আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৈকাল হ্রদে ঝাঁপ দিলেন পুতিন

আমি কিছুই লিখব না।

রুশ প্রধানমন্ত্রী ভ­াদিমির পুতিন শনিবার একটি মিনি-সাবমারসিবলে (পানির নিচে যাওয়ার যান) চড়ে বৈকাল হ্রদের তলদেশে ঝাঁপ দিয়েছেন। পুরুষালি ভাবমূর্তি তুলে ধরতে যতœবান পুতিন এই কাণ্ডের মাধ্যমে শিরোপায় নতুন পালক যোগ করলেন। জুডোতে ব্ল্যাকবেল্টধারী রুশ নেতা ইতিমধ্যেই জঙ্গি বিমানে করে আকাশ জয় করেছেন। গহিন জঙ্গলে গুলি করে সাইবেরিয়ান বাঘও শিকার করেছেন।

এবার তিনি বিশ্বের সবচেয়ে গভীর হ্রদের ১,৪০০ মিটার (৪,৬০০ ফুট) নিচে নামার জন্য ঝাঁপ দিয়েছেন মূল্যবান গ্যাস ক্রিস্টাল পরিদর্শনের জন্য। বৈকালের তলদেশে রয়েছে ক্লাথরেইট হাইড্রেট, এক ধরনের ক্রিস্টাল যারমধ্যে লুকিয়ে আছে রাশিয়ার মহামূল্যবান সম্পদ- প্রাকৃতিক গ্যাস। পানির নিচে বুদবুদ দিয়ে ওঠা এর একটি নমুনা মির-২ নামের সাবমারসিবলে ঢুকে ঢাকনা বন্ধ করার আগে পুতিনকে দেখানো হয়। ওশেনেলোজি ইনস্টিটিউটের প্রধান রবার্ট নিগমাতুলিন প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, "নিচে গিয়ে আপনি এগুলো স্পর্শ করতে পারবেন। খুব কম লোকই হাইড্রেট স্পর্শ করার সুযোগ পেরেছে।

আর বৈকালের হাইড্রেট তো হাতে তুলেছে আরও কম জন। " তিনি আরও বলেন, "আপনি ওগুলোতে আগুন ধরাতে পারবেন। পানির নিচে সেগুলো জ্বলবে। " ৫৬ বছর বয়সী পুতিন "আজ আর আগুন লাগানোর কাজ নেই" বলে সহাস্যে জলযানটির ভেতরে ঢুকে পড়েন। এরপর পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন হ্রদটির ভেতর সেটি মিলিয়ে যায়।

মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এই অভিযাত্রা পুরোটা সময় পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হবে। কেজিবির সাবেক গোয়েন্দা পুতিন এর আগেও এরকম আকর্ষনীয় কাণ্ডকারখানা করেছেন। জনমত জরিপে দেখা গেছে এতে তার অনেক ভক্ত জুটেছে, বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে তিনি বেশ সাড়া ফেলেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।