রাতের আকাশের নগ্নতা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি কিন্তু পারি না মনের আকাশ দেখতে।
অনেক আশা করেছিলাম, ওয়াল্টনের কাস্টমার সার্ভিস নিয়ে। কিন্তু সিলেটে এদের সার্ভিস এতো বাজে তা ধারনাও করিনি। আমি জানি না, অন্যান্য ডিস্ট্রিকে কেমন?
আমি ব্লগে এটা প্রকাশ করতাম না, যদি না পর পর দুবার এদের সার্ভিস খারাপ না পেতাম।
দেশের একটা আশার আলো দেখানো প্রতিষ্ঠানের এমন অবস্থা মেনে নেয়া যায় না।
শুধু আমি না, আমার অফিসের কলিগ এবং আমার প্রতিবেশি, তিনিও একই হতাশাজনক অভিঞ্জতার কথা বলেছেন।
শুধু আমার কথা বলছি:
ঘটনা ১. গত বছর গিয়ার বক্সের অর্ডার দিয়ে ২ সপ্তাহ পরেও দিতে পারেনি। আমি কম করে হলেও ৫ দিন ফোন দিয়েছি। এমন কি, স্বশরীরে গেছি ৩ দিন। আজ দিচ্ছি কাল আসবে এসব বলে শেষ ২ সপ্তাহ পার করেও দেয়নি।
তাদের এন্ট্রি খাতায় হয়ত এখনও আমার নাম ঠিকানা পাওয়া যাবে ।
ঘটনা ২. এই বছর ইঞ্জিনের কাজ করাতে আমার লেগেছে ১৬ দিন। তাও আমি নিজে গেছি ৪ দিন। আর ফোন দিয়েছি ১১ বার। তারউপর আমার ভাল স্পার্ক পেলাগ খুলে নিয়েছে।
পুরান একটা সেট করা দেখে আমি বললাম আমার আগের প্লাগ কই। আমাকে জানান হল এটাই আমার। প্রতিবাদ করাতে চুপ থাকে তারা। পরে আমাকে নতুন প্লাগের টাকা দিতে হয়েছে।
এরপর দেখলাম, ব্যাটারীর এক্সট্রা লিকুইট বের হবার একটা পাইপ থাকে, সেটাও নাই।
বাইকে নতুন ব্রেক সু লাগিয়েছিলাম সার্ভিসে দেবার ২ সপ্তাহ আগে। বাইক রিলিজ করার পর বাসায় যাবার সময় বুঝলাম ব্রেক লুজ, চাকা কাপছে। পরের দিন স্হানীয় এক ওয়ার্ক সপে গিয়ে দেখালাম। ওরা জানাল ব্রেক সু একদম ক্ষয় হয়ে গেছে। মজার কথা হল, ইঞ্জিনের সমস্যা হবার কারনে আমি ব্রেক সু লাগানোর পর তেমন চালাইনি।
তারউপর রেয়ার হুইল এ্যাডযাস্ট করা নেই, দেখলাম বাম সাইটের নাট খুলে আছে।
শেষে ইঞ্জিনের যে কাজ করাতে আমার প্রায় ৫০০০ টাকা খরচ হয়েছে ওয়াল্টন সার্ভিস সেন্টারে তা পুরাই গচ্চা। কারন এই এক মাসের মাথায়, আগের সমস্যা আবারও হচ্ছে। যাই হোক মন টা খুব খারাপ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।