse to the bright looming dawn
২
There will come a time
There will come a time we believe
When the shape of the planet
and the divisions of the land
Will be less important;
We will be caught in a glow of friendship
a red star of hope
will illuninate our lives
A star of hope
A star of joy
A star of freedom
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।