...
[আলসেমি'র কারণে নতুন করে লিখলাম না, আগের পোস্ট যারা পড়েছেন তারা কিছু ছবি দেখতে পারেননি তাই তারাও নতুন কিছু পাচ্ছেন]
গতকালই জানিয়েছি এবার কাণ্ড ময়মনসিংহে। আজকে তার ব্যাখ্যা। সারাদিন ঝটিকা সফরে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করলাম বন্ধুর বাইকের পেছনে বসে। দেখলাম অনেক অনেক জায়গা। সবগুলোর নামও মনে নেই।
ইন্টারনেটে যা গতি পাচ্ছি এখানে আর যেসব স্থাপনা দেখলাম ঘুরে ঘুরে মন বলছে ময়মনসিংহেই থেকে যাই। অনেক স্থানে মনে হলো ঢাকার মতোই জায়গার দাম।
প্রচুর রাজা-রাজরা আর জমিদারি স্থাপনা, বৃটিশ আমলের বিল্ডিং ইত্যাদি দেখে বুঝলাম ইহা ঐতিহ্যবাহী এক স্থান। জয়নুল আবেদীন, কুমুদিনী, দীনেশ চন্দ্র সেন, শচীন দেব বর্মন এমন আরো অনেকে আমার মনে হয় এই স্থানেরই সন্তান এ মুহূর্তে অনেক আগে পড়া ইতিহাস তেমন মনে পড়ছে না।
বন্ধুর কথামতো বুঝলাম শহরের এক-চতুর্থাংশ একদিনেই ঘুরে ফেলেছি।
টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ভেতরে ব্রোঞ্জের মুর্তি দেখলাম পাকসেনারা মুক্তিযুদ্ধকালিন সময়ে ভেঙ্গে ফেলেছে তাও যা অবশিষ্ট আছে, বেশ মনোমুগ্ধকর। কিছু কিছু ছবিও তুলেছি তবে ক্যামেরা না বন্ধুর নোকিয়া E63তে। এখন আর কথা না বলে সেগুলো দিয়ে যাই। পরে আরেক কিস্তি দেয়া যাবে।
ওহ হ্যাঁ ভালো কথা, মুক্তাগাছার মণ্ডা খেতে প্রায় ২০কি.মি দূরে গোপাল পালের অতি প্রসিদ্ধ মণ্ডার দোকানেও ঘুরে এসেছি।
প্রমত্ত ব্রহ্মপুত্র নদ
দূরে আকাশ আর নদ দিগন্তে হারিয়েছে
জয়নুলের সেই কাশবন নয়তো?
এবারে সেই বিখ্যাত মণ্ডা
বিভিন্ন উত্তরসূরী গোপাল পালের
ইনিই সেই বিখ্যাত গোপাল পাল
আরো কাছ থেকে দেখুন মণ্ডার স্বপ্নাদিষ্ট কারিগর(তিনি নাকি স্বপ্নে আদেশ প্রাপ্ত হয়েছিলেন বিশেষ রেসিপিতে এই মণ্ডা প্রস্তুতের, তাকে বলা হয়েছিলো এর নাম মণ্ডা রাখতে। ভবিষ্যদ্বাণী পেয়েছিলেন এই মণ্ডা দেশে বিদেশে সুখ্যাতি ছড়াবে। বংশানুক্রমে এটি ঐতিহ্যবাহী এক ব্যবসা হবে)
গোপাল পালের বংশতালিকা
ময়মনসিংহে গেলে অবশ্যই মুক্তাগাছায় যেতে ভুলবেন না আর এই দোকানের আদি অকৃত্রিম গোপালের মণ্ডা খেতেও ভুলবেন না। আসলেই স্বাদ ভোলার নয়। জিভে জল এলে আমার কাছে না চেয়ে আজই চলে আসুন মুক্তাগাছায়
মণ্ডার দোকানের সাথেই আছে এই মন্দিরটি
Daily Star এর বিশেষ পাতায় মণ্ডার উপর প্রতিবেদন বাঁধাই করা আছে ফ্রেমে।
একটু পড়েই ঢাকায় ফিরতে হবে.... শুভ সকাল সবাইকে।
এবারে একটি প্রচারপত্র মণ্ডা মিঠাই এর। বেশ আগের হবে এটি
টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ভেতরে গেলাম এই মূর্তি দেখতে, হাতগুলো মনে হয় পাকসেনারা ভেঙে ফেলেছিলো.. অথবা এরকমই তৈরি হয়েছিলো মূর্তিগুলো।
এটি অন্যপাশেরটি
আরেকটু অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে
এরা কি কিউপিড? নাকি স্রেফ গ্রীক দেবশিশু?
এই মূর্তীগুলো রূপালি রংয়ের
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।