আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
যমুনার কাহিনী
- রইন্যা, তুই কই?
- আমি অফিসে, ডুগডুগী বাজাই!
- কহন আবি?
- টাইম হইলে! কি হইছে? এতদিন পর আমার কথা মনে পড়লো কেন?
- তুই আগে এলাকায় আয়, তারপর তরে জানামু মনে পড়লো কেন? যখনই আসস, ফুন দিবি!
- আইচ্ছা।
বইলা রাইখা দিলাম। যমুনারে নিয়া ক্যাচাল অনেক আগে থিকাই। অরে নিয়া বুলগে একখান পোস্ট দিছিলাম ত্রিভূজ প্রেম নিয়া।
সেইদিন রাইতে আমি এলাকায় ঢুকবার পারি নাই। সেইডা মেলা আগের কথা, অখন তার বিয়া হইছে শাহেদের লগে, কেমনে কই থিকা বিয়া হইলো সেইডা মেলা কাহিনী! একটু আগে এই শাহেদ ব্যটাই ফুন দিছিলো। অবশ্য আমার লাইন মারার টার্গেট আছিলো যমুনার মার লগে!
এলাকায় ঢুকলাম। বাড়ি গিয়া আরামে বইসা থাকতে নয়টায় ফুন দিলো।
- তুই কো?
- এ্যাতো আমারে বিচড়াছ কেন, মুরগী হারাইছে নাকি?
- তুই এক দৌড়ে জীমে আয়, কিছু হিসাব আছে।
ফুন কাইটা মনে মনে কইলাম তিন বছর আগের খাওন ১০ টাকার চটপটির হিসাবের লিগা দৌড় পাইরা জীমে যামু, এতো শখ আমার নাই! রাইত ভইরা পড়া লেখা কইরা শুক্রবার দিন ভইরা ঘুমাইলাম। সন্ধ্যার দিকে উইঠা আম কাঠাল আনারস সব এক লগে খাইলাম। দিন ভইরা না খাইয়া মৌসুমী ফল দিয়া পেট ভরলাম। আবারো ফুন।
- কিরে, তর লিগা কি মার্সিডিজ পাঠাইতে হইবো?
- আব্বে এতো বাউল হইছোস কেন? আমারে এমুন টর্চ মারতাছোস কেন? বৌ ভাগছে নাকি?
- তরে এতো আইতে কইতাছি নিশ্চয়ই একখান কারন আছে! তর কি জানের ডর নাই?
- বিয়ার আগ পর্যন্ত নাই, বিয়ার পর আছে।
মাগার তর কি হইছে?
- তুই স্ট্যান্ডে আয়, এইবার না আইলে তর বাড়িত আমু!
চিন্তা করলাম বাড়ীত আইলে জিনিসটা বাড়াবাড়ি হইয়া যায়। ভাবলাম দুয়েকটারে ফুনাই, লগে না থাকলে দিলে ইদানিং সাহসের ঘাটতি দেখা যায় বাংলাদেশের বাজেটের মতো। মাগার কপাল খারাপ, কারই পাইলাম না। দিলাম হাটা স্ট্যান্ডে, খালেকের কাউন্টারের পিছনে যাইয়া দেখি শাহেদ খাড়ায়া আছে আর লগে শিশির বইসা আছে। সাথে আরও দুয়েকটা পোলা।
আন্ধার পজিশনে পুলাপানের খাড়ানি দেখলেই কইয়া দেওন যায় কপালে আমার সাড়ে শনি আর এমুন সিনা উকাই কেন আইলাম সেইডাও বুঝলাম না। ঘোড়া হাতে চিপ মারলাম খেল খতম পয়সা হজম!
আমি সামনে খাড়াইতেই শাহেদ আমার কলার ধইরা ঠেইলা ওয়ালে ধাক্কা দিলো। মাথার পিছনে কিন্ঞ্চিৎ ওয়ালের গুতানী ছাড়া কিছুই পাইলাম না তেমন!
- (মুখে কোনো মতে হাসি নিয়া একটু অসহায় ভাব নিয়া) কি হইছে রে? আমি কি ডাকাতি করছি নাকি?
- কি হইবো আবার? তগো শিশা (শিশিররে শিশা বইলাই ডাকে অখন) আর বুতলারে কইছিলাম ধারে কাছে না আইতে যমুনার, অখন আবার কি মতলব নিছোস!
- যমুনা কুন বাড়ি থাকে কার লগে লাইন মারে, এইডা দেখনের আমার টাইম নাই, শিশা মিশাগো লগে দেখা হয় না আমার ১ বছরের মতো। পারলে ওগো জিগা! (ঘাড়ের রগ টগ ফুলাইয়া শিশার দিকে একখান চিৎকার ছাড়লাম) ঐ মদনা কথা কছ না কেন?
- (পেটে থুমাইয়া একখান ঘুষা মারলো আমার, আমি ভাবছিলাম চাক্কু মারলো নাকি, মাগার ঘুষা খাইয়া তেমন বেদনা পাইলাম না) এইডা পড়!
হাতে একখান এফোর চিঠি ধরাই দিয়া, আমি কইলাম," এমনেই চোখে কম দেখি, টর্চ মার!"
নোকিয়ার একখান মোবাইল দিয়া টর্চ মারতেই আমার চক্ষু ছানাবড়া চিঠি পইড়া:
প্রিয়
তুমি বলিলে কালকা আসবা, কিন্তু আসো নাই। তুমি বলিলে তোমার নাকি অফিস ছিটি হওয়া মাত্রই ফোন দিবা, কিন্তু দাও নাই।
তোমার তো বিলের সমস্যা নাই, তবু কেনো আমাকে ফোন দাও না? কেনো আমার মিসড কল ব্যাক করো না। সমস্যা হলে আমার নতুন গ্রামীনের নম্বরে কল করতে পারো। এখানে ফোন করলে তোমার আরো সুবিধা হবে!
ইতি
তোমার যমুনা!
আমি মুখে একটা বিজিতের হাসি নিয়া," এইখানে তো আমার নাম লেখে নাই। আমারে লেখছে তার প্রমান তো নাই। "
অমনি শাহেদ তড়াক কইরা কইলো," পুরা তল্লাটে তুই ছাড়া ঐখানে চাকরি করে এমুন কেউ নাই, আর সবকিছুই তর লগে মিলে!"
- আব্বে, আমার মোবাইল চেক কর, ওর নম্বর পর্যন্ত সেভ নাই।
এই লাইন বলতে না বলতেই আমার সেট ওরা ছো মাইরা নিয়া গেলো। শাহেদ আর পাশের আরেকটা পোলা চেক করলো। নিজেগো মধ্যে কিজানি কইলো, তার পর মোবাইলটা আমার কাছে নিয়া আইসা কইলো," এই নম্বরটা কার?"
- (একটা ঢোক গিললা) কি জানি? দুই মাস আগে মিসড কল মারছিলো। সেভ কইরা রাখছি। কিন্তু আইজ পর্যন্ত কথা হয় নাই, ঈমানে! এইডা কি যমুনার?
- না এইডা যমুনার না, তয় এইডা আমার বোইনের!
- ভাইরে আমি তুমার বোইনরে চিনি না, এই নম্বর অখনোই ডিলিট মারতাছি।
যমুনার লগে টান্কি মারনের আমার কোনোকালেই ইচ্ছা নাই। শিশির আর বোতুর পেটে আরো কয়েকটা খুটা মারলেই জানবার পারবা আমার লাইন আছিলো যমুনার মার লগে!
শাহেদ দিলো হাইসা। আমার কলার ঠিক করতে করতে," আমি জানি তুমি পোলা ভালা, ভালো ছাত্রও। সুজন ওরা অবশ্য আমারে কইছে যাতে তুমার কিছু না হয়, মাগার এই চিঠি দেখানোর পর কইলো চেক করতে। তয় তুমি না এইডা আমি জানি।
যমুনার লগে কাইল আমার ছাড়াছাড়ি হইয়া গেছে। কিন্তু এই কালপ্রিটটা কেডা আমার জানা দরকার। এই নম্বরডা চেক কইরা দিতে হইবো তুমার, লগে যদি খরচা পাতী চাও দিয়া দিমু!
- এইডা কুনো খরচার মধ্যে পড়ে না, কিন্তু আমার কাম হইলো শুধু ইন্টারনেট নিয়া। তয় চেস্টা করবার পারি!
বেশী কিছু কইলাম না, কারন যেহেতু আমি আর কালপ্রিট না সেহেতু এখন পলাইতে পারলেই বাচি। আসনের সময় দেখলাম শিশির আর বোতুরে নিয়া বাকিকয়ডা বাগবাড়ী চইলা গেলো আর আমারে নিয়া একটু গলা ভিজানির ইন্তেজাম হইলো।
জানডা হাতে নিয়া আইছি বইলা গলা দিয়া কিছুই নামতে ছিলো না। তবুও নামাইয়া গেলাম শেওড়াপাড়া রাইত ১১:৩০টায়। ভাবলাম দেলটুর লগে গেজাই।
হঠাৎ একটা ম্যাসেজ আসায় মনে পড়লো মোবাইলে ওরা এত দ্রূত কেমনে চেক করলো একটা নম্বর? নিশ্চয়ই কল দিয়া দেখছে নম্বরটা উঠে কিনা! যেইনা ডায়াল নম্বর চেক করলাম ওমনি দেখলাম একটা নতুন গ্রামীনের নম্বর আর শাহেদের বোইনের নম্বর আরেকটা একটেল!
মন আমার নাইচা উঠলো! যেহেতু যমুনা ওপেন সেহেতু অখন কুনো ব্যাপারস না!
মামো, কি আছে যৌবনে
খ্যাতা আর বালিশ!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।