এক কবুতর
দুই কবুতর
তিন কবুতর ডাকে
সকালবেলায় কবুতররা গল্প শোনায় কাকে? তোমাকে?
এক জোনাকি
দুই জোনাকি
তিন জোনাকি ওড়ে
পাতাস্তুপের মধ্যে যখন হচ্চে লেখা চিরকুটটাও পোড়ে
এক হরিয়াল
দুই হরিয়াল
তিন হরিয়াল গাছে
দুপুরবেলায় বুঝতে পারি, আমার বুকে ঘুঘুর বাসা আছে
এক মৃগয়া
দুই মৃগয়া
তিন মৃগয়া বনে
ই-মেল পাঠায় ফিমেল হাওয়া
বন্য হবার (দস্যুবৃত্তির)
তুরীয় নিমন্ত্রণেঃ
দিদি, বউদি, মহিলা সাপ ইত্যাদি
টোকন ঠাকুর
মহিলা সাপের ঠোঁটে বেশি বেশি বিষ
জিহ্বায় লালাÑ
জড়িয়ে বলল, ‘ওঝা হলে বুকে হাত দিস,
আমি তোর খালা...’
অথচ আমার মায়ের কোনো বোন নেই
নেই বান্ধবী,
দেখলাম সাপের কোনো মন নেই
দেহটা সবই...
শুনলাম সাপের ফোসে ইশ ইশ, সকাতর সুর :
‘মার আমাকে মারÑ
ভেঙে দে সুড়ঙ্গমুখী নীল-অন্তপুর, সমস্ত দুপুর
করেছি উজাড়...’
আমিও উজাড় করে চুমু-টুমু দিলে
মহিলা সাপকে বলি
লালা-বিষ-দিদি
নীলপুরে যেতে যেতে ওঝা মাপে নীলে
দিদির পরিধি
(কেউ আসলে ট্যাবু গড়ে, কেউ ভেঙে চলি)
দিদিকে তিরিশ মিনিট মনে হলো দিঘি
কী হারানো দাবি?
‘পারলে ডুবুরি হ, ডুবে ডুবে জল খাÑ
খোঁজ নাকছাবি’
যা কী না হারিয়ে গেছে নাকডোবা জলে
‘...খুব অসভ্য তুই’
দিদিকে বউদি বলে মিন করি, ‘তলে তলে
বউদির সঙ্গেই শুই’
টো ক ন ঠা কু র
আমি রিলেটিভ, মেসো
যমুনা বলিতে পারিত, ‘আবার আসবেন’
কিন্তু যমুনা কহিল, ‘... এসো’
আমি নির্বাক, আমি কবিযশোপ্রার্থী
আমি রিলেটিভ, আমি যমুনার মেসো
যমুনা বলিতে পারিত, ‘ব্যাগটা একটু ধরেন’
যমুনা শুধু বলিল, ‘মেসো, ধরেন’
ধপ করে কারেন্ট চলে গেল, ধব ধব
ঢিব ঢিব... বুকের মধ্যে শ্বন্ধ হচ্ছিল ধুব ধুব
মনেই ছিল না যে, আমি কে? আমার নাম কি হরেন
না নরেন?
আমি যমুনার মেসো হই, যথে®দ্ব ডি¯েদ্বন্স
ডি¯েদ্বন্স ঘুচাল কে? আমি, না যমুনা?
যমুনা বলতে পারত, ‘ব্যাগটা আবার ধরেন’
কিন্তু বলল, ‘ধরেন’
বললাম, ‘কি?’
বলল, ‘কমু না’
বিদায়লগ্নে, ‘আবার আসবেন’ না বলিয়া কহিল, ‘... এসো’
সঙ্গত ধাক্কা খাই, ধাক্কায় ধাক্কায় উঠে দাঁড়াই, দাঁড়াতে হবেই
কারণ, আমি রিলেটিভ, আমি যমুনার মেসো
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।