ভাবনার কথা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জলিল সাহেব তার নিজের দল থেকে সরে গেলেন। একবারেই সম্মানজনক হল না এই যাওয়া। যদি তাকে বহিষ্কার করা হত সেটাও বোধহয় এর চেয়ে ভাল ছিল। ময়লা কাগজের মত এক পাশে পড়ে থেকে থেকে ঝিমুচ্ছিলেন। যেন তাকে ফেলে দেয়ারও রুচি হচ্ছিল না কারও।
আর সে জন্যই বুঝি মাঝে মাঝে হুংকার দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করতেন, তিনি আছেন। কাউন্সিলের আগে শেখ হাসিনার সমালোচনা করে হলেও দৃষ্টি আকর্ষণের দরকার হয়েছিল তার। নানান সরস ভাঁড়ামোর জন্ম দেয়া, ট্রাম্প কার্ড নাটকের অন্যতম স্রষ্টা, ঘোরতর রাজনৈতিক প্যাঁচের দিনগুলোতে অন্যতম ব্যস্ত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব চলে গেলেন পর্দার আড়ালে। কিন্তু রইলেন কারা?
রইলেন কিছুদিন আগে জলিলের আক্রমনের শিকার প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা। এরা দেশের সমুদ্র সীমায় থাকা গ্যাস সম্পদ অসম চুক্তিতে বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়ার পক্ষে যুক্তি করেন, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে থাকেন, কাল টাকার মালিকদের সমস্ত সুযোগ তৈরি করে দেয়ার পক্ষে থাকেন।
রযে গেলেন মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা, যারা দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তিগুলোর পক্ষে থাকেন, বাগাড়ম্বড়ে জনগণকে বিরক্ত করেন। থাকছেন সালমান এফ রহমানরা। খেলাপী ঋণের পাহাড় জমানোর মত দেশদ্রোহী কাজ করেও যারা সরকারের ছায়ায় থেকে জনগণের উদ্দেশ্যে নানান নীতিকথা শুনিয়ে যাচ্ছেন।
দখলের হাত থেকে নদী বাঁচানোর কর্মসূচিতে বাধা দেয়া একজন দলীয় নেতারও টিকি স্পর্শ হল না। ছাত্রলীগের কর্মীরা দেদারসে মারামারি করে যাবার পরেও কারও বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হল না।
চার দলের দিন বদলে এখন আওয়ামী লীগের দিন কি না।
জোকাররা মঞ্চ থেকে চলে গেলে নাটকের ক্ষতি হয় না। ভিলেনরা শেষ দৃশ্য পর্যন্ত দাপটের সাথেই থাকে। বাংলাদেশের মঞ্চে শেষ দৃশ্যটা যে জনগণ কবে করে দেখাবে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।