একটা মহিলা... নাম তার রোজিনা... এত বড় বিল্ডিং ধসে পড়লো... অথচ, তার হাত ভাঙ্গে নি, পা ভাঙ্গে নি... সামান্য আহতও হয়নি.... তবে সে এমনভাবে আটকা পড়েছে যে, সে বিপরীত দিকে কাত হতে পারছে না.. চিত্ হতে পারছে না... সামান্য শরীর চুলকাতে পারছে না.. চিন্তা করুন তো, আপনি নিজে একদিকে কাত্ হয়ে কতক্ষণ শুয়ে থাকতে পারবেন ?? কাল থেকে সেই মহিলা কারো সাথে কথা বলতে পারে না হয়তো মৃত্যুর প্রহর গুনছিলো.. চোখ দিয়ে অর্নগল পানি পড়ছিলো.. সেই পানি কানের ভিতর ঢুকে গেলেও সে কিছু করতে পারছিলো না... এমন অবস্থায় আপনি কি কি চিন্তা করতেন ?? মহিলাটি হয়তো চিন্তা করছিলো, সারা জীবন কি কি করেছে... তার মা এখন কি করছে ?? বাপ এখন কি করছে ?? বাচ্চাটা কি করছে ?? এসব ভাবতে ভাবতে অবশেষে হঠাত্ একজন মানুষ চিত্কার করে বললো, কেউ কি আছেন?? কেউ কি বেঁচে আছেন ?? মহিলা বললো, হ্যাঁ.. আমি বেঁচে আছি... অথচ, উদ্ধারকারী মানুষটাও তাকে খুঁজেই পাচ্ছে না... সে যাই হোক... অবশেষে যখন খুঁজে পেল.... তখন দেখল মহিলাকে উদ্ধার করতে হলে পুরো বিল্ডিংটাই ভাঙ্গতে হবে !! আর বিল্ডিং ভাঙ্গতেও যে ৬ দিন লাগবে !! উদ্ধারকারী টিম আসার পরও সকাল থেকে রোজিনা ঐ অবস্থাতেই গোঙাচ্ছে..... বলুন তো, এই অবস্থায় কার চোখে পানি আসবে না ?? খোদার কসম.. এনটিভিতে রোজিনার কিম্ভুতকিমাকার টাইপের আটকা পড়ার দৃশ্য দেখে আমি রোজিনার কষ্টের কথাই ভাবছিলাম... আর, এই পোস্টটা রেডি করছি, কাঁদছি আর ঘরের ছাদের দিকে তাকাচ্ছি... এই বুঝি ছাদটা ভেঙ্গে পড়লো !! একটা প্রার্থনাই করি... "হে আমার প্রভু... সাভার ট্রাজেডিতে যারা এখনও বেঁচে আছে তাদেরকে আর কষ্ট দিয়ো না... এভাবে তিলে তিলে মেরো না.. তোমার অসীম ক্ষমতা দিয়ে তাদেরকে হয় এক সেকেন্ডে মেরো ফেলো নতুবা এমন উপায় করে দাও যাতে তারা কোন কষ্টই না পেয়েই বেঁচে ফিরে আসে ! তিলে তিলে মরার চেয়ে এটা অনেক ভালো ! আর, আমাকে ক্ষমা করো ।এত যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু আমাকে দিয়ো না... সর্বদা যেন তোমার দেখানো পথে চলতে পারি সেই তৌফিক দাও ।" কারটেসীঃ অজানা পথিক ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।