আমার সম্পর্কে বলার মতো কিছু নেই।
১১ আগস্ট ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম বাঙালি শহীদ ক্ষুদিরামের ফাঁসিতে আত্মাহুতির ১০১তম বর্ষঃ
'একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি/হাসি হাসি পরবো ফাঁসি, দেখবে ভারতবাসী'
১১ আগস্ট ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম বাঙালি শহীদ অগ্নিশিশু ক্ষুদিরামের ফাঁসিতে আত্মাহুতির ১০১তম বর্ষ। ১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের মজঃফরপুর জেলে ফাঁসি দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিসন্তান শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম ৩ ডিসেম্বর ১৮৮৯ সালে মেদিনীপুর জেলায় বহুভাইনি গ্রামে। তাঁর পিতা ত্রৈলোক্যনাথ বসু নাদাজোলের স্থানীয় জমিদারের তহশীলদার ছিলেন।
ক্ষুদিরামের মাতার নাম লক্ষ্মীপ্রিয়া দেবী। অল্প বয়সেই মাতাপিতাকে হারিয়ে বড় বোনের কাছে লালিত পালিত হন। শিক্ষা জীবন শুরু করেন তমলুকের হ্যামিল্টন স্কুলে। পরবর্তীতে মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল পড়ার সময় সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সান্নিধ্য লাভ করেন। ১৯০২ সনে যূগান্তর দলে যোগ দিয়ে বিপ্লবী কর্মকান্ডে মনোনিবেশ করেন।
তিনি উপলব্ধি করেছিলেন জীবনের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজনে জীবন দিতে হয়। ১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল সহযোগী বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকীর সাথে মিলে অত্যাচারী কিংসফোর্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা পরিচালনা করেন এবং পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। এ মামলায় ১৩ জুন তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। কিশোর ক্ষুদিরাম বীরের মতো ফাঁসির দড়ি গলায় পড়েছিলেন। ১৯ বছরের এক যুবকের সাহসী আত্মদান জাগিয়ে তুলেছিল ভারতবাসীকে; শক্তিশালী করেছিল স্বাধীনতা আন্দোলন।
কবির ভাষায় 'ওরা দু'পায়ে দলে গেল মরণ শংকারে, সবারে ডেকে গেল শিকল ঝংকারে। '
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।