আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশে সোয়াইন ফ্লু মোহামারির দ্বারপ্রান্তে বিশেষজ্ঞদের হুশিয়ারি

সত্যের পথে সবসময়

বাংলাদেশ সোয়াইন ফ্লু মহামারির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সোয়াইন ফ্লুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বর্তমানে বিপদসীমার দ্বিতীয় পর্যায়ে (কান্ট্রি লেভেল-২) অতিক্রম করেছে। মহামারি পর্যায়ে (লেভেল-৩) না পৌঁছলেও এর কাছাকাছি অবস্থান করছে। সোয়াইন ফ্লু নিয়ে শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এ সতর্ক বার্তা দেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এপ্রিলে সোয়াইন ফ্লু দেখা দেয়ার পর এ পর্যন্ত ২ হাজার ১৮৫ জন মারা গেছে।

আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখের বেশি। বাংলাদেশে শতাধিক মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছেন। সেমিনারে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মো. মোশতাক হোসেন বলেন, সোয়াইন ফ্লুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বর্তমানে বিপদসীমার কান্ট্রি লেভেল-২ অতিক্রম করেছে। যে কোনো মুহূর্তে তা বাংলাদেশে মহামারি আকার ধারণ করতে পারে। তিনি জানান, মহামারি হলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তা ঘোষণা করা হবে।

১১ জুন সোয়াইন ফ্লু-কে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। বিএসএমএমইউয়ের সাবেক উপাচার্য নজরুল ইসলাম বলেন, সোয়াইন ফ্লুর জীবাণু সারাবিশ্বে যে হারে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে বিশ্বায়নের এ সময়ে বাংলাদেশ এর বাইরে থাকতে পারবে না। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দেশের মানুষ বিদেশে যাচ্ছে ও আসছে। এ কারণেই বাংলাদেশে রোগটির মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মহামারি ঠেকাতে এখন থেকে প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।

সোয়াইন ফ্লুর বিস্তার প্রতিরোধে ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিমান ও স্থলবন্দরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য প্রফেসর প্রাণ গোপাল দত্তের সভাপতিত্বে ওই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউয়ের ডা. শাহিনা তাবাসসুম। শুক্রবার পর্যন্ত দেশে সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬৩। তবে এর মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

১৮ জুন দেশে প্রথম সোয়াইন ফ্লু রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর, কাশি, কফ সোয়াইন ফ্লু রোগের লক্ষণ। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এইচ১এন১ নামে এ ভাইরাস ছড়ায় বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। যত্রতত্র কফ, থুথু না ফেলা এবং বিশেষ করে হাঁচি-কাশির পর সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।