সাধারন টিউনার। আপনাদের সাথেই আছি সবসময়। সাম্প্রতিক সব খবর নিয়ে :)
প্রিয় দেশবাসী,
আমরা আজ, আমাদের জীবনের সবচেয়ে সুসময়ে এসে উপনীত হয়েছি। আমরা সবাই আজ গর্বিত। আমরা গর্বিত, কারন আমরা সবাই ঐক্যমতে পৌছাতে পেরেছি।
আমরা আবারো ফিরিয়ে এনেছি তারুন্যের গৌরব, বাংগালীর অহংকার আর মুক্তিযুদ্ধের দৃঢ় চেতনাকে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় এ দেশের সুর্য সন্তানদের ত্যাগ আর সংগ্রামকে। দেশের জন্য আত্মত্যাগ আর দেশপ্রেম-এর শক্তিতে বলীয়ান হতে শিখিয়েছেন ১৯৭১ সালের মুক্তিকামী মানুষেরা, মুক্তিযোদ্ধারা। আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম, সেই গভীর অনুভবকে রক্তে বয়ে নিয়ে চলেছি। বয়ে চলেছি, বাংলা মায়ের দাবী, শহীদ-দের রক্তঋন।
১৯৭১ থেকে ২০১৩, এই সু-দীর্ঘ সময় আমরা পার করেছি, রাজাকার আর তাদের কৃতকর্মের পাপকে নীরবে সহ্য করে। তাই তারা দিনে দিনে হয়ে উঠেছিলো অহংকারী। তারা শুধু ৭১রেই এই দেশ-কে অসম্মান করেনি, খুব সুচতুর ভাবে বিস্তার করেছে তাদের অপছায়া। আজ তাদের অপছায়ায় দীক্ষা নেয়া তরুনরাও নিজের দেশের সম্মান কে অস্বীকার করে, অস্বীকার করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে, হেয় করে ৫২ ৬৯ ৭১ কে। ততকালীন ঘৃন্য রাজাকার-রা আজ এই জীবন্ত পুতুলদের ঘাড়ে ভড় করে শক্তিশালী হয়েছে।
দম্ভ করে ঘুরে বেড়িয়েছে মুক্ত-স্বাধীন বাংলাদেশে। মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করেছে। কিন্তু আর কতদিন বইবো এই গ্লানী আর রক্তঋন?
শুরুটা করেছিলেন জাহানারা ইমাম আর শেষ করবো আমরা, তরুনরা। আমরা চুকাবো সব। দিন এসেছে, সব কড়ায় গন্ডায় ফেরত দেয়ার।
দাবি নিয়ে এসেছি, ফাঁসীর দাবি।
আমরা 'বাংলাদেশ সাইবার আর্মী' দেশের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় হ্যাক্টিভিস্ট ও সাইবার নিরাপত্তা দল, সম্মান জানাচ্ছি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। যাদের কারনে এই গণজাগরন আরো শক্তিশালী হয়েছে। আমরা পেয়েছি অনুপ্রেরনা। শ্রদ্ধাভরে স্মরন করছি ৩০ লক্ষ শহীদ-দের।
আর সেই সাথে 'বাংলাদেশ সাইবার আর্মী' এই গণজাগরনের সাথে গর্বিতচিত্তে ঐক্য প্রকাশ করছে। এই আন্দোলন যেনো বৃথা না যায়। তাই আমরা আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি এই জাগরনে ঢেলে দিতে চাই। আমাদের কর্মকান্ড হবে শান্তিপুর্ণ এবং স্বাধীনচেতা।
প্রিয় দেশবাসী,
রাজাকার, শব্দটির সাথে জড়িয়ে আছে একটি ঘৃন্য অতীত।
এক ইতিহাস, যা কিনা তারাও মনে রাখতে চায় না। আর সে জন্য, তারা নানা ভাবে পালটে দিচ্ছে ১৯৭১-এর ইতিহাসকে। তারা তাদের কু-বুদ্ধিকে পুঁজি করে একে একে বদলে দিয়েছে স্বাধীনতার মুল ইতিহাস কে। সে সময়ের খুনি-ধর্ষক-লুন্ঠনকারী-বেঈমান, আর বড় সাধু সেজে বসে আছে। তারা আজ নানাভাবে রুপ পরিবর্তন করে, মানুষকে ভুল পথে চালনা করছে।
তাদের এই কর্মকান্ড শুধুমাত্র সমাজে নয় বরং তারা হাত দিয়েছে অনলাইনেও। উইকিপিডিয়া দেখুন। আপনি বুজবেন তাদের মিথ্যার জোড় কতটুকু। সেখানে লিখা হয়েছে মিথ্যা ইতিহাস। আর আমরা কোটি জনতা তা খেয়াল করছি না।
আসুন, যারা অনলাইনে লিখা-লিখি করি, যারা পত্রিকায় লিখি, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাগত তরুন-তরূনীদের পাঠদান করি, যারা সঠিক ইতিহাসটা জানি, তারা সবাই মিলে, আবার ঠিক করে লিখে দেই ৫২ ৬৯ ৭১ এর ইতিহাস। আর এই কাজ করার সুসময় এখনি। কারন আমাদের পাশে থাকবে সে সময়ের সুর্য-সন্তানরা, মুক্তিযোদ্ধারা। যারা এক-এক জন বয়ে বেড়াচ্ছেন সঠিক ইতিহাস। আমাদের এখনই লেগে পড়া উচিত, আমরা জানি, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদেরকে সাহায্য করবেন, কারন দেশপ্রেমে বলিয়ান মানুষ কখনই দুর্বল হয় না।
আসুন ছড়িয়ে দেই গর্বের ইতিহাস, স্বর্ণালী অতীত আর গর্বিত প্রহরগুলোকে।
নিচের দেয়া লিঙ্ক গুলোতে সঠিক ইতিহাসটি তুলে ধরুনঃ
http://bn.wikipedia.org/wiki/রাজাকার
http://bn.wikipedia.org/wiki/আল_বদর
http://bn.wikipedia.org/wiki/মতিউর_রহমান_নিজামী
http://bn.wikipedia.org/wiki/গোলাম_আযম
http://bn.wikipedia.org/w/index.php?title=আলী_আহসান_মুহাম্মদ_মুজাহিদ
http://bn.wikipedia.org/wiki/দেলোয়ার_হোসেন_সাঈদী
http://bn.wikipedia.org/w/index.php?title=মো:_কামরুজ্জামান
http://bn.wikipedia.org/w/index.php?title=আবদুল_কাদির_মোল্লা
NB: লিস্ট আপডেট করা হচ্ছে, আপনাদের কাছে আরোও সাইট থাকলে তা দিন, এবং জামাত এর বাইরে যত রাজাকার আছে ওদের নামও দিন।
প্রিয় দেশবাসী,
৭১ সালের সেই সব কু-চক্রীরা আজ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত তরুনদের নানা ভাবে ব্যাবহার করছে। তাদেরকে এক-একটা জীবন্ত পুতুল বানাচ্ছে। এদের দিয়ে বানিয়েছে ব্লগ, ওয়েবসাইট, অনলাইন সংবাদমাধ্যম।
নামে বা বেনামে সেগুলো সুচতুর ভাবে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে অবজ্ঞা করছে। সাম্প্রদায়িকতার বিষ ঢোকাচ্ছে তরুনদের মানসিকতায়। আর এই কাজটিও করছে কিছু নির্লজ্জ লেখক,ব্লগার এবং সাংবাদিকদের সাহায্যে। যারা এখনো পাকিস্থান প্রেমকে হৃদয়ে বয়ে বেড়ায়। কিন্তু আমরা অবাক হই, এই সব স্বাধীনতা বিরোধী ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে এমন কিছু সাইট আছে যে গুলো ডট বিডি (.bd) ডোমেইন ব্যাবহার করছে।
ফলে তাদের এই মিথ্যা অপপ্রচারে অজ্ঞানে বা স্বজ্ঞানে স্বাহায্য করছে কিছু সরকারী কতৃপক্ষ। নাহলে কিভাবে সেগুলো এতোদিন চলছে? আসুন সেগুলোকে প্রতিহত করি।
আমরা 'বাংলাদেশ সাইবার আর্মী' দেশের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় হ্যাক্টিভিস্ট ও সাইবার নিরাপত্তা দল, খুবই শান্তিপুর্নভাবে আহ্বান জানাচ্ছি, Bangladesh Telecommunications Company Ltd এবং Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission -এর কর্মকর্তাদের, তারা যেন সে সকল ডোমেন নেমকে সল্পতম সময়ের মধ্যে বাতিল করে দেন। পাশাপাশি, নিম্ন লিখিত ডোমেন গুলোকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ বা ব্লক করে দেন। কারণ হ্যাক করলে হয়তো কয়েক ঘন্টা অথবা কয়েকদিন এর জন্য বন্ধ হবে কিন্তু ডোমেইন বাতিল করলে আজিবন এর জন্য শেষ হয়ে যাবে।
আর দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ, তারা যেনো এ ব্যাপারে কতৃপক্ষকে আরো তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন।
ডোমেন লিঙ্কঃ
http://www.shibir.org
http://www.shibir.org.bd
http://www.jamaat-e-islami.org
http://www.dushibir.org
http://www.jamaateislamihind.org
http://www.jamaatdhakacity.org
http://www.jamaatwomenwingdc.com
http://www.ghulamazam.info
http://www.freejamatleaders.com
http://www.ruetshibir.org
NB: লিস্ট আপডেট করা হচ্ছে, আপনাদের কাছে আরোও সাইট থাকলে তা দিন, এবং জামাত এর বাইরে যত রাজাকার আছে ওদের নামও দিন।
আমরা 'বাংলাদেশ সাইবার আর্মী' দেশের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় হ্যাক্টিভিস্ট ও সাইবার নিরাপত্তা দল, সবাই কে জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা। আমাদের এই প্রাথমিক কর্মকান্ডে আপনাদের সকলের সহযোগীতা কামনা করছি। আমদের একতাই আমাদের বিজয়ের মুলমন্ত্র।
দেশের জন্য আমরা কাজ করেছি, করি এবং করব।
ধন্যবাদ।
---------------------------
আমরা সবাই মিলে একক সত্বা
আমরা শুন্যে বিভক্ত
আমাদের কাজ দেশের জন্য
আমদের লড়াই মানবতার জন্য
আমরা ন্যায়-এর পক্ষে
আমরা,
বাংলাদেশ সাইবার আর্মী
---------------------------
NB: আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে অথবা এই মেসেজ এর ব্যাপার এ কোন কথা, বা সাইট এর লিস্ট আপডেট এ সহায়তা করতে, অথবা আপনার কাছে প্রমাণ সহ তথ্য থাকলে যোগাযোগ করুনঃ http://www.twitter.com/bdcyberarmy অথবা অথবা facebook এ আমার সাথেও কথা বলতে পারেন, http://www.facebook.com/Lonely.Raider । যেহেতু কিছুদিন আগে Facebook বাংলাদেশ সাইবার আর্মি এর Official Page ব্যান করে দিয়েছে, তাই এখন থেকে আমরা Twitter এ আমাদের কে Follow করতে পারবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।