গত বছর জুনে খিলগায়ে মামার বাসা গেছি। বাবাসোনারে ও নিয়ে গেছি। ওরে সাথে না রাখলে ভাল লাগেনা কিন্তু মামার বাসা থেকে ফেরার পর রুমে এসে বাবাসোনাকে খুজি কিন্তু কোথাও খুজে পাইনা। মনটা এত খারাপ হয়ে গেল। মনে হচ্ছিল কি যেন নাই।
বুঝলাম পথে কোথাও পড়ে গেছে।
আমার কোন প্রিয় জিনিস কখনো থাকেনা। বাবাসোনাটাও যে এইভাবে হারায়ে যাবে ভাবিনি। এর কারণ হয়ত আমি শুধু ভালবাসছি কিন্তু ভালবাসার জিনিস গুলারে যতটা যত্ন করা উচিত
ততটা যত্ন করিনি।
হারায়ে যেতেই পারে কিন্তু আমি ভাবছিলাম ও কেমন আছে? যদি কোন বাচ্চা পোলাপানের হাতে পড়ে তাহলে ওকে নিয়ে ওরা খেলবে, কষ্ট দিবে যতবার এই চিন্তা হচ্ছিল আমি খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম।
এইভাবে আমি প্রায় অসুস্থ্য হয়ে পড়ি। কয়েকমাস অসুস্থ্য থাকি। বাসায় ও সে ভাবে বলিনি যে বাবাসোনা নাই। ওরা ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করে ও কেমন আছে।
একদিন আমার ইএনটি ডাক্তারের কাছে যাবার সময় কাটাবনে থেমে পূরবীরে নিয়ে আর একটা কচ্ছপ কিনলাম।
My Little Monster
আমার আগের কচ্ছপটা যেমন পাজি ছিল। আমারে এক মূহুর্ত শান্তিতে থাকতে দিতনা। আর এইটা চরম শান্ত। প্রথম প্রথম কচ্ছপটা কিছুই খেতনা গাজর বা শশা পানিতে দিয়ে রাখলে অল্প করে খেত। খুব টেনশনে পড়লাম।
কচ্ছপের জন্য মাছের খাবারের মত আলাদা খাবার পাওয়া যায়। ওই খাবার খায়না। না খেতে খেতে বাবাটা কেমন শুকায়ে গেল। কি করা যায়? এরপর ওকে গাজর শশা না দিয়ে কয়েকদিন না খাওয়াযে রাখলাম। এখন দেখি সব খাবার খায়।
কচ্ছপটা খুবই শান্ত। কোথাও রাখলে অনেকখন বসে থাকে। আবার টানা ২ দিন ঘুমিয়ে থাকে। কাল একটা মুভি দেখছিলাম। বাবাটা আমার হাতের ওপর বসে পিসির দিকে ভ্যাবলাম মত তাকায়ে ছিল।
কোন শব্দ হলে সেইদিকে তাকায়ে থাকে। খাবার দিতে গেলে মাথাটা এমন করে উপরে উঠায় যে তাকে এক্ষুনি পানি থেকে তুলতে হবে।
বাবাটারে নিয়ে বাসায় যাব। এইটারে যত্নে রাখি যেন হারায়ে না যায়।
My Little Monster
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।