আমার ফ্যাক্টরি
জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকারের সময় বাংলাদেশে সর্বপ্রথম কালো টাকা সাদা করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরে। ১৫ শতাংশ কর প্রদার করার বাধ্যবাদকতা দিয়ে মাত্র ৭০ কোটি টাকা সাদা করা হয়। এসময় সরকার রাজস্ব পায় ১০ কোটি টাকা। পরের অর্থবছরে ঠিক একই সুযোগ করে দেওয়া হয়।
এরপর দ্বিতীয়বারের মত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয় ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরে এরশাদের আমলে এবং কর ধরা হয় ২০ শতাংশ।
এসময় ২০০ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয় এবং সরকারের কোষাগারে জমা হয় ৪০ কোটি টাকা।
১৯৮৮-৮৯ অর্থবছরে কর ধরা হয় ১০ শতাংশ এবং শর্ত দেওয়া হয় ’শিল্পে বিনিয়োগ করলে বিনা প্রশ্নে মেনে নেওয়া হবে’। এসময় ২৫০ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয় আর সরকার রাজস্ব পায় ৩৫ কোটি টাকা।
১৯৮৯-৯০ অর্থবছরে নিয়ম একই থাকে, সাদা হয় ৪০০ কোটি টাকা আর সরকার পায় ৪০ কোটি টাকা।
১৯৯৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের আমলে সব মিলিয়ে ১০০০ কোটি কালো টাকা সাদা হয় এবং সরকারের কোষাগারে জমা পড়ে ১০০ কোটি টাকা।
বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান। বিএনপি আমলে ৭৭৫ কোটি টাকা সাদা হয়। যেহেতু সেসময় কোন কর ধার্য করা হয়নি সেহেতু সরকারের পকেটে একটি টাকাও আসেনি। তবে শর্ত ছিল সেবার শিল্প বাণিজ্যে বিনিয়োগ করতে হবে। সব মিলিয়ে কালো টাকা সাদা করেন ১ হাজার ৭৭ জন।
২০০৭ সালে ফখরুদ্দিন সাহেবের সরকার আসার পর দুবছরই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়। তবে এসময় কালো টাকা না বলে অপ্রদর্শিত আয় বলা হয়েছিল। প্রথমবার ৪২ হাজার ৫৯১ জন করদাতা এ সুযোগ গ্রহন করে ৮ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা সাদা করেন মানে অপ্রদর্শিত আয় ঘোষনা করেন। সরকার রাজস্ব আদায় করে ৮০৩ কোটি টাকা।
পরের অর্থবছরে সুযোগ দেওয়া হয় চার মাসের জন্য।
সুযোগ লুফে নেন ১৪ হাজার ৬২২ জন করদাতা এবং ৭৮৮ কোটি টাকা অপ্রদর্শিত আয় ঘোষনা করে সরকারকে জরিমানা দেন ১০৮ কোটি টাকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।