বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
শায়ান-এর অ্যালবাম কাভার। গিটার হাতে শায়ান এই অভাবী দেশের গানে বৃষ্টি ও জ্যোস্নার আধিক্যের বিরুদ্ধে দারুন এক শৈল্পিক সংগ্রামে নেমেছেন। আমরা, বৃষ্টি ও জ্যোস্নাবিলাসীরা এখন ততটা ভাবিত নই এই নারীর আরব্ধ সংকল্প ও পরিকল্পনা নিয়ে ...বিজ্ঞগন সর্তক হন ...
বাংলা গানে সবই ছিল -এমন কী প্রতিরোধের আহবান অবধি; মুকুন্দ দাশ ও সলিল চৌধুরী-রবীন্দ্রনাথের 'একলা চল রে' থেকে নজরুলের কারার ঐ লৌহকপাট ...তারপর ভূপেন হাজারিকার মানবিক গানগুলি।
এভাবে বাংলা গানে সবই ছিল-তারপরও ১৯৯৩/৯৪ সালে কবির সুমন বাংলা গানে নিয়ে এলেন এক নতুন বক্তব্য ও টোন । গাইলেন-‘আমিও ভন্ড তোমাদের মত/গান দিয়ে ঢাকি জীবনের ক্ষত। ’ বাঙালি সমাজে সুমনের সম্বর্ধনা হয়েছিল আশাতীত। আমি বিশ্বাস করি সেই রকম সম্বর্ধনা আমাদের শায়ানেরও প্রাপ্য। শায়ান কীরকম গান করে,তার গলার কি রকম তার গানের বক্তব্য কি-সেসব তার গানই বলে দেয় ...
গান
আমার ঘরের ঘুলঘুলিতে চড়–ই পাখির বাসা
ধুলোবালি আর খড়কুটো দিয়ে গোছানো সে সংসার,
আমি তাজ্জব বনে যাই দেখি মানুষের ঘর নাই
দেখ মানুষের ঘরে বাসা বেধে নিল ছোট্ট এক চড়াই।
আমি তাজ্জব বনে যাই আজও মানুষ পেল না ঠাঁই
দেখ জিতে নিল ঠিকই ছোট্ট চড়াই অধিকারের লড়াই।
আমার ঘরের ঘুলঘুলিতে চড়–ই পাখির বাসা
ধুলোবালি আর খড়কুটো দিয়ে গোছানো সে সংসার।
আমার প্রাসাদে দেয়ালে দেয়ালে মাকড়শা জাল বোনে
টিকটিক করে টিকটিকি যেন কি বলে আপন মনে।
লাল পিঁপড়ের বিশাল বাহিনী কুচকাওয়াজে হাঁটে
উঁই পোকাদের আঁধার বসতি সেগুন কাঠের খাটে ।
আমি তাজ্জব বনে যাই দেখি সব্বাই পেল ঘর
হল মানুষের সব আপন শুধু মানুষই হল পর;
আমি তাজ্জব বনে যাই দেখি সব্বাই পেল ঘর
হল মানুষের সব আপন শুধু মানুষই হল পর
আমার ঘরের ঘুলঘুলিতে চড়–ই পাখির বাসা
ধুলোবালি আর খড়কুটো দিয়ে গোছানো সে সংসার।
ইঁদুর মশাই ঘুমোন রান্নাঘরে আসবাব তলে
কাপড়ের ভাঁজে আরশোলাদের বংশই বেড়ে চলে।
নাম না জানা বেড়ালছানা ঘুমায় বারান্দাতে
সন্ধে হলে কবুতর ফেরে আমার বাড়ির ছাদে।
আমি তাজ্জব বনে যাই দেখি সব্বাই ফেরে ঘরে
দেখ উদাম শরীরে মানুষ ঘুমায় ঘুমায় পথের মোড়ে।
আমি তাজ্জব বনে যাই দেখি সব্বাই ফেরে ঘরে
দেখ উদাম শরীরে ঘুমায় পথের মোড়ে।
আমার ঘরের ঘুলঘুলিতে চড়–ই পাখির বাসা
ধুলোবালি আর খড়কুটো দিয়ে গোছানো সে সংসার।
আমি তাজ্জব বনে যাই দেখি মানুষের ঘর নাই
দেখ মানুষের ঘরে বাসা বেধে নিল ছোট্ট এক চড়াই।
আমি তাজ্জব বনে যাই আজও মানুষ পেল না ঠাঁই
দেখ জিতে নিল ঠিকই ছোট্ট চড়াই অধিকারের লড়াই।
ওরে ছোট্ট চড়াই শোন আজ তোকেই তো দরকার
তুই শেখাবি মানুষকে বুঝে নিতে অধিকার ...
বয়ান
না। এই গানের বয়ান আমি করব না। আমি বরং অন্য কথা বলি।
তখন আমি বলছিলাম যে... নতুন এক টোন ও বক্তব্যের কারণে বাঙালি সমাজে কবির সুমনের সম্বর্ধনা হয়েছিল আশাতীত। আমি বিশ্বাস করি সেই রকম সম্বর্ধনা আমাদের শায়ানেরও প্রাপ্য। শায়ান কী রকম গান করে, তার গলার ধার কি রকম তার গানের বক্তব্য কি-সেসব তার গানই বলে দেয় ...শুরুতে আমি আরও বলেছিলাম: গিটার হাতে ইনি এই অভাবী দেশের গানে বৃষ্টি ও জ্যোস্নার আধিক্যের বিরুদ্ধে দারুন এক শৈল্পিক সংগ্রামে নেমেছেন। আমরা, বৃষ্টি ও জ্যোস্নাবিলাসীরা এখন ততটা ভাবিত নই এই নারীর আরব্ধ সংকল্প ও পরিকল্পনা নিয়ে ...বিজ্ঞগন সর্তক হন ...
শায়ানের অন্যান্য গানের অডিও ও ভিডিও লিঙ্ক
Click This Link Gaan/
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।