আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মূক ও বধির শিশুদের স্কুলেঃ

সব কিছুর মধ্যেই সুন্দর খুঁজে পেতে চেষ্টা করি............

মূক ও বধির শিশুদের স্কুলে ঢাকার ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকার ৬/এ সড়কে রয়েছে মূক ও বধির শিশুদের একটি স্কুল। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে, তারা বধির শিশুদের কথা শিখিয়ে স্বাভাবিক করার পর ছাড়পত্র দেন, যাতে পরবর্তী সময়ে ছাড়পত্র প্রাপ্ত এইসব শিশু স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়ে স্বাভাবিক স্কুলে লেখাপড়া করে উচ্চশিক্ষা নিতে পারে এবং স্বাভাবিক ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে একাকার হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এটা কতোটা সত্য তা ভুক্তভোগী অভিভাবকমাত্রই জানেন। আমি সেই ভুক্তভোগীদের একজন। আমার অফিসের একজন সিনিয়র স্টাফ আছেন।

যার তিনটি সন্তানই মূক এবং বধির। আমি আমার সেই স্টাফের একটি সন্তানকে নিজ দ্বায়িত্বে বিরাট অংকের অনুদানের বিনিময়ে মূক ও বধির ভর্তি করিয়ে দেই। স্কুলে ভর্তির পর শুরু হয়-নানান বাহানায়, নানান সিস্টেমে টাকা নেবার উতসব! বধির শিশুদের ভর্তি করিয়ে মাসিক বেতন নেয়া হয় উচ্চহারে। শিশুটি খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হবে-এমন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আকর্ষণীয় অর্থের বিনিময়ে প্রাইভেট পড়ানোর প্রস্তাব দিলে অনেক অভিভাবক তা গ্রহণ করেন। প্রথমদিকে সহজ কয়েকটি শব্দ ঠোঁট নাড়ানো (Leap Reading) পদ্ধতিতে ও হিয়ারিং এইডের মাধ্যমে শিখিয়ে ছাড়পত্র দেয়া হতো।

সম্প্রতি ছাড়পত্র প্রদান বন্ধ রেখে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি শ্রেণী খোলা হয়েছে এবং একই শিক্ষক-শিক্ষিকা দিয়ে ঐসব শ্রেণীতে পড়ানো হচ্ছে। আমার জানামতে, এজন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও বাড়তি কোন আর্থিক সুবিধা দেয়া হয় না। অথচ স্কুল পরিচালনা কর্তিপক্ষ শিধুদের অবিভাবকদের জবাই করে নিজেরা টাকার পাহাড় গড়ছে! যা হোক একজন অবিভাবক নিম্ন ক্লাশের শিশুটির জন্য মাসে শুধু মুল বেতন ১৫০০ টাকা দিয়ে থাকে। মুল বেতন ছারাও নানান রকম ফি আসে মাসে আরো হাজার খানেক টাকার বেশী! শিশু ভর্তির পর শুরু হয় প্রকৃত সমস্যা। শিশুটি না ঘরকা না ঘাটকা অবস্থায় পড়ে।

বাধ্য হয়ে শিশুটির অবিভাবক প্রাইভেট টিউটর রাখতে বাধ্য হয় অথবা মা-বাবা নিজেরাই শিক্ষক সেজে প্রাইভেট টিউটরের দায়িত্ব নেন। ব্লগের অনেকের আত্মীয় স্বজনের কিম্বা পরিচিত জনেরা হয়ত কেউনাকেউ ওখানে পড়ে। অথবা ভবিষ্যতে কেউ ঐ বিষয়ে জানতে আপনার সাহায্য প্রার্থী হতে পারে-তাই স্কুলটিতে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা কার্যক্রম ঠিকমতো সম্পন্ন হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট অবিভাবক এবং কর্তৃপক্ষের লক্ষ রাখার জন্য অনুরোধ জানাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।