আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কথোপকথন-৩



কথোপকথন-৩ দর্পণ কবীর ঃ তোমাকে দেবো রোদেলা সকাল, গুমোট দুপুরের উদাসীনতা, হিরন্ময় বিকেল বা চাঁদের আগুনে দগ্ধ নিঝুম রাত! দিতে পারি মেঘের কাশবন, বৃষ্টির রাগ-সঙ্গীত বা বৈশাখী ঝড়ে আম কুড়ানোর দস্যিপনা। তোমার জানালায় টাঙ্গিয়ে দিতে পারি আকাশের ক্যানভাস, নক্ষত্রগুলো গোল্লাছুট খেলবে তোমার ঘরে-বারান্দায়, যখোন তখোন। তোমার ড্রইং রুমে সজ্জিত কৃত্রিম গাছগুলো সরিয়ে সেখানে নিখাঁদ আবেগের ফুলদানীতে সাজিয়ে দিতে পারি অপ্রকাশিত স্বপ্নের পারিজাত ফুল। তুমি চাইলে, পিরামিডে বন্দি মমিগুলোকে দিয়ে গাওয়াতে পারি কীর্তণ, হামদ-নাত বা হারানো দিনের গান। ঃ হা, হা, হা।

কেনো যে আমাকে কথার জলপ্রপাতে ভাসাও? আমার-ই ওপর আছড়ে পড়ে বুঝি তোমার কাব্য শক্তি? স্বীকার করছি, তোমার কব্যিকতায় জেগে উঠে এক ধরনের ভক্তি। ঃ তুমি যেন নিঝুম দ্বীপ বা নিঃসঙ্গ সৈকত। ঢেউ হয়ে আছড়ে পড়ি আমি, তোমার দিকে এগুতে কখনো কি থামি? ঃ ফের কাব্যিকতা! কাব্যিকতা হ”েছ কল্পনার বিলাসিতা। ঃ কাব্য ছাড়া কবির কী আছে? কবির কাছে সকলে কবিতাই তো যাচে। তুমি কি চাও না তা? ঃ না, না।

আমি শুধু কবিতা চাই না। কবিকেও চাই। তাইতো নিয়তির দিকে হাত বাড়াই। তুমি ডাকলেই, আমি থমকে দাঁড়াই। পেয়েছো তুমি জবাব।

ঃ লা-জবাব! বোধের মন্দিরে সুষমা ছড়ায় অপ্রাপ্তির অনুতাপ। পবিত্র যা ভাবি, সমাজ বলে, সমাজের দেয়াল ভাঙা পাপ! ঃ আর কথা নয়, এসো কিছুক্ষণ থাকি চুপচাপ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।