স্বপ্নের হাতছানি আমাকে কাছে টানে, যদিও জানি এটা মরিচিকার মত। আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যকুল শূধাইলনা কেহ।
৩০শে জুন ২০০৪ ইং বুধবার ।
সরকারি বি.এল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
দৌলতপুর ,খুলনা ।
সকালে কলেজে যেতে দেরি করেছি ইচ্ছা করেই ।
গোছোল করে, খেয়ে , আফছানাকে স্কুলে দিয়ে এসে আমি কলেজে রওনা হয়েছি । আমার কাস দশটা পনেরো মিনিটে । দৌলতপুর পৌছেছি ১০.১৫ মিনিটে । বাস স্ট্যান্ডে মুকুলের সাথে দেখা । ইয়ামোটা এক মেয়ের সাথে কোথায় যেন যাচ্ছে ।
কোথায় যাচ্ছিস ?
খুলনায় । কেমন আছিস দোস্ত ।
ভালো । ঐ মেয়েটি কেরে ?
আমাদের সাথে পড়ে ।
দেখিস ওর চাপ চোপ খাসনে যেন ।
খাইলে খবর আছে কইলাম । তোর হাড্ডিও খুজে পাওয়া যাবে না কিন্তুক ।
ঠিক আছে যাইরে দোস্ত । বাস এসে গেছে ।
হঠাৎ দেখলাম রাশেদ আসছে ।
ভাবলাম একসাথে যাই । শামিম হোটোলর সামনে থেকে ধরলাম ওকে ।
কিরে রাশেদ এত দেরি করলি যে ?
নিজে মনে হচ্ছে খুব আগে আইছো ।
আসলে আজ একটু দেরি করে আইছি । কাস দেরি করে শুরূ হয়তো তাই দেরি করে আইছি ।
গতকালকে আমার খাতা তোর কাছে নাকি ?
হ্যা আমার কাছে ।
গল্প করতে করতে কলেজ গেটে চলে আসলাম । কলেজে ঢুকে দেখি খুব আল্প কয়েক জন এসেছে । হঠাৎ দেখি নিলেন্দু ।
পিনাক আসেনি ?
হ্যা এসেছে ।
কেথায় ও ?
মনে হয় প্রাকটিক্যালের জিনিস আনতে গেছে ।
আমি বিনয়দার অফিস রূমে গেলাম । দেখি পিনাক সেখাণে । আমরা চার নম্বর গ্রুপের । আমার রোল – ৩১৯৬ ।
বিকার , সেন্টিফিউজ টিউব ,কাচ নল দেখে শুনে আনলাম । নিজেদের টেবিলে এসে টেষ্ট শুরূ করলাম । পুরো সময়ে পিনাক দুইটি টেষ্ট টিইব ভেঙ্গেছে । একটি সেন্টিফিউজ টিউব ভেঙ্গেছে । রাশেদ ভেঙ্গেছে একটি টেষ্ট টিউব ।
আমি একজনের সেন্টিফিউজ টিউব নিয়ে বিনয়দার কাছে জমা দিয়ে দুপুর একটায় বাড়ি এসেছি । হাত মুখ ধুয়ে হাল্কা একটা ঘুম দিয়েছি ।
দুপুর ২.৩০ মিনিটে উঠে , খেয়ে কোচিং এ গেছি । শিার্থিদের পড়িয়ে আমি , কাদের , সবুজ একসাথে বাজারে গেছি । ওহিদ কাকার দোকান থেকে আমার ফারনামেন্টাল অভ মেথমেটিক্স বইটি নিলাম ।
এ সময় জনকন্ঠ পেপারে দেখলাম আমার অনার্স পরীার ডেট । পরীা আগামী ১৭/৮/০৪ ইং এ অনুষ্ঠিত হবে । অর্থাৎ আমার হাতে সময় আছে মাত্র এক মাস সতের দিন । ফর্ম ফিলাপের ডেট ৪/৭/০৪ ইং থেকে শুরূ । আমি দেরি না করে কাদেরকে সাথে নিয়ে বাড়ি রওনা হলাম ।
রাস্তায় ইকলাস ও নাজমুলের সাথে দেখা । ওর আমার বাড়ি থেকে বেরোচ্ছে । সাধারনত এ সময়ে নাজমুলকে দেখা যায় না ।
আরে বকুল আসসালামু আলাইকুম ।
অলাইকুমার ষালাম ।
কি ব্যাপার , তোর এখানে ?
কাজ না থাকলে চল বাজারে যাই ।
নারে যাব না । আমাদের পরীার ডেট দিয়েছে । আচ্ছা নাজমুল বি.এ তে ভর্তি হয়েছিস ?
হয়েছি , ডেনাইট কলেজে ।
বি.এলে ভর্র্তি হতে পারতিস ।
আসলে চান্স হত না ।
ইখলাসের ড্রাইভিং শেখা শেষ ?
হ্যা । তবে পরীা বাকি ।
শুনলাম কিযেন হয়েছে ?
আসলে পরীার সময় ঘুস খাচ্ছে । ঘুস না দিলে কেউ পাশ করছে না ।
আজকে আঠাশ জনের মধে মাত্র এক জন পাশ করেছে । শালারা আমাগে মোটে চুষে খেতে চায় ।
কি আর করবি বল ? করার কিছুই নেই ।
অবশেষে চার জনে মিলে একটা কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলাম ।
এখন বেশ রাত আমি ঘুমাতে যাই ।
বেশি রাত জাগা ঠিক হবে না । কারন আগামিতে পরীা আসছে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।