বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d
ছোট বেলায় একটা নেশা ছিল ভিউকার্ড কেনার। বিশেষ করে বিশ্বকাপ বা ন্যাশনাল ফুটবল লীগের সময় খেলোয়াড়দের ছবির কার্ড কিনতাম। একটা নেশার মত ছিল। অনেক টাকা চুরি করে ওগুলো কিনেছি।
স্কুলের ক্লাশের ফাঁকে অথবা টিফিনের সময় ভিউকার্ডের দোকানে আমরা ভীড় জমাতাম। খেলোয়াড়দের দলীয় বা বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে থাকতাম। প্রতিটা ভিউকার্ডের দাম ছিল মাত্র এক টাকা। একটাকায় ঝকঝকে ছবি। কিন্তু প্রতিটা কার্ড উল্টালেই পোষ্ট কার্ডের মত ডিজাইনে ঠিকানা ও শুভেচ্ছাবাণী লেখার জায়গা থাকতো।
আর তার নীচে, একটা চারকোনা লোগো আর সাথে লেখা থাকতো "আজাদ প্রোডাক্টস"।
সেই থেকেই এই ব্রান্ডটার সাথে পরিচয়। কিন্তু বড় হয়ে এই আজাদ লোকটা সম্মন্ধে জানলাম। একেবারে ফুটপাতের ব্যাবসায়ী থেকে আজ বিশাল প্রতিপত্তির মালিক সে এখন। এক্ষেত্রে সে বর্তমানে সৎ কি অসৎ সে প্রশ্নে যাবো না।
উনি বেশ কিছু ব্যাপারে সাহসীকতা দেখিয়েছেন বলে আমার মনে হয়। প্রথমত: একেবারে নিজের চেষ্টায় ছোট থেকে বড় হওয়া, দ্বিতীয়ত: বাংলাদেশে প্রথম সে-ই কমদামে দামে ভালো মানের ভিউকার্ড ও পোষ্টার ছাপানোর রেওয়াজ চালু করে এবং সেই সাথে বাজারজাতকরণ শুরু করে। তৃতীয়ত: একেবারে জিরো থেকে হিরো হয়েছেন।
তিনি আরো পরিচিতি পেয়েছেন, বাংলালিংকের এ্যাড করে। যাই হোক তিনি হয়ত কিছু মানুষের কাছে অনুকরনীয় তার কীর্তির জন্য।
আবার হয়তবা তা মোটেই নয়। সে যাইহোক।
এরই মধ্যে সবাই জানি, ব্যাবসায়ী আজাদের বর্তমান অবস্থা। সে বর্তমানে কারাগারে। একজন সিআইপি হয়েও কোনরকম আনুকুল্য পায়নি।
বিভিন্ন পত্রিকার খবর পড়ে জানা যাচ্ছে যে, ঘটনাটা পুলিশের পক্ষ থেকে একটু বেশী বেশীই করা হচ্ছে। যেহেতু পুলিশের আঁতে লেগেছে। এটাও আশ্চর্য যে, তাকে গ্রেফতারের পরে পিলখানা আর ডলার জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ব্যাপারটা হাস্যকর।
সেবাই (!) নাকি পুলিশের ধর্ম।
হাতে লাঠি থাকলেই কি সেটার যাচ্ছেতাই ব্যাবহার করতে হবে? উন্নত দেশগুলোতে পুলিশ বিভাগে চাকুরী খুবই সম্মানের। একটা বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে? এই অবস্থান পুলিশ নিজেই নষ্ট করেছে। নিজেদের নিজেরাই বিতর্কিত করেছে। এমন অবস্থা থেকে বের হয়ে আসা উচিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।