আমি কিছুই লিখব না।
জোট সরকারের সময় ৩৬৬ জন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রীয় সম্মানীভাতা বন্ধ করাকে অবৈধ ও বেআইনী ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।
৩৬৬ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার দায়ের করা পৃথক দু'টি রিট আবেদনের ওপর পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদের বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ের পর রিটকারী পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী সাংবাদিকদের বলেন, "এ রায়ের ফলে এসব যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা পাবেন। হাইকোর্টের রায়ের বিষয়টি জানিয়ে তারা সরকারের কাছে এই ভাতার জন্য আবেদনও জানাবেন।
"
২০০৩ সালের এপ্রিল মাসে এই ৩৬৬ জনসহ ১ হাজার ১৬২ যুদ্ধাহত
মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রীয় সম্মানীভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন তারা ৩শ' টাকা করে ভাতা পেতেন।
ভাতা বন্ধের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে 'বাংলাদেশ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় সম্মানীভাতা বাস্তবায়ন পরিষদ' এর সহ সভাপতি বজলুর রহমানসহ ২৪৪ জন ২০০৮ সালের ২০ জুলাই একটি রিট আবেদন দায়ের করেন।
ওই দিনই হাইকোর্ট তাদের ভাতা বন্ধ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করে।
ওই বছরের একই মাসে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ওই সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বাদশা মিঞাসহ আরও ১২২ জন রিট আবেদন দায়ের করলে আদালত সরকারের প্রতি রুল জারি করে।
শুনানিতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে সৈয়দ হায়দার আলী, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্ট্রের পক্ষে জে কে পাল ও সরকার পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোস্তফা জামান ইসলাম অংশ নেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।