আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শপথ নিলেন ১ মন্ত্রী, ৫ প্রতিমন্ত্রী

zahidmedia@gmail.com

মহাজোট সরকারের প্রায় ৭ মাসের মাথায় দ্বিতীয়বার সম্প্রসারিত হয়েছে মন্ত্রিসভা। শপথ নিয়েছেন একজন নতুন মন্ত্রী এবং পাঁচ জন প্রতিমন্ত্রী। নতুনদের মাঝে দায়িত্ব বন্টনের পাশাপাশি রদবদলও করা হয়েছে বেশ ক’জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দফতর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের কাজের পরিধি বৃদ্ধি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তায়নের লক্ষ্যেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছেন অ্যাডভোকেট শাজাহান খান।

নতুন প্রতিমন্ত্রীরা হলেন: মাহবুবুর রহমান, ব্রি. জেনারেল (অব.) এনামুল হক, ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মুজিবুর রহমান ফকির, অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন ও শারমিন শিরিন চৌধূরী। মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ হচ্ছে— বেশ কদিন ধরেই এমন গুঞ্জন চলে আসছিলো। কারা হচ্ছেন নতুন মন্ত্রী, পুরনোদের মধ্যে কারা বাদ পড়ছেন— এরকম নানা আলোচনাও চলছিলো রাজনীতির মাঠ থেকে শুরু করে সর্বত্র। আর এই জল্পনা কল্পনা সত্যি হয়ে দেখা দিলো বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার ১৬ ঘন্টার ব্যবধানে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রীদের শপথ পাঠ করান।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১টা ২০মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছান। এর কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় শপথ অনুষ্ঠান। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মণি, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার নতুন ৬ জনের যোগদানের মধ্যে দিয়ে মন্ত্রিসভায় এখন পূর্ণ মন্ত্রীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৫-এ এবং প্রতিমন্ত্রী ১৯ জনে। অ্যাডভোকেট শাজাহান খান দায়িত্ব পেয়েছেন নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের।

ব্রি. জেনারেল (অব.) এনামুল হককে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে, ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মুজিবুর রহমান ফকির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে, অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিনকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে, মাহবুবুর রহমান পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এবং শারমিন শিরিন চৌধূরীকে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পুনর্বন্টন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে শামসুল হক টুকুকে। গত ৩১ মে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ পদত্যাগ করেন। তবে তিনি গণমাধ্যমের কাছে পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে কোন কিছু বলতে রাজি হননি।

ডা. আফসারুল আমিনকে নৌপরিবহণ থেকে সরিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ড. হাছান মাহমুদকে পররাষ্ট্র থেকে সরিয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারকে বন ও পরিবেশ থেকে ভূমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শপথ অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের বললেন, সরকারের কাজে গতি আনতেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের কাজের পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং কাজ আমরা আরও দ্রুত করতে চাই। এজন্য আমরা মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করলাম।

” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের কিছু কিছু বড় বড় মন্ত্রণালয় আছে সেখানেও আমরা একজন স্টেট মিনিস্টার রাখবো। কিছু মন্ত্রণালয় আমরা আলাদা করে দিচ্ছি কারণ কাজগুলো যেন একটু দ্রুত হয়। একটার উপর কাজের চাপ বেশী পড়ে যাচ্ছে। ” নবম সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন গত ৬ জানুয়ারি। একই দিন শপথ নেন আরও ২৩ জন মন্ত্রী এবং ৮ জন প্রতিমন্ত্রী।

তাদেরকে শপথ পাঠ করান তৎকালীন রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহমেদ। মন্ত্রিসভায় অনেক নতুন মুখ আসতে পারে—এমনটা বেশ আগে থেকেই ভাবা হলেও নতুন মন্ত্রিসভা অনেককেই চমকে দেয়। আমির হোসেন আমু, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, আব্দুল জলিল এবং সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মতো আওয়ামী লীগের অনেক সিনিয়র নেতারই জায়গা হয়নি সেখানে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অংশ জাতীয় পার্টির জিএম কাদের পান বেসামরিক বিমান চলাচল এ পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। টেকনোক্র্যাট কোটায় দিলীপ বড়ুয়া অন্য যারা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান তারা হলেন, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ (আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়) এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ইয়াফেস ওসমান (বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়)।

এর ১৮ দিন পর পর গত ২৪ জানুয়ারি ৬ জন নতুন প্রতিমন্ত্রী শপথ নেন। তারা হলেন: অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন এবং অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।