ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে মনে হল ১টা কচ্ছপ পালতে পারলে খারাপ হতনা। কিন্তু কোথায় পাব,, কিভাবে পালব? এই চিন্তায় আর কচ্ছপ পালা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু কচ্ছপ পালার ইচ্ছা মনে থেকেই যায়।
রুমমেটদের নিয়ে গবেষনা শুরু করলাম কচ্ছপ নিয়ে। পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম কাটাবনে কচ্ছপ পাওয়া পাবে।
আমাকে আর পায় কে? ৯মাস আগে ক্লাস করে রুমে এসে দেখি বিশাল ১টা ব্যাপার ঘটে গেছে আমার বিছানার ওপর একটা গোলাকৃতি জার ২টা পিচ্চি মাছ আর একটা কচ্ছপ পূরবী আর নুপূর আমার জন্মদিনের আগাম gift দিছে।
ইস্ সেকি আনন্দ মনে হচ্ছিল আমি স্বর্গে বাস করছি। কচ্ছপটার ১টা নাম দরকার। আমি ওর নাম দিলাম Little monster. যদিও বাবাসোনা বলে বেশি ডাকি।
কচ্ছপটা আমাকে আর রুমমেটদেরকে চিনেফেলেছে।
সারাদিন আমাদের হাতে থাকে। ওর আদরের কোন শেষ নাই। তবে একটু বেশি পাজি। আমাদের কাউকে জারের পাশে দেখলে এমন করে পানিতে দাপাদাপি করে,,, আর বিছানায় ছেড়ে দিলে জোরে দোড় দেয়। সারাক্ষণ ভয়ে থাকি যদি নিচে পড়ে যায়? কিছুদিন পরে লক্ষ করি ও ইচ্ছা করে খাটের ওপর থেতে লাফ দেয়।
নিচে পড়ে এমন জোরে দৌড় দেয়। মনে পড়ে কচ্ছপ আর খরগোশের গল্পটি।
কচ্ছপ কখনো এক মূহুর্তের জন্য হাটা বন্ধ করেনা। যে কারনে খরগোশ ওকে কখনোই হারাতে পারবেনা।
ধীরে ধীরে আমার বাবাসোনা আমার ব্লকে বেশ পরিচিতি পেয়ে গেছে।
একদিন ওকে কোথাও খুজে পাইনা। টেনশনে আমার অবস্থা খারাপ। রুমমেটরা মিলে খুজছি। অনেক পরে এক মেয়ে এসে বলে আপনাদের না একটা কচ্ছপ আছে? ওইটা সিড়ির কাছে। উফ্ বাচলাম।
মেয়েরা আবার ওকে তাদের রুমে বেড়াতে নিয়ে যেত। তবে নতুন কাউকে দেখলে ও মাথা ভেতরে ঢুকিয়ে রাখত।
গত রোজায় ভার্সিটি বন্ধ হয়েগেলে ঠিক করলাম বাবাসোনাকে বাসায় নিয়ে যাব। তবে এতদূরের জার্নিতে বেচে থাকবে কিনা-তা নিয়ে একটু চিন্তিত ও ছিলাম। রিক্সা নিয়ে যাবার সময় মানুষের কি যে কৌতূহল!!!!! এইটা কি? কই পাইছেন? কত দাম? কামড় দেয়না?
একলোক জিজ্গেস করে,, এইটারে কি বড়বানায়ে রাইন্দা খাবা?
ওরে বাসায় নিলে নানি বলল কচ্ছপ শীতের সময় রাতে পানিতে থাকেনা।
তখন থেকে ওরে লেপের ওপর ছেড়ে দিতাম। ও লেপের এক কোনে গিয়ে ঘুমায়ে থাকত। একটানা ২দিন পর্যন্ত ঘুমায়ে থাকে।
একদিন মামার বাসা থেকে ফেরার পথে ও যেন কোথায় পড়ে যায়
অনেক খুজেছি কিন্তু ফিরে পাই নি।
To be continued.........................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।