আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টেড কেনেডি :এক ব্যতিক্রমী আমেরিকানের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি / হারুন হাবীব



প্রিয় সিনেটর টেড কেনেডির প্রতি বাঙালী জাতির ঋণ অপরিসীম। এই প্রজন্মের অনেকেই হয়তো তাঁর সম্পর্কে জানেন না। গেল মংগলবার প্রয়াত হলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে তাঁকে সর্বোচ্চ সম্মান। যে মানুষটি মার্কিন সিনেটর হয়েও বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন, বাঙালী জাতি তাঁকে সেই সম্মানটি দেখায় নি।

আমরা আসলেই বড় অকৃতজ্ঞ জাতি ! তাঁর মৃত্যু সংবাদ টি এই ব্লগে লিখেছিলাম আমি । Click This Link এতটুকু শোক জানাতে এগিয়ে আসেন নি আমার সহ ব্লগার রা। এই হলো আমাদের দীন মানসিকতা ! অগ্রজপ্রতীম সাংবাদিক হারুন হাবীব এর একটি লেখা এখানে তুলে দিলাম। যা থেকে অনেক কথা জানা যাবে । ---------------------------------------------------------------------- টেড কেনেডি :এক ব্যতিক্রমী আমেরিকানের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি হারুন হাবীব ======================================= বলতেই হবে, ভিন্ন এক আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব করতেন এডওয়ার্ড এম কেনেডি।

এমন এক আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব করতেন, যে আমেরিকাকে একবাক্যে সম্মান-শ্রদ্ধা করা যায়, ভালোবাসা যায়। কাজেই এ মানুষটির মৃত্যু শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয়, পৃথিবীর তাবত মানবতাবাদীর জন্যই শোক সংবাদ। বলতেই হবে, টেড কেনেডি বা এডওয়ার্ড কেনেডির মৃত্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন এক নাগরিক হারালো, যিনি বিশ্বের মহাশক্তিধর দেশটিকে মর্যাদাশীল করেছিলেন। মনে পড়ছে, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সেদিনের অপেক্ষাকৃত তরুণ সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির দুঃসাহসী মানবতাবাদী ভূমিকার কথা। পাকিস্তানি হানাদার সৈন্য ও তাদের দেশীয় অনুচররা সর্বাত্মকভাবে গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছে।

হত্যা আর নির্বিচার নির্যাতন করেই ওরা বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলন স্তব্ধ করতে মনস্থ করেছে। যত্রতত্র বাঙালি হত্যা করে চলেছে তারা সেদিনকার পূর্ববঙ্গের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। ফলে জীবন বাঁচাতে বন্যার মতো মানুষ ছুটে যাচ্ছে ভারত সীমান্তের দিকে। তারা গণহত্যা থেকে বাঁচতে চায়। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের প্রশাসন এই গণহত্যাকে আমলে নিচ্ছে না।

এমনকি গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ দিয়ে পাঠানো ঢাকার মার্কিন কনস্যুলেটের প্রধান আর্চার কে বল্গাডের জরুরি তারবার্তাটিকেও আমলে নেননি প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। এত নির্মমতা দেখার পরও ওয়াশিংটন একবিন্দু সরে আসছে না পাকিস্তানের পক্ষ থেকে। তারা সরাসরি বাংলাদেশের গণমানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানে নতুন করে অস্ত্র সরবরাহের ব্যবস্থা নিচ্ছে। ঠিক সে সময়ে ভিন্ন এক আমেরিকার ঝাণ্ডা তুলে ধরলেন শরণার্থী বিষয়ক মার্কিন সিনেট সাব-কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডি।

তিনি ছুটে এলেন ভারত সীমান্তে। কলকাতা ও আগরতলায় ব্যক্তিগতভাবে ঘুরে দেখলেন একের পর এক শরণার্থী শিবির। লাখ লাখ মানুষের দুর্গতি, আহাজারি দেখলেন। কলকাতায় কেনেডি আসার খবরগুলো দৈনিক যুগান্তর ও আনন্দবাজারের পাতায় পড়লাম। এরপর কেনেডি চলে গেলেন ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায়।

ছোট্ট শহর আগরতলা তখন লোকে লোকারণ্য। ত্রিপুরার তখনকার জনসংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। কিন্তু তার চেয়েও ঢের বেশি বাংলাদেশি শরণার্থী জায়গা করে নিয়েছে সীমান্তঘেঁষা ছোট্ট ভারতীয় রাজ্যটিতে। কোথাও কোনো ঠাঁই নেই। স্কুল, কলেজ, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, পাহাড়পর্বত_ সব জায়গায় বাংলাদেশের বিপন্ন মানুষ।

আমার নিজের যুদ্ধক্ষেত্র মেঘালয় সীমান্তের ১১ নম্বর সেক্টর। কিন্তু আমাকে অনেক সীমান্তেই ঘুরতে হয়। মুজিবনগর সরকারের রণাঙ্গন সংবাদদাতার নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই এ আমার বাড়তি কাজ। মনে পড়ে, আগস্টের ১২ তারিখে যেদিন সিনেটর কেনেডি আগরতলায় এসে নামলেন, সেদিন দেশত্যাগীদের মধ্যে এক ভয়ঙ্কর উন্মাদনা শুরু হলো। যে আমেরিকা পাকিস্তানি গণহত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে, যে আমেরিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচরণ করছে, সেই শক্তিধর আমেরিকার একজন সাহসী নেতা নিপীড়িত মানুষের পক্ষে দাঁড়াতে ভারত সীমান্তের শরণার্থী শিবিরগুলোতে সশরীরে চলে এসেছেন।

ঘটনাটি খুব ছোট নয়। কাজেই সাধারণ মানুষের উৎসাহ উপচে পড়েছে। আমার মনে পড়ে, বিমানবন্দর থেকে রাজনিবাসের দু'ধারে কেনেডিকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়েছিল সেদিন। জনতার ভিড়ে একাকার হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী ও তাদের আশ্রয়দাতা ত্রিপুরাবাসী। হাজারো স্লোগান উঠেছিল_ 'জয় বাংলা', 'এডওয়ার্ড কেনেডি জিন্দাবাদ,' 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জিন্দাবাদ'।

বিমানবন্দর থেকে জিবি হাসপাতাল, সেখান থেকে রাজনিবাস। এক এক করে ঘুরে দেখলেন কেনেডি বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা শরণার্থীদের ক্যাম্প। সম্ভবত মোহনপুর ও গোকুলনগরসহ অনেক শরণার্থী শিবির দেখলেন তিনি সেদিন। তারপর এলেন আগরতলার সার্কিট হাউসে। কেনেডি নিজের চোখে দেখলেন, পাকিস্তানের অখণ্ডতার নামে, ধর্মের নামে নিরস্ত্র মানুষের ওপর কত নির্মম ও পাশবিক হতে পারে একটি দেশের প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী! আরও মনে পড়ে, সেদিন বড় কিছু বক্তব্য রাখেননি এডওয়ার্ড কেনেডি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তরে জর্জরিত হয়েছিলেন মার্কিন সিনেটর। সংক্ষিপ্ত উত্তরে বলেছিলেন, মার্কিন সরকার যেন পাকিস্তানকে আর অস্ত্র সরবরাহ না করে, তার চেষ্টা তিনি করবেন। শরণার্থীদের আশ্রয় ও নিরাপত্তার দিকে যেন আন্তর্জাতিক মহল নজর দেয়, সেদিকেও তিনি নজর দেবেন। এবং এটিও বলেছিলেন, পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেন মুক্ত হতে পারেন, সে চেষ্টাও তিনি চালাবেন সর্বাত্মক। বলার অপেক্ষা রাখে না, সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির এই সফরে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটেছিল।

পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে বাংলাদেশি শরণার্থীর দুর্দশা সম্পর্কে সিনেটে অত্যন্ত মর্শস্পর্শী প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছিলেন তিনি। পূর্ববঙ্গে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে বলে তিনি মন্তব্য করেছিলেন। সেইসঙ্গে পূর্ববঙ্গে মানবিক ও রাজনৈতিক দুর্দশার জন্য সেদিনের পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন দুষ্কর্মে সহযোগিতা করার চেয়ে কোনো অংশে কম নয় বলেও কড়া সমালোচনা করেছিলেন তিনি নিক্সন প্রশাসনের। এরপর এডওয়ার্ড কেনেডি শরণার্থীদের প্রতি বিশ্বের মনোযোগ আকৃষ্ট করা এবং তাদের সাহায্যের ব্যবস্থা করারও চেষ্টা করেন। এতে পাকিস্তানি গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রবল জনমত গড়ে ওঠে।

পণ্ডিত রবিশঙ্কর ও জর্জ হ্যারিসনের 'কনসার্ট ফর বাংলাদেশ' একদিকে সুবিশাল ভূমিকা রেখে চলছিল বাংলাদেশের পক্ষে; অন্যদিকে বিশ্ব জনমত গঠনে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছিল এডওয়ার্ড কেনেডির দৃঢ়চিত্ত মানবতাবাদী অবস্থান। আমার বিশ্বাস, আমাদের মূলধারার পত্রপত্রিকা এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো যথার্থভাবেই এডওয়ার্ড কেনেডিকে আখ্যায়িত করেছে তার মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর। বেশিরভাগই সদ্যপ্রয়াত এই মহৎপ্রাণ আমেরিকানকে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু বলে সম্বোধন করেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার সর্বাত্মক সমর্থনের কথা উল্লেখ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি খ্যাতিমান পরিবারের সদস্য টেড কেনেডি গণতান্ত্রিক ও সহনশীল আমেরিকার প্রতিভূ।

তার এক ভাই প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে হত্যা করা হয়। আরেক ভাই সিনেটর রবার্ট কেনেডি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণা চালানোর সময় আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। আরেক ভাই মারা যান যুদ্ধে। সর্বশেষ ছিলেন এডওয়ার্ড কেনেডি। ৭৭ বছর বয়সে তিনিও চলে গেলেন পরপারে।

সারাটি জীবন তিনি প্রবল সাহসী মানবতাবাদী ভূমিকা রেখেছেন। তার সেই ভূমিকা বারবার আমেরিকার প্রশাসনের বাইরে দাঁড়িয়ে নিজের স্বতন্ত্র আত্মবিশ্বাসকে তুলে ধরেছে। ১৯৬৩ এবং ১৯৬৮ সালে দুই ভাই আততায়ীর হাতে নিহত হওয়ার পর এক অর্থে তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির ধারক-বাহক হন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রবল সমালোচনা করেন এডওয়ার্ড কেনেডি। বুশ প্রশাসন যখন নিছক শক্তির দম্ভে ইরাক দখল করে নেয়, তখনও জর্জ বুশের কট্টর সমালোচক ছিলেন তিনি।

চার যুগ আগের কথা। আমরা তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। নয় মাসের রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের পর সর্বপ্রথম যে বিদেশি সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশ সফরে আসেন, তিনি সদ্যপ্রয়াত এডওয়ার্ড কেনেডি। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। সদ্যস্বাধীন দেশের মাটিতে পেঁৗছে তিনি ছাত্র-জনতার এক শোভাযাত্রায় অংশ নেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন।

শুধু তা-ই নয়, হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ঐতিহ্যবাহী বটগাছটি সমূলে উৎখাত করে ঐতিহাসিক বটতলাকে বিরান করেছিল, বাঙালি তারুণ্যের বিদ্রোহের আশ্রয়কে উৎপাটিত করেছিল, ঠিক একই জায়গায় এবং একই বটবৃক্ষের একটি চারা পুঁতে নতুন ইতিহাসের যাত্রা শুরু করেছিলেন সিনেটর কেনেডি। সেদিনের অনুষ্ঠানে আমরা অনেকেই উপস্থিত ছিলাম। মনে পড়ে, ডাকসুর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক হয়ে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর করতালির মধ্য দিয়ে গণআন্দোলনের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী বটবৃক্ষের নতুন সংস্করণের পত্তন করেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর কেনেডি। আজ যে বটগাছটি আবারও সুবিশাল মহীরুহ হয়েছে, পাকিস্তানি সেনাপতি শাসকদের ধ্বংসকাণ্ডের ওপর ছায়াবিস্তার করা নতুন যে বটবৃক্ষ জন্ম নিয়েছে, সে বৃক্ষের চারাগাছ লাগিয়েছিলেন বাংলাদেশবান্ধব এডওয়ার্ড কেনেডি। প্রবল এই মানবতাবাদী বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ওপর সার্বক্ষণিক নজর রেখেছিলেন।

২০০৭-০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দেশকে গণতন্ত্রে ফিরিয়ে নিতে আবেদন করেছিলেন কেনেডি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর সেনা-নির্যাতনের শক্ত প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। এই মহাপ্রাণকে বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে, জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের একজন সৈনিক হিসেবে আমার শ্রদ্ধা। পরিশেষে একটি প্রস্তাব রাখতে চাই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভিনদেশি যেসব মহাপ্রাণ প্রবল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিশেষ অবদান রেখেছিলেন, ইতিহাসের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবোধের কারণেই তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা উচিত।

তাদের মধ্যে একজন ফ্রান্সের বিশ্বনন্দিত দার্শনিক আন্দ্রে মালরো, যিনি বৃদ্ধ বয়সেও ভারত সীমান্তে এসেছিলেন অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করতে। আরও আছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, যার ব্যক্তিগত সমর্থন ও নিরলস প্রচেষ্টা না থাকলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস কোনদিকে গড়াত বলা যায় না। আছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি, আছেন ভারতের সর্বোদয় নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ, ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সচীন্দ্র লাল সিংহ, আছেন ডবিল্গউএএস ওডারল্যান্ড, ঢাকায় বাটা সু কোম্পানির ভিনদেশি সেই কর্মকর্তা, যিনি অস্ত্রহাতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। এরপরও আছেন জর্জ হ্যারিসন ও পণ্ডিত রবিশঙ্কর, যারা পশ্চিমী বিশ্বে বাংলাদেশের পক্ষে প্রবল জনমত গড়ে তুলেছিলেন। আমরা যে আত্মবিস্মৃত নই, তার প্রমাণ রাখতে তাদের দ্রুত সম্মানিত করা জরুরি।

কারণ মুক্তিযুদ্ধ চার যুগ অতিক্রম করছে। ------------------------------------------------------------------ দৈনিক সমকাল / ৩১ আগষ্ট ২০০৯

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।