দিলের দরজা ২৪/৭ খুইলা রাখি মাছি বসে মানুষ বসে না। মানুষ খালি উড়াল পারে! এক দিন আমি ও দিমু উড়াল, নিজের পায়ে নিজে মাইরা কুড়াল...
গত মাসে ছবি'র হাটের ছবিয়ালরা সমসাময়িক কিছু ভাবনাকে উপজীব্য করে সপ্তাহ ব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করে ছিল। পরে কর্মশালার কাজ গুলো নিয়ে চারুকলার উল্টো দিকের ছবির হাটে তিন দিন ব্যাপী সেই সব স্থাপনা শিল্পের একটা উন্মুক্ত প্রদর্শনীর আয়োজন করে। দেশের বাইরে থাকতে বন্ধু তুহিনের কাছে ছবির হাটের নাম শুনি প্রথম, এর পর এ সম্পর্কে কখনো কাগজে পড়েছি কখনো পড়েছি ব্লগে। ব্লগার মেযবাহ য়াযাদের সাথে বন্ধুত্বই হলো আমার এই ছবির হাট সুত্র ধরে!
আমি যখন দেশ ছাড়ি তখনকার ঢাকা শহর আর এখনকার ঢাকা শহরের মাঝে আসমান জমিন ফারাক! গ্রীন রোডের ছোট্ট কালভার্টটা পেরিয়ে এলিফেন্ট রোডের দিকে যাবার রাস্তাটা ছিল ছায়া শ্যমল কোকিল ডাকা।
পাবলিক লাইব্রেরীর সাইকেল ষ্ট্যান্ডটায় ছিলনা কোন লোহার গরাদ। চারুকলার উল্টো দিকে পানির পাম্পের পাশ দিয়ে তারকাটা বেড়ার ভেতর ছিল মোল্লা চাচার চায়ের টং ঘর। এসবের কোন কিছুই আর এ শহরে এখন নেই।
প্রতিবার দেশে এলে শাহাবাগ এলাকায় এক বার দুই বারের বেশী ঢু'মারা হয়ে উঠত না। এবার কেমন করে যেন কি হয়ে গেল! এখন শাহাবাগ গেলে আবার ২২/২৪ বছর আগের মত মনে হয়।
যদিও কোন কিছুই আর আগের মত নেই। ম্যানড্রেক্স কিংবা চরশ ত দূরের কথা, সিগারেট পর্য্যন্ত খাওয়া বাদ দিয়েছি। ছবির হাটের ছবিয়াল থেকে হাটের হাটুরে অনেকেই অবাক হয় বলে, আশ্চর্য্য মানুষ আপনে বিড়ি সিগারেট কিছুই খান না! আমি মনে মনে হাসি বলি না কিছুই। ব্যার্থ প্রেমের দিন গত হইছে সেই কবে। এখন আমি জীবন কে ভালোবাসি বড়ো।
এক জীবনে যে জীবন ছবি তুলতে পারি নাই সেই জীবনের ছবি তুলব বলেইত এমন ফিরে আসা। বিড়ি সিগ্রেট ফোকার আর কোন সাধ নাই আমার।
১৯৮৬ সালে "প্রজন্ম" নামে একটা শর্ট ফিল্ম বানাতে যেয়ে ব্যার্থ হই। সেই ছবিতে মোল্লা চাচার চা'স্টলের একটা সিকোয়েন্স শুট করে ছিলাম, দূর্ভাগ্য বশত সেই টেপটি আমার খোয়া গেছে। সে দিন সন্ধ্যায় ছবির হাটে যখন ছবি তুলছিলাম দুই যুগ আগের কিছু অন্ধকার স্মৃতি মনে হয়ে গেল!
ছবির হাটের ছবি তুলতে যেয়ে মনে হলো ছেড়া কাঁথায় শুয়ে স্বপ্ন দেখাটা কত জরুরী।
মানুষ জীবনে ব্যার্থ্য হয় বলেই বুঝি সে স্বার্থক হতে পারে। যে স্বপ্ন কখনো মানুষের কাছে খুব বেশী ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে সেই স্বপ্ন এক দিন মানুষই কেবল সার্থক করতে পারে অবলিলায়।
"ছবির হাট : মুক্ত পরিসরে শিল্পকর্ম উপস্থাপন" ফরমেট : এইচ ডি। দৈর্ঘ্য : ২৪ মিনিট
এটি একটি মীরা মিডিয়া প্রযোজনা
* আমার গত পোষ্টে ছবির হাটের ওপর নির্মীত এই ছবিটির তিনটি ভিডিও পোষ্ট করে ছিলাম। আপলোড করবার সমস্যার কারনে ক্লিপ গুলো খুব লো রেজ্যুলেশনে কম্প্রেস করে ইউটিউবে দিয়ে ছিলাম।
দেখতে ভালো লাগছিল না তাই আজ ভোর রাতে ছবিটির ফা্ইনাল কাট ভার্শনটি আবার অপ করে এই ব্লগটার সাথে জুড়ে দিলাম। সম্ভবত এ মাসের শেষ সাপ্তাহে ছবির হাটের মাসিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে প্ররিবেশ প্রেমী এই শিল্পীদের শিল্প কর্ম ও ভাবনা নিয়ে প্রামান্য চিত্র "ছবির হাট : মুক্ত পরিসরে শিল্পকর্ম উপস্থাপন" এর একটি প্রদর্শনী হবে। সাথে প্রকাশ পাবে এই শিল্প কর্মগুলো নিয়ে একটি প্রকাশনা।
পুনশ্চঃ হাতে সময় থাকলে এই ভিডিওটা দেখতে পারেন। না দেখলেও কোন লাভ/ ক্ষতি হবে না।
দেশের বাইরের থেকে ব্লগাইলে নেটের স্পিডে সমস্যা না থাকলে ইচ্ছা হইলে দেখা যাইতে পারে। কয় দিন আগেও পোষ্ট করে ছিলাম আজ আবার আগেরটা মুছে দিয়ে ভিডিও গুলো ভালো রেজ্যুলেশনে গুছিয়ে রাখলাম। দেখতে হবে বলে কোন কথা নেই, নাথিং ইম্পর্টেন্ট এনিওয়ে।
শুভেচ্ছা সকলকে। শুভ ব্লগিং।
সাইফুল ওয়াদুদ হেলাল
ঢাকা, বাংলাদেশ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।