আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘুম ভাঙ্গা শহরে।

::::: দেখবো এবার জগতটাকে :::::

বেশ অনেকদিন আগের কথা। প্রায় একবছর তো হবেই। সারাদিন ধুম বৃষ্টি। মনে হয় শুক্রবার ছিল। বরাবরের মতোই ঢাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন রাস্তাগুলোতে হাটু অব্দি কাদা পানি।

বৃষ্টির দিনে ছাতা মাথায় দিয়ে কাদা ভেঙ্গে টুক টুক করে হাটতে অনেক মজা। ছাতার মধ্যে বৃষ্টির টুপুস টুপ্পুস শব্দগুলা শুনতে মজা লাগে। বাংলা মোটরের ওখানে চিন্তার সুত্র ছিড়ে গেল। আমি ফুটপাথে, হুরমুর করে একটা হিরোহোন্ডা ধপাস করে পড়েছে। বাইকের আরোহী বছর তিরেশেকের এক লোক।

পিছে স্ত্রী। মহিলার সাজগোজ দেখে মনে হলো ছুটির দিনে বিয়ের দাওয়াতে যাচ্ছেন। বাইকের একটা মিরর গেছে। মহিলা তেমন ব্যাথা না পেলেও পুরুষটা বেশ ব্যাথা পেয়েছেন। আশপাশের সবাই দৌড়ে এল।

এক্সিডেন্টের কারন একটা টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সামনের রাস্তায় আচমকা ব্রেক কষে দাড়িয়েছে কেন কে জানে, সামনে খোলা রাস্তা। বাইক তাল সামলাতে না পেরে পিছের বাম্পারে বাড়ি খেয়ে ফুটপাথে আমার প্রায় গা ঘেসে আছড়ে পড়লো। রাস্তার লোকজন (একজন ট্রাফিক সার্জেন্টও) দৌড়ে এল। এবং সাথে সাথে গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থামিয়ে দিয়েছে, যেন পালাতে না পারে।

ড্রাইভার কাচু মাচু ভঙ্গিতে ফুটপাথে নেমে গেছে। সার্জেন্ট তার উপরে চড়াও হবার আগেই পিছের দরজা খুলে একটা বিদেশী লোক নেমে আসলো। সার্জেন্ট কিছু বলার আগেই বিজ্ঞ বিজ্ঞ গলায় বললো, হেই! আই এম এন আমেরিকান। সার্জেন্ট সহ সব লোক নিশ্চুপ হয়ে গেল। আমিও।

কোথায় জানি পড়েছিলাম, মানুষের পরবর্তি বিবর্তন খুব দ্রুত আসবে। প্রযুক্তি নির্ভর জীবন যাপনের ফলে হোমো স্যাপিয়েন্সের পরের পর্ব হোমো সুপেরিয়র এর জন্ম হবে পাশ্চাত্যের দেশ গুলোতে। নাকি আমেরিকানরা ইতিমধ্যেই নিজেদের হোমো স্যাপিয়েন্সের বদলে আমেরিকান হিসাবে ভাবতে শিখেছে। (ব্লগ স্পটে আমার অন লাইন জার্নাল ঘাটতে ঘাটতে এই লেখাটা পেলাম যেটা ব্যাক্তিগত না, এইখানে টুকে দিলাম)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।