An Engineer needs not to be a perfectionist or a fastidious intellect. An Engineer needs to be someone who can keep pursuing the goal with whatever resources available at a particular moment.
মাঝেমাঝে প্রচন্ড আনমনা হয়ে পড়ি। কিছুই ভালো লাগে না।
কারন টা কখনো বুঝে ঊঠতে পারিনি। কিন্তু হঠাত করেই depressing চিন্তা চলে আসে কিভাবে জানি। ক্লাসের মাঝে তখন চুপচাপ বোর্ডের দিকে তাকিয়ে থাকি, অথবা ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাই ২-৩ পিরিয়ডের জন্য।
আতেল গোত্রীয় কখনো ছিলাম না(কলেজ জীবন বাদে), আর সবসময় পড়া আমার হয় ওই পরীক্ষার আগের ৬ দিনেই, প্যাসকেলের সূত্রানুযায়ি তখন অতিরিক্ত চাপে সকল পড়া compressed হয়ে মাথায় ঢুকে যায় আর কি।
মাঝে মাঝে কবিতা লিখি।
আর মাঝে মাঝে, ঘর থেকে বের হয়ে যাই; রাত ৩-৪ টাই বা হোক না কেনো।
2-2 শেষ হওয়ার পর একটা মুভি দেখেছিলাম, What Happens In Vegas . Ashton kutcher আর Cameron Diaz এর। ওখানে একটি sequence ছিলো এরকম যে একদিন নায়িকা Relax করতে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে একদিনের জন্য শহর থেকে ৪০ মাইল দূরে একটি লাইটহাউসে গিয়ে বসে থাকে, সারাদিনের জন্য।
তার সবচেয়ে ভালো দিন ছিলো সেটি।
Sequence টা মাথায় গেথে গিয়েছিলো।
3-1 শেষ হওয়ার পর হঠাৎ বেশ কয়েক দিন প্রচন্ড মন খারাপ ছিলো। কিছুই ভালো লাগছিলো না। সবাই ব্যাস্ত।
তখন প্রায় শেষ দিকে ছুটির, ক্লাস শুরু হওয়ার মাত্র কয়েকদিন বাকি। ইশতিয়াকের সাথে আমার কক্সবাজার যাওয়ার প্লান ছিলো, কিন্তু ওর কোনো কাজ পড়ে যাওয়ার কারনে ক্যান্সেল করা লেগেছিলও আমাদের প্লান টি। অন্যরাও ঘুরে এসেছে।
টানা ২ দিন মন খারাপ থাকার পরে মাথা পুরাই গরম হয়ে গেলো। ঠিক করলাম ১ বিকেলের জন্য কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসবো।
রাত্রে যাবো , রাত্রে ফিরে আসবো।
বাসায় বলা যায়না, কি করি? বললাম যে ২ রাত্রের জন্য হলে থাকতে যাচ্ছি, movie দেখবো friend দের সাথে। বাসায় বললেও তারা বুঝবে না... ছেলের কি হয়েছে।
সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বাসা থেকে এক বস্ত্রে বের হলাম, প্ল্যান হলো রাত্রে রওনা দিব, সকালে পৌছাবো, সারাদিন বীচে বসে থাকবো, সন্ধ্যায় শহরের থেকে খেয়ে রাত্রের দিকে রওনা দিবো। টাকা ছিলো কাছে, প্রায় ৩ রাত থাকার মত, কিন্তু বেশী দিন একা থেকে কি করবো? গেলাম রামপুরায় সোহাগের কাউন্টারে।
টিকেট ওই রাত্রের ৫ টা ফাকা ছিলো, কিনলাম। উঠলাম। বসলাম। ১ ঘন্টার মধ্যে ঘুমায়ে পড়লাম। কুমিল্লাতে রাত ৩ টার সময় ব্রেক, বাস দুলুনি থামাতে ঘুমের synchronization নস্ট হলো, জেগে ঊঠলাম।
চা আর ধুম্রপান। আবার বাসে উঠে আর এক ঘুম। এবারে এক ঘুমে চট্টগ্রাম, হাটহাজারি, সব কিছু পার হয়ে একেবারে ডুলাহাজরার কাছাকাছি... আড়মোড়া ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে দেখি, বাস হঠাৎ করে মনে হলো যেনো সমূদ্রের মধ্যে নেমে যাচ্ছে। কক্সবাজারের সেই বিখ্যাত entrance ঢাল... সী বীচের পাশে দিয়ে লাবনী পয়েন্টের মধ্যে দিয়ে ... বাস আমাদেরকে শহরের মধ্যে নামিয়ে দিলো ৮ টার দিকে। শহরটা মোটামুটি চেনা, শেষ ২ বছরে ৬-৭ বার এসে ভালো মত চষে বেড়িয়েছি।
প্রথমে হোটেল সায়মনের দিকে গেলাম। খিদা পেয়েছিলো, কিছু খাওয়া দরকার... পউশি বলে একটা যায়গাতে শেষবার ভাইয়া US যাওয়ার আগে যখন আমরা পুরা family মিলে এসেছিলাম তখন খেয়েছিলাম, যায়গাটার লোকেশন মনে ছিলো। গিয়ে নাশতা করে বের হতে হতে সাড়ে নয়টার কাছাকাছি বেজে গেলো। লাবনী পয়েন্ট কিছুটা দূরে, তাই রিকসা নিয়েই চলে গেলাম। বীচে নামার আগে চেঞ্জ করা দরকার ছিলো, আর আগের কয়েকবার থাকার সুবাদে ওদিকের সকল হোটেল চেনা ছিলো।
৩ কোয়াটার প্যান্ট runtime এ কিনে আর একটা ছোট প্লাস্টিকের ব্যাগ কিনে চেঞ্জ করে বীচে গেলাম। মার্চ মাসের শেষ পনেরো দিন, অন সীজন শেষের দিকে। তাই ভীড় হয়তো বা অত বেশী ছিলো না। তবুও সীগালের সামনের দিকের ভীড় সবচেয়ে বেশি, তাই হাটতে হাটতে অনেক দূরে চলে গেলাম, লোকজনের ভীড় একেবারে কম যেখানে প্রায়। লাবনী বীচের একেবারে শেষ প্রান্তে, রোড টা যেখানে ঘুরে শহরের দিকে চলে গিয়েছে সেই মোড় থেকে আরো দূরে।
গিয়ে চুপচাপ সৈকতে বসে পড়লাম। এমন ভাবে, পানি পায়ের পাতা স্পর্শ করছে। কোন চিন্তা নেই, কিছু নেই, শুধু অন্তহীন সমূদ্র। আর আমি। সমূদ্রের গর্জন ছাড়া যেখানে আর কোনো শব্দ নেই।
মাঝে মাঝে কয়েক ঘন্টায় সমস্ত জীবনের ফ্ল্যাশব্যাক দেখা যায়। শুনসিলাম, ওইদিন চাপা কথাটা আর চাপা মনে হলো না।
৩ টার দিকে উঠে শহরের ভিতরে গিয়ে আবার ঘুরে খেয়ে বিকাল ৫ টার দিকে আসলাম। এবার আর বেশি ভিতরে নয়, safe যায়গাই বেটার( হে হে, অবশ্যই আমি অনেক ভীতু, মাফ করবেন... মন ভালো করতে এসেছি, ছিল খেতে নয়। ) . সী গালের সামনে বসে সূর্যাস্ত দেখলাম, অপূর্ব।
শেষবারে যখন হিমেল, আমি, খোবায়েব আর আরেফিন এসেছিলাম তখনকার কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। তখন আমরা চার জন মিলে উঠেছিলাম সীগালের পাশে মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালে। যেদিন এসেছিলাম চট্টগ্রাম থেকে, ওইদিন রাত্রে পূর্নিমা ছিলো, এখনো মনে আছে। আমরা চার জন মিলে ওইদিন মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের ছাদে সারারাত বসে পূর্নিমা দেখতে দেখতে গল্প আর সূর্যোদয় দেখেছিলাম সমূদ্রের পাশে, আর আজকে দেখলাম সূর্যাস্ত।
হ্যা, বলা যায় সেট কমপ্লিট আর কি।
কিছু সৌন্দর্য আছে সকলের মাঝে একা হয়ে উপভোগ করতে হয়। মাঝে মাঝে কিছু ঢেঊ এর ভাংগন কে একা একা দেখতে হয়, আর মাঝে মাঝে কিছু কস্ট কে সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে আবার পথ চলা শুরু করতে হয়।
সন্ধ্যাবেলা, বীচের পাশে যেসব মালা, ঝিনুকের দোকান গড়ে উঠেছে সেইগুলোর মধ্যে হাটতে মজা আছে। অনেক ইন্টারেস্টিং জিনিশ দেখতে পাওয়া যায়। খোবায়েবের একটি বিশেষ উপহারের কথা মনে পড়ে মুচকি হাসি চলে এলো।
অনেক সুন্দর কিছু স্মৃতির সাথে আজকের একাকি সন্ধ্যাটাও যুক্ত হলো...
বাস ছাড়বে মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের ওখান থেকেই, ঢাকা থেকে আসার সময় ই রিটার্ন টিকেট কিনে রেখেছিলাম। তাই একেবারে শেষ আধাঘন্টাতে গিয়ে হাজির হলেও কোনো অসুবিধা ছিলো না আমার জন্য। বাস রাত ১০ টার সময়, আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিলাম রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত থেকে তারপর ওখানে থেকেই খেয়ে একেবারে ঊঠে পড়বো। কাজেই আলো আধারির খেলাতে সমূদ্রের ঢেউ দেখতে দেখতে আর সমূদ্রের পাড়ে হাটতে হাটতে কাটিয়ে দিলাম আরো ১ ঘন্টা। তার পর খেয়ে উঠে পড়লাম বাসে।
বাসে চলতে চলতে গান শুনছিলাম , আইউব বাচ্চুর। বেশ পুরানো একটি গান, মোবাইলে save করে রেখেছিলাম, এরকম রাতের জন্য উপযুক্ত ঃ
" নিরব নিথর এই শহরে
নেই জোছনার দীপাবলী
একাকি ক্ষত ছুয়ে চাঁদের কাছে
কান্নার গল্প আমি বলি
জানালার এপাশে...
রাত জাগি আমি...
আর ওই পাশে... রূপালী চাঁদ ... "
আরো কয়েক মাসের জন্য শক্তি অর্জন করলাম , এক দুপুর, এক সন্ধ্যা, আর এক রাতের স্মৃতি কে সম্বল করে। সামনে ৩-২ , আরেকটি অশ্লীল টার্ম , বাশ কে মাখন মনে করে খাবার চেস্টা করতে হবে, জানা কথা ! এর চাইতে জীবন কে একদিন করে একদিন করে উপভোগ করার চেস্টা করি! বাসে এই সব বোরিং চিন্তা করতে করতে কখন ঘুমায়ে পড়লাম টের ও পাইনাই। ঘুম ভাংলো একেবারে সোবহান বাগে, ৬:৫০ এ। Impeccable timing মনে হয় একেই বলে! সকাল ৭ টার পর শহরে বাস ঢুকা বন্ধ! নয়ত থামত সেই সায়োদাবাদ বাসস্ট্যান্ড না কোন চুলায়... বাসায় ফেরা বা হলে ফেরাও তখন নরক সম!!
এ অবস্থায় বাসায় ফেরা মানেই ধরা খাওয়া, হলে গিয়ে ফিরেশ (হে হে , fresh এর খাটি বাংলা ফর্ম ) হয়ে রেস্ট নেয়াই বুদ্ধিমানের লক্ষন... কাজেই ফিরলাম হলে।
আবার শুরু হলো নরকসম ঢাকার দিনরাত্রি, পুরাই recursion !! break point যে কি, খোদাই মালুম!!
(চলবে...)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।