অনেক দিন পরে আজ আবার লিখতে বসেছি মনে বড় কষ্ট নিয়ে। এক ভবিষ্যত আতংক আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। আমি জানি আমার মত অনেক অনেক মানুষ এই আতংকে ভুগছে। আমার ভয় হচ্ছে আমার সোনার বাংলাদেশ কি মরুভুমি হয়ে যাবে! টিপাই বাধ নিয়ে ভারত বাংলাদেশকে নিয়ে এমনি এক গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে যার প্রমান পাওয়া যায় পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তীর কি কথায়।
আপনারা জানেন ফারাক্কা বাধের কথা।
আমি রাজশাহীতে ৪ বছর লেখাপড়া করেছি তখন পদ্মাকে খুব কাছে থেকে দেখেছি। আপনারা হয়ত মানিক বন্দপাধ্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাস পড়েছেন। সেই পদ্মা আর আজকের পদ্মা আকাশ পাতাল পার্থক্য। আপনি এক ১% ও মিল পাবেন না আজকের পদ্মার সাথে। তখন বৈশাখ মাস আমরা কয়েক বন্ধুরা মিলে চিন্তা করলাম পদ্মা পাড়ি দিব।
তখন দেখলাম হায়রে পদ্মা! কথায় পদ্মা! এ যেন আমার বাড়ীর পাশের খাল। আবার বর্ষা মৌসুমে আমি পদ্মাকে দেখেছি। এটা যেন বর্তমান সিরাজগঞ্জ শহরের মত। আর একটু হলেই যেন রাজশাহী হয় বর্তমান সিরাজগঞ্জ এর মত।
আসলে ভারত তাদের ইচ্ছা মতো পানির ব্যভার করছে।
যখন গ্রীস্ম কাল তখন তারা ফারাক্কা বাধ ছেড়ে দেয় আবার চৈত্র মাসে তারা পানি আটকিয়ে রাখে। ঠিক সে রকমি হবে যদি টিপাইমুখী বাধ বাস্তবায়ন হয় তাহলে রাজশাহির মত সিলেটেরও একই অবস্তা হবে। তারা আমাদের পদ্মা শেষ করেছে এখন শেষ করতে চায় সুরমাকে।
সংসদীয় তদন্ত কমিটি তারাও তেমন কোন আগ্রগতি ছাড়াই ফিরে আসছে এমনকি তারা সরে জমিনে পরিদর্শন করতে পারে নাই। আবার ভারতের পররাস্ট মন্তীর সুরও পিনাকের মত।
আমি মনে করি দেশের সার্থে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। প্রযোজনে আন্তর্জাতিক আদালতের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। সাথে সাথে এদেশের জনগনকে আরও সতর্ক হতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।