আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফলো আপ বোরকাওয়ালি গ্রেফতার> ছাত্রীসংস্থা লই আমার কুনো আগ্রহ নাই। তয়- কথা আছে।

মগ্নতা ছাড়া

ছাত্রীসংস্থা লই আমার কুনো আগ্রহ নাই। চাটগাঁর এক 'ইসলামিক' প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রীগো বনভোজন না কি এক ব্যাপারের স্যুভেন্যির দেইখা সেইদিন এই ইসলামিক ছাত্রীগো অবস্থা ভাইবা টাশকিত হই গেছিলাম। পুরা বইখান বাংলা ভাষায়, কিন্তু বইটার পাঁচ ভূতুড়ে সম্পাদক (পাসপোর্ট সাইজ ছবিতে যাগো শুধু চক্ষু মোবারক দেইখা চেনার উপায় নেই তারা একই জন, নাকি ভিন্ন ভিন্ন জীব) সম্পাদকীয় লেইখেছেন আংরেজিতে। তাগো নাম, উপাধি, সবডি আংরেজি। তয়, এই আংরেজি লেখার উপরের শিরোনামখানা আবার বাংলা জবানিতে লেখা: 'সম্পাদকীয়'।

এই হল আমাগো ইসলামিক ছাত্রীগো আংরেজিপ্রীতির নমুনা। এই 'বিশেষ' এসলামিক গ্রুপ একদিকে কুপমণ্ডুক, ছাড়তাড়ে না ঘোমটা, আর দিকে ইউরোপীয় চোখ ঝলসানো আধুনিকতায় বিমোহিত, আংরেজির স্মার্টনেস দেখায়। ফলে এক কিম্ভূত জীব হয়া বাইড়া উঠতাসে এই গ্রুপ। এই ছাত্রীসংস্থার ছাত্র গ্রুপের নাম ছাত্র শিবির। উপ্রে এই ভূমিকা দেওনের পর, বিডিনিউজ২৪ডটকম এর একটি নিউজ উঠাই দিলাম এখানে: পিরোজপুর, জুলাই ০৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) - পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসা থেকে শুক্রবার ইসলামী ছাত্রী সংস্থার তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তাদের কাছে থেকে সাইয়েদ আবুল আল মওদুদী, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সাংসদ মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর লেখা বই এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সদস্য রির্পোটসহ কয়েকটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয় কারাগারে। আটককৃতরা হলেন- পিরোজপুর শহরের পারেরহাট সড়ক এলাকার বাসিন্দা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিক তানিয়া আক্তার (২৬), জিয়ানগর উপজেলার পশ্চিম চর বলেশ্বর গ্রামের মোসলেম আলী খানের মেয়ে এবং টগড়া মাদ্রাসার ছাত্রী জেসমিন নাহার (২০), পিরোজপুর শহরের মাছিমপুর এলাকার আলমগীর হোসেনের মেয়ে সায়দা ফৌজিয়া আক্তার (১৮)। জিয়ানগর থানার উপ- পরিদর্শক (এসআই) অমর সিংহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে তারা বালিপাড়া সিনিয়র মাদ্রাসায় যান। অমর সিংহ জানান, সেখানে গিয়ে তিনি মাদ্রাসার কমনরুমে ওই মহিলা তিনজনকে বসা অবস্থায় দেখতে পান।

স্থানীয় মোতালেব সিকদারের স্ত্রী চন্দ্রবান বিবি (৩৫) তাদেরকে পাহারা দিচ্ছিলেন। তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা বলেছেন- কর্মী সম্মেলনে যোগ দিতে তারা মাদ্রাসায় এসেছেন। এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জিয়াউল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কথা বলা যায়নি। স্থানীয়রা জানান, অধ্যক্ষ জামায়াত ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জিয়ানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক খান জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে ৫৪ ধারায় মামলা (নম্বর-৭৫) হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এমএসবি/২০৪৪ ঘ. সেই সময় এই ব্লগের অলস ছেলে এই ঘটনার প্রতিবাদ করনের লাইগ্যা জামায়াত, ছাত্রীসংস্থা, বোরকা, ফ্রান্স, তুরস্ক এবং ......... নামে একখান পোস্ট দিসিলেন। দেখলাম এই পোস্টে এবং এই নিয়া আরো কয়েকখান লেখায় বিভিন্ন লোকজন এই গ্রেফতারের বিষয়টারে এড়াইয়া তাগো ভালো মন্দ লই ইন্টালেকচুয়ালিটি ফলাইতাসেন, গ্রেফতারটারে কোনো মূল্যই দিতাসেন না। যেমন একজন বলতাসেন: ছাত্রী সংস্থার ব্যাপারে সাধারণ জনগণ অনেক কিছুই জানেনা, যেমনটা জানে ছাত্র শিবিবের ব্যাপারে। এদের কাছে ঐ মওদুদীর বই আর সাঈদীর ক্যাসেটই পাওয়া যাবে। শিবিরের ছেলে পেলেদের চিন্তা ধারার সাথে যাতে মিলে তেমন করে এদের গড়া হয় ভবিষ্যতে শিবিরদের গার্ল ফ্রেন্ড আর বউ সাপ্লাই দেয়ার জন্য।

ব্লগ থেকেও এরকম কিছু ভেজা বেড়াল খেদানো হলেও এখনও ওরা গেড়ে বসে আছে কিছু। এদের পছন্দ- অপছন্দ গুলো এতটাই নির্দিষ্ট যে সনাক্ত/শেকড় সন্ধান করতে মোটেই কষ্ট হয়না। .. কিন্তু এই লোকের এই গ্রেফতার লই রা নেই। এই ইন্টালেকচুয়ালিটির ফালতু প্রয়োগ তখন বিরক্তির যারপরনাই ঘটায়। ছাত্রী সংস্থার মেয়েরা মূর্খ, তাগো ইসলাম ইউরোপীয়, এবং/অথবা তারা জামাত শিবির সাপোর্টার অথবা তারা শুধু মওদুদী, সাঈদীর লেখা বই পইড়া থাকে এবং ছাত্রী সংস্থার সদস্য রির্পোটসহ ডায়েরি রাখে -এরম আরো কত কিছুইত তাগো বিরুদ্ধে কওয়া যায়- এই অভিযোগ তুইল্যা দেশের ছাত্রী সংস্থার কর্মীগো যদি ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করতে শুরু করেন অমর সিং সায়েব, আপনি কি তার সাপোর্ট করবেন? যারা গ্রেফতারের প্রতিবাদ পোস্টে গ্রেফতার লই চুপ থাকি স্রেফ তাগো ইসলামের পিণ্ডি কপচাইতে পছন্দ করেন সেটি কিন্তু এই গ্রেফতাররে সাপোর্ট করা।

আপনেরা কি কন? আমার গতকালকের পোস্ট: ওয়ালিউর রহমান, হেরিটেজ ফাউণ্ডেশন আর বোরকাওয়ালী সেই মেয়েগুলোর খোঁজখবর পোস্ট

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।