ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো
মঙ্গলবাণী
শুধু যদি পেটে থাকতো ভাত
খালি ঘুমাইতাম; রাত হইলেই কাত।
আমি তখন সিনেমা দেখতাম...সমুদ্র খাইতাম
চালাইতাম ফোর হুইল ট্রাক।
তখন শুধু এক্সিডেন্ট করতাম...
লাগত না ব্যাথা...
একুরিয়ামে মাছের মত চোখ খুইলা রাখতাম
কইতাম না কথা।
খাইতাম না বেতের বাড়ি
ঘাড়ে কিংবা পাছায়...
যাইতাম না ইস্কুল বাড়ি...কেডা আমারে পাঠায়?
শুধু যদি বুঝাইতে পারতাম...চিল্লায়া চিল্লায়া কইতে পারতাম
আজাইরা ফালাফালি করা ছাড়...
মর শালারা সব...আমারেও মার...
---পি.কা.
আজকের সকালটা মোটেও সুবিধার না। ১২ তলা কংক্রিট বস্তির ব্যালকনি থিকা দূর দিগন্ত জুইড়া ধোয়াশা দেখা যাইতেছে... ইন্দোনেশিয়ায় নাকি আগুন লাগায়া জংগল সাফ করতেছে...কাটাকাটির টাইম নাই...ডাইরেক্ট আগুন! আমার এক ইন্দোনেশিয়ান দোস্তরে কইছিলাম “কি মিয়া সারা দুনিয়াতো ধুয়া দিয়া ভইরা দিতাছো তুমরা।
আমার আকাশ দেখমু ক্যামনে”। আমারে কয় “আরে এগুলানতো বিড়ির ধুয়া, মালয়শিয়ান গো এক মাস বিড়ি খাওয়া বন রাখতে কও ...সব ফকফকা হয়া যাইব”।
আকাশটার মত মোবাইলটাও কালা হয়া আছে। “আজকাল মোবাইলটা লাগে না তেমন কাজে, যখন এলার্ম দেই তখনি শুধু বাজে। “
আজ মেলা দিন বাদে বাজলো।
প্রাইভেট নাম্বার। দ্যাশ থিকা মনে হয়। “বাবা কি ঘুম থিকা উঠছ?/ নাস্তা করছো?/ পড়াশুনা কি ঠিক মত করতেছ?/ আর কয় দিন লাগব?” ইটিসি প্রশ্নের জন্য প্রস্তুত হইয়া ফোন ধরলাম।
--- ক্যামন আছ? (অনেকদিনের পরিচিত রিমঝিম কন্ঠ)
-আলহামদুলিল্লাহ। তেমন ভাল নাই।
--- এর মানে কি? আলহামদুলিল্লাহ বললা ক্যান?
তুমি ফোন করছো ৮ মাস বাদে...তাই আলহামদুলিল্লাহ বলছি। আর মন ভাল নাই তাই ...ভাল নাই বললাম। তোমার কি খবর?
--- ভাল। তোমার ত্যাড়ামি দেখি কমে নাই। আগের মতোই...
এই যে একটা খোচা দিলা সকাল বেলা।
মেলা দিন বাদে ফোন করসো... ভাল কিছু বল ...টাকা গুলান নষ্ট কইরো না। খোচা টোচা ইদানিং আমার গায়ে লাগে না।
--- তাই তো দেখতেছি...ব্লগে ফেইসবুকে পাব্লিকের গাইল খাইতেছ... তাও ত্যাড়ামি কমে নাই
তোমার আংকেল ক্যামন আছে?ভাল?
--- এই জন্যই তোমারে ফোন করি না। আমার হাজবেন্ড নিয়া আজে বাজে কথা বলবা না। ফোন রেখে দিব।
অক্কে...আর বলবো না। আমারে খোচা দিলা তাই বদলা নিলাম... এখন কাটাকাটি।
--- তোমার বিদেশ ক্যামন লাগতেছে?
ভাল না। টুটের দ্যাশ। এর চাইতে দ্যাশেই ভাল ছিলাম।
ডিজুস ছিল। একটা টুটের চাকরী ছিল। খালি তুমি ছিলা না।
---তুমিইতো বললা... বিয়ে করতে
অইটাতো তোমার লাইফে একটা সিগ্নিফিকেট কন্ট্রিবিউশন রাখার জন্য বলছিলাম...তুমিতো একনলেজ করলা না। তোমার লাইফের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্তটা নিয়া দিলাম... আর তুমি দাওয়াতও দিলা না।
চুপচাপ আংকেলরে বিয়া কইরা ফেলাইলা।
--- দ্যাখো মানুষরে সম্মান দিয়া কথা বলা শিখ। পারোতো খালি খোচাখুচি ক্যাচাল করতে। ভাবসিলাম পাব্লিকের গালাগালি খেয়ে তোমার মন খারাপ...তাই ফোন করছিলাম। এখন দেখি তোমার মন আমার আমার চেয়ে ভাল আছে।
ভাল থাক। রাখলাম।
অয়েট অয়েট...আমি গালি খাইলে কি তোমার খারাপ লাগে?
---হুম (ওহ তাই?... যদিও খুবি সংক্ষিপ্ত উত্তরে আমাকে এতোটা স্পর্র্শ করার শুধু তোমাকেই মানায়)
তাইলে তো আরো গালি খাইতে হবে...হেহে
কোন রিপ্লাই নাই...কিছুক্ষন চুপচাপ। বুঝলাম হাওয়া ভাল না। যেকোন মূহূর্তে ফোন রাইখা দিবে।
এবং কান্নাকাটি শুরু করবে। প্রসঙ্গ পাল্টাইতে বললাম
আচ্ছা... আমার ফ্লাইটের দিন তুমি ক্যামনে ঠিক টাইম মত ফোন করলা? তোমার জামাই টের পায় নাই? বাথরুমে গিয়া কল দিছিলা নাকি? সিকিউরিটি চেক কইরাই তোমার ফোন পায়া কি যে ভাল লাগতেছিল।
---ঠিক আছে ...তুমি ভাল থাইকো...বাই।
ধুসশালা। ফোন রাইখা দিছে।
এখন কি করি? কল ব্যাক কইরা মেয়েটার কান্না থামানোর চেষ্টা করা যাইত। নাহ, যাবে না। প্রাইভেট নাম্বার।
সো কিছুই করার নাই আইজুদ্দিন। অপেক্ষায় থাক... আবার কবে কোন মাস ফোন আসে দ্যাখো।
দেবদাসগিরি উদযাপন করতে আজকে সারাদিন বাসায় ঘুমানো যায়। কিন্তু ফোন অফ রাখতে হবে। কারন সুপারভাইজার ফোন করতে পারে।
কিন্তু ও যদি আবার ফোন করে? থাক...ডিপার্টমেন্টেই যাই। পাঠক আমার বন্ধু পিকার লেখা জব্বর একটা কবিতা পড়তে থাকুক...আমি যাই বেলতলায়।
----------------------------------------------
অন্যান্য লেখা, খুচা দিয়া পড়েন
বাংলাদেশ: কিরম আস?
আমার বউ কই?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।