আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বৃত্তিমূলক শিক্ষাক্রমে নিয়ে আসার সুপারিশ

আমি কিছুই লিখব না।

আগামী দশ বছরের মধ্যে অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বৃত্তিমূলক শিক্ষাক্রমে নিয়ে আসাসহ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার সুপারিশ করেছে শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০০৯ এর খসড়ায় এসব সুপারিশ করা হয়। খসড়ায় বলা হয় "আগামী দশ বছরের মধ্যে অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বৃত্তিমূলক শিক্ষাক্রমে নিয়ে আসা হবে। পরবর্তীতে এ হারকে অন্তত ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।

" জাতীয় শিক্ষানীতি কমিটির কো-চেয়ারম্যান ড.খলীকুজ্জমান আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শিক্ষানীতির একটি খসড়া তৈরির কথা জানান। তবে খসড়াটি চূড়ান্ত হবে ২১ জুলাই। আগস্ট মাসের মধ্যেই কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে মাদ্রাসা শিক্ষাসহ মাধ্যমিক স্তরের সকল ধারায় বৃত্তিমূলক শিক্ষাক্রম চালু করা হবে। দেশের সকল শিক্ষার্থীকে প্রাক বৃত্তিমূলক শিক্ষাসহ অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা সমাপ্ত করতে হবে।

প্রতিবেদনে মাধ্যমিক পর্যায়ে বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে কয়েক ধরনের জনশক্তি গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ হওয়ার পর ছয় মাসের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে জাতীয় দক্ষতামান-১ মানের জনশক্তি, এক বছরের বৃত্তিমূলক শিক্ষা দিয়ে অর্থাৎ নবম শ্রেণী (ভোকেশনাল) শেষ করার মাধ্যমে জাতীয় দক্ষতামান-২ মানের জনশক্তি, দুই বছরের বৃত্তিমূলক শিক্ষা (দশম শ্রেণী, ভোকেশনাল) দিয়ে জাতীয় দক্ষতামান-৩ মানের জনশক্তি এবং চার বছর অর্থাৎ দ্বাদশ শ্রেণী শেষ করে জাতীয় দক্ষতামান-৪ মানের জনশক্তি গড়ে তোলা হবে। এতে কারিগরি শিক্ষা স¤প্রসারণের লক্ষ্যে পলিটেকনিক, টেক্সটাইল, লেদার ইনস্টিটিউটসহ এ ধরনের অন্যান্য ইনস্টিটিউটরে সংখ্যা বৃদ্ধির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি খাতে মান সম্পন্ন বৃত্তিমূলক ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান স্থাপনে উৎসাহিত করতে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির ওপর জোর দিয়ে বলা হয়, বৃত্তিমূলক ও কারিগরী শিক্ষার সকল স্তরের শিক্ষাক্রমে কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ ঃ ১২ করার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে প্রকৌশল, চিকিৎসা, ব্যবসায় শিক্ষা, কৃষি শিক্ষা, ললিত কলা, আইন শিক্ষা,নারী শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। শিক্ষানীতি ২০০০ অধিকতর সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে গত ৮ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটিতে লেখক ও বিজ্ঞানের শিক্ষক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদসহ ১৬ জন সদস্য রয়েছেন। পরে কমিটিতে আরও দুইজন সদস্য যুক্ত করা হয়।

বেশ কয়েকটি সভা করে কমিটি এ খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।