আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অতি বৃষ্টিতে ঢাকাবাসীর হাল-হকিকত !!!



রাত দশটার পরই ঝুমঝুম বৃষ্টি। এগারোটা নাগাদ রাতের খাবার সেরে বিড়ি খেতে যেয়ে মনে পড়লো- স্টক শেষ। বাসা থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ গজ বেরুলেই দোকান। বেরুনোর সময় ছেলে বললো- সেও যাবে। এই রাতেরবেলা বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর আসবে, বুঝানোর চেষ্টা করলাম।

তাইলে তুমিও বাইরে যাবেনা... উল্টো সে আমাকে শর্ত দেয়। যাহ্ শালা ! আজ রাতে সিগারেটই খাবো না। এভাবে কোনো মতে ঘন্টাখানেক কাটালাম। লেকিন, দিল হ্যায় কি মানতা নেহি...। বাইরে কুত্তা-বিলাই বৃষ্টি।

ভেতরে খরা আর হাহাকার ! ছেলের প্রতি বেজায় রাগ হলো। রাগ নিয়েই ঘুমাতে গেলাম। আবহাওয়ার কারণে অনেকদিন বাদে চমৎকার ঘুম হলো। খুব সকালে বৌয়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো। মোবাইলে দেখলাম, ৬ টা বেজে ৪০ মিনিট।

কী সমস্যা ? নিচে দেখো, সারা ঘরের কী অবস্থা ! সারা ঘর জুড়ে পানি...। চেখের ঘুম হাওয়া। লাফ দিয়ে উঠলাম। নিচে পা দিতে যেয়েই পা টেনে নিলাম। ফ্রিজ, কম্প্যুটার আর টিভির ইলেকট্রিক কানেকশন অফ করলাম।

সাবধানে নিচে নেমে আসলাম। গোড়ালী ড়ুবে গেলো। সব্বোনাশ ! ফ্লোরে কমপক্ষে ২/৩ ইঞ্চি পানি !! বাইরের বারান্দায় বেরিয়ে দেখলাম, তখনও ম্যালা বৃষ্টি। দরজার বাইরে রাখা আমার সেন্ডেল আর জুতা ভেসে গিয়ে মেইন গেটে ঠেকে আছে। বারান্দায় রাখা মটর সাইকেলের চাকা প্রায় ইঞ্চি চারেক ডুবে আছে।

বাসার পানি সরাতে হবে... কী করবো, বুঝতে পারছিনা। অবশেষে পুরোনো একটা মেলামাইনের প্লেট দিয়ে পানি সেচা শুরু কললাম। ঘন্টাখানেক বাদে মোটামুটি পানি আয়ত্বে আসলো। ঘড়িতে ৮ টা ২০ মিনিট। তাড়াতাড়ি গোসল টোসল সেরে অফিসের জন্য রেডি... কিন্তু যাবো কীভাবে ? বাইরে বৃষ্টি, তবে মাত্রা আগের চেয়ে অনেক কম।

ছেলের রেইনকোর্ট, হলুদ হেলমেট পরে বাসা থেকে রাস্তায় বেরিয়ে সিম্পলি বেকুব হয়ে গেলাম। গলিতে অন্তত ১ ফুট পানি... ফার্স্ট গিয়ারে আস্তে আস্তে চালাচ্ছি। ভয়ে আছি, মটর সাইকেল যদি বেঈমানী করে বসে... স্টার্ট বন্ধ হলে পানিতে জুতাসহ পা ডোবানো ছাড়া গতি থাকবেনা। যাক বাবা, বাঁচলাম ! মেইন রোডে উঠে ছুটলাম... তাড়াতাড়ি আফিসে হাজিরা দিয়ে ১১ টার মধ্যে কেরানীগঞ্জ যেতে হবে... আজ ড্রাইভিং লাইসেন্সের চুড়ান্ত পরীক্ষা... আমি চললাম... সবাই ভালো থাকুন... দুপুর নাগাদ দেখা হবে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।