কাল রাতে অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলাম। সময় তখন রাত সোয়া একটা। মোহাম্মদপুর তাজমহল রোড প্রধান সড়ক দিয়ে পার হতে গিয়ে হঠাৎ করে মনে হলো রাস্তার মাঝখানে একট রিক্সা দাড়িয়ে আছে। তার সামনে একজন লোক রিক্সা যাত্রীর সঙ্গে কথা বলছে। পেছনে দু'জন দাড়িয়ে আছে।
কিছুটা সামনে আরেকজন। হঠাৎ আমার মনে হলো ছিনতাই হচ্ছে। ড্রাইভারকে বললাম গাড়ি ঘোরাতে। ড্রাইভার গাড়ি ঘুরিয়ে আসতে আসতেই ছিনতাইকারীরা কেটে পড়লো। অবশ্য এরই মধ্যে ঐ ভদ্রলোকের সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
আমাদের পেয়ে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন ভদ্রলোক। আমি মোহাম্মদপুর থানার নাম্বারে তিনবার চেষ্টা করলাম। রিং বাজার পরও কেউ ধরলেননা। তাকে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিলেও তিনি যেতে রাজি হলেননা। বললেন- ঝামেলা করে লাভ কি?
আমাদের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি কমিশনার প্রায়ই বলেন পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
জোরদারের নমুনা অমিতো নিজ চোখেই দেখলাম।
থানার কুইক রেসপন্সও দেখলাম!
আর দেখলাম থানার প্রতি সাধারণ মানুষের ধারণা।
প্রতি মাসে ডিএমপি অপরাধ কনফারেন্স নামে একটি অনুষ্ঠান করে। এত কয়টি মামলা হয়েছে আর আগের মাসের তুলনায় কি পরিমাণ অপরাধ কমেছে তা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়।
কত অপরাধের হিসাব থানায় আসেনা তার হিসাব নেই।
ইদানীং ছিনতাই যে কি পরিমাণ বেড়েছে তা সাধারণ মানুষ জানেন। রাত বাদ দিলেও দিনদুপুরে প্রতিদিনই ছিনতাই হচ্ছে। ছিনতাই করে নির্বিঘ্নে কেটে পড়ছে অপরাধীরা।
তারপরও এটা দমনে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। উনি আবার সম্প্রতি বলেছেন তত্বাবধায়ক সরকারের শেষ ছয় মাসের তুলনায় এই বছরের গত ছ মাসে অপরাধ অনেক কমেছে।
উনি হয়তো তথ্র দিয়ে বলেছেন । কিন্তু সাধারণ মানুষ এই কথা কি বিশ্বাস করে?
আর এট কি সত্যি?
উত্তর কার কাছে??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।