যেটা পরিশীলিত ও ব্যক্তি বা সমাজের জন্য ক্ষতিকর নয় তা অবশ্যয় করা যায়, এটাই আমার বিশ্বাস
আজ একটি মেলায় গিয়েছিলাম, কবি মেলায়। যেহেতু বই মেলা বৃক্ষ মেলা এমন কি শিশু মেলাও হয় সুতারাং কবি মেলা হতে তো কোন দোষ নেই। তো আজ এক কবি বন্ধুর আমন্ত্রনে কবি না হয়েও সেই মেলায় যাওয়ার সৌভাগ্য হয়। যাই হোক যেহেতু কবি মেলায় যাচ্ছি সেহেতু একটু কবি কবি ভাব না নিলে হয়?? একটা স্যান্ডেল জুতা আর হালকা নোংরা না ধোয়া পাঞ্জাবি পড়ে বের হলাম। আর আমার মুখে সব সময় খোচা খচা দাড়ি থাকে।
সুতারাং কবি না হলেও কবি লুকিং একশত ভাগ ছিল এতে কোন সন্দেহ নাই। আমদের কবি মেলাটি হচ্ছিল শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। তো সেই কবি বন্ধুটির সাথে রিক্সায় করে রওনা হলাম। বন্ধুটি আকাশে মেঘ দেখে সাবধান করে দিল যে কোন সময় বৃষ্টি নামতে পারে। আমি আবার কোথাও জ্ঞ্যান ফলানোর সুজোগ পেলে হাতছারা করতে পারিনা, অভ্যাস বসত একটা বক্তৃতা দিয়ে দিলাম, আরে নাহ বৃষ্টি নামার আগে ঠান্ডা বাতাস বহে এখন নামবে না এবং বৃষ্টি না নামার পিছনে আরো অনেক যুক্তি দেখাতে দেখাতেই মুষল ধারায় বৃষ্টি নামল যাকে ইংরেজিতে বলে ক্যাটস & ডগ অর্থাৎ যে বৃষ্টি বৈরী সম্পর্কের প্রানি কুকুর এবং বিড়ালকে একসাথে আশ্রয় নিতে বাধ্য করে।
এই দেখ আবার জ্ঞ্যান ফলানো শুরু করছি। কথায় আছে না শত ধুইলেও ময়লা যায়না এক জাতিয় বস্তুর। যাই হোক যথা সময়ের মাত্র এক ঘন্টা পরে কাব্য সন্ধায় উপস্থিত হলাম। ওখানে গিয়ে সবাই সবার পরিচয় দিচ্ছিল এবং কার কটা বই ছাপা হয়েছে বলছিল। আমার বই তো দুরের কথা একটা কবিতাও ছাপা হয় নাই।
তারপর স্বরচিত কবিতা পাঠ দিয়ে শুরু হল কাব্য আসর সবাই কে একটি করে স্বরচিত কবিতা আবৃতি করতে হবে। আমাকে আবৃতি করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা হলে(হয়ত আমার চেহেরা একটু আতেল মার্কা দেখে) আমার তো অন্তরাত্বা খাচাছাড়া হবার যোগার হল, জাতীয় সঙ্গিত গাইতে হবে বলে স্কুলে এসেম্বলি ক্লাসে আসতাম না আর এখন শেষ বয়সে কবিতা আবৃতি করতে হবে তাও আবার স্বরচিত, অঁহু অসম্ভব, তউবা করলাম আর যেকোন মেলায় যেতে পারি কিন্তু কবি মালায় নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।