সেলিম আল দীন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর শিল্পপিতা....স্যারের আজ জন্মদিন। স্যার নেই। শুয়ে আছেন তার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে। আজ সকালে আর দল বেঁধে যাওয়া হবেনা স্যারকে সালাম করতে। দেখা হবে না স্যারের অভিমানি মুখ। আর কখনো স্যারের সাথে হাঁটা হবে না ক্যাম্পাসের রাস্তায় রাস্তায়। হাঁটতে হবে এই ভয়ে হবে না পালাতে। স্যার ধরে ধরে শেখাবেন না পাখি, গাছ, ফুল, পতঙ্গের নাম।
হলে ফিরবার সময় দেখলাম স্যারের কবর জুড়ে জোনাকি জ্বেলেছে স্যারের শিল্পউত্তরসূরীরা....খুব কান্না পেল....
থেকে থেকে শুধু মনে হচ্ছে কাল সকালে স্যার কে বলতে পারবো না
শুভ জন্মদিন
সেলিম আল দীন
এইভাবে ডুবে যায় সূর্য
চাঁদ পেরোয় অজস্র হাতহদাইয়ের হাট
বুকপোরা স্বপ্নে আচ্ছাদন গাড়ে সদা
জীবনজীবিকা বিবমিষা চাকা
এইভাবে সমুত্থিত পাহাড়টিলা
নেমে আসে বিরান জলায়
পাশে তুলে রাখে কিত্তনখোলা কেরামতমঙ্গল
হরগজ ধ্বস্ত বাংলাদেশ
এইভাবে ফাঁকি দিয়ে ফাঁকা হয়ে যায়
অমৃতনগরী; শীতলাগা সারসের ভূমি
পাতাঝরা সকালের হাড়ে লাগা সমীর
মুক্তমঞ্চের সবগুলো সিঁড়ি
পিতাহীন প্রীতিহীন শিশিরসকাল
ফিরে ফিরে আসে প্রতিভাত প্রতিভাস
নিমজ্জন; এক মঞ্চ অনেক আকাশ
অবিভাজ্য মুখোশে
ভোরবেলা। কে আর মেরেছে লাথি, আমার দরজায়?
(সেলিম আল দীন-- শিল্পোত্তোর্ণেষু)
ঘোলাটে মেঘলা কালো তীর
অস্পষ্ট নদীর; তবু দূর
তির্যক রৌদ্রের স্বর্ণভোর
গীতভাঙা কালিন্দীর বুক
দেবদারু পাতাখসা জোঁক
ঠিকানাবিহীন স্বর্ণকুচি
হিরে; তীর রেখা ঘিরে
কী একত্র কলকথারব
ছায়া আজ ডেকে নিয়ে গেছে
ভোরের বাতাসে চলাচল
নখলার অধর কেরামত;
কে ফেরাবে সোনার স্বপ্নজ
শিল্পদিন; ভাঙনের কৃষ্ণদিন
কূটকৃষ্ণগহবর থেকে?
‘স্মৃতি এক শবযাত্রা’ এই
সত্য জেনে; মৃত্যু ললাটেই
বুকফাঁটা আহাজারি আর
আমাদের মিলিত যাত্রার
কতশত ততকথা পদ
মনে পড়ে মনে পড়ে তাঁর
অমল কান্নার শিল্পভার...
“কত ছাওয়াল মাতৃহারা পইড়া পথের পাশে
চিক্কুরিয়া উইঠা মরে জলের তিয়াসে ॥”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।