সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
আজকে সকালে এটিএন বাংলায় শুনলাম, আনু মুহাম্মদকে মারধরের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করছেন। বিডি নিউজে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়া জানানো হইছে, ওনারা ঘটনাটাকে দুঃখনজক বলছেন। (Click This Link)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কথায় মনে হইতেছে উনি আনু মুহাম্মদকে পেটানোর আগে জানতেন না।
ওনার কনসার্ন ছাড়াই পুলিশ জাতীয় কমিটির শান্তিপূর্ণ মিটিংয়ে হামলা করছে। এখন প্রশ্ন হইলো নির্দেশ কে দিছে? মন্ত্রণালয়ের ওপর তাইলে কে বাটপারি করতেছে?
কিছুদিন আগে জানা গেল, আইন মন্ত্রণালয়ের অগোচরে একজন উপদেষ্টা দুই বিচারককে বরখাস্ত করছিলেন। আজকের আমার দেশে সেই উপদেষ্টার সাক্ষর সম্বলিত নোটিশ ছাপা হইছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আজকের কথা আর কালকের পুলিশের আচরণ থিকা বুঝা যায় পুলিশ সম্ভবত মন্ত্রণালয়ের বাইরে কারো কথায় এমন নৃশংস আক্রমণে লিপ্ত হইছিল।
প্রশ্ন হলো পুলিশকে কে হামলা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন?
নাকি পুলিশ সরকারের বাইরে গিয়া স্বাধীন বাহিনী হিসাবে কাজ করতেছে?
কয়দিন আগে আজাদ প্রোডাক্টের একে আজাদকে যেমনে পুলিশ ধইরা নিয়া রিমান্ডে নিল তাতে তো স্পষ্ট হইলো যে, বাংলাদেশ একটা পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়া গেছে।
এই দেশে পুলিশ যা ইচ্ছা করতে পারে। এফবিসিসিআই না থাকলে একে আজাদকে তারা হজম কইরা ফালাইতো। তাইলে এই দেশে যাদের এফবিসিসিআই নাই তাদের কী হবে?
বাংলাদেশের ইতিহাসের দুর্বলতম সরকারটি বর্তমানে দেশকে কোন দিকে নিয়া যাইতেছে তা নিয়া গুরুতর ভাবনার সময় আইসা গেছে। দুঃখ শুধু এইখানে যে, এই সরকারকে মানুষ কত না ভোট দিয়া আশা কইরা ক্ষমতায় আনছিল।
ছবি: প্রথম আলো থেকে চুরি করা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।