আগামী ২১ আগস্ট ২০০৯ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর এক্সপেরিমেন্টাল হলে সন্ধ্যা ৭.৩০টায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী'র কেন্দ্রীয় নাটক বিভাগের পঞ্চদশ প্রযোজনা নতুন নাটক "হাফ আখড়াই" এর প্রদর্শনী। নাটকটি রচনা করেছেন রতন সিদ্দিকী এবং নির্দেশনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম।
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন আমিনুল ইসলাম তপন, মারুফ রহমান, শহীদুল আলম দীপু, জিয়াউর রহমান লিটু, অমিত রঞ্জন দে, নাজমূল হক বাবু, আলমগীর হোসেন, রতন দেব, আনোয়ারুল হক, ফাহমিদা হক কলি, রিফাত, আইনুল ইসলাম অপু, শামীমা আক্তার মুক্তা, শারমিন আক্তার রিনি, আশরাফুন্নাহার মালা, হামিদুল ইসলাম হিল্লোল, আইনুন ইসলাম অপু এবং মাসুম।
কাহিনী সংক্ষেপ: বাংলা টপ্পা গানের জনক রামনিধি গুপ্ত ১৮০৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আখড়াই দল। কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত এই দলে তাঁর নিজস্ব গায়কি রীতি তিনি প্রচলন করেন।
ধীরে ধীরে তাঁর গায়কি রীতি এবং সৃজিত গীতাবলি সমকালে যথেষ্ট সমাদৃত হয়। নিধুবাবু তাঁর কালে হয়ে ওঠেন জনপ্রিয়তম শিল্পী। নিধুবাবু বিশ্বাস করতেন রসসৃষ্টি ব্যতীত সংগীতের আর কোন উদ্দেশ্য নাই এবং সংগীত সকলের কর্ম নয়। সংগীতের স্রষ্টা বিশেষজনেরা এবং ভোক্তা কেবল ধনী ও গুনিরা। বার্ধক্য জনিত কারণে ১৮৩২ সালে তিনি আখড়াই দলের অধ্যক্ষ পদ পরিত্যাগ করেন এবং তাঁর প্রিয় সুযোগ্য শিষ্য মোহনচাঁদ বসুকে তিনি অধ্যক্ষ নিয়োগ করেন।
গুরুভক্ত ও দৃঢ়চেতা মোহনচাঁদ বসু অধ্যক্ষ পদ লাভের পর তাঁর নিজস্ব মত ও রীতি প্রচলন করেন। মোহনচাঁদ বিশ্বাস করতেন মানুষের জন্য সংগীত। তিনি বৈষ্ণব পদাবলী, মঙ্গলকাব্য, নাথগীতিকা প্রভৃতি নাট্যগুন সমৃদ্ধ বাংলা কাব্যকে উপস্থাপন করেন নিজস্ব রীতিতে। তাঁর পরিবেশনায় এসব কাব্য নাট্যক্রিয়া হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
রামনিধি গুপ্ত পরিবেশন রীতির এই পরিবর্তনকে গ্রহণ করতে পারেন নি বলে দলে দ্বন্দ সৃষ্টি হয়।
মোহনচাঁদ বসু দল থেকে চলে গিয়ে গঠন করেন 'হাফ আখড়াই' দল। মোহনচাঁদ বসুর হাফ আখড়াই দল মাত্র এক বছরের মধ্যে কলিকাতায় অসম্ভব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ইতোমেধ্যে এদর সাথে ছদ্মবেশে যুক্ত হয় ইংরেজ বিরোধীরা। হঠাৎ দেখা যায় কে বা কারা এক রাতে মোহনচাঁদের হাফ আখড়াই দলে আগুন ধরিয়ে দেয়ায় আগুনে পুড়ে মৃতূ্য বরণ করে দলের অধিকাংশ সদস্যরা। তারপর নিঃসঙ্গ মোহনচাঁদ বসু আবার নতুন করে দল গঠনের চেষ্টা করে।
ইতিহাসের ক্ষীণসূত্র নিধুবাবু ও মোহনচাঁদের দ্বন্দকে অবলম্বন করে গড়ে উঠেছে হাফ আখড়াই নাটক। এখানে আছে ইতিহাসের চরিত্র রামনিধি গুপ্ত, তাঁর প্রেমিকা বারাঙ্গনা শ্রীমতি, শিষ্য মোহনচাঁদ বসু, সংগ্রামী গঙ্গাঁনারায়ন আর আছে অনৈতিহাসিক চরিত্র শ্যামদাস, হরিশচন্দ্র, সত্য, বলরাম, চন্দ্রলেখা, কুন্দ, শৈব, নিকুঞ্জ, সার্জন, কেষ্ট, তারা প্রমূখ।
শো'র পূর্বে হল কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।