শঙ্খপাপ আমার
সময়
বাম হাতের কোমলছুরি দিয়ে অ্যাকটা মরা গাছ চিরে দেখেছি,
সময় ভেসে গেছে বেণীচুলে হাওয়ার নাচে, এভাবে বয়ে যায়;
বিক্ষিপ্ত প্রকারে- সর্পিল কিংবা বৃত্তিক কিংবা সরলরৈখিক নয়; এভাবে বিক্ষিপ্ত খরগোশের লাহান চলে বলে আমরা বিভ্রমতায় ভুগি- আমরা অনেকদিনের পর্যবেক্ষণ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আজ জানালার পরনে কেউ দেয় নি মেঘের ধুতি,
আমি বসেছি তাই তিন হাত দূরে আরামচেয়ারে;
আরামচেয়ারের কারিগর চরকাঁকড়ার জন্মান্ধ এক
লোক, যার বউ পালিয়েছে গত আশ্বিনে, বসন্তের
পূর্ণিমায় সে মীনের সাথে রাত কাটায় পুকুরপাড়।
এই সব অপরিকল্পিত ভাবতে ভাবতে বিকালের
থালাবাসনে পরাবস্তব খই ভাজার প্রাক্কালে আমরা-
মানে আমি আর আরামচেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে
সময় প্রকৃত-প্রস্তাবে পৃথিবীর জামা ও হেলমেট।
যে কার্তিকে কেউ পাতা কুড়ায় নি বলে আমরা পথে ফেরা সৈনিকের ঘুম দিয়েছিলাম গোপনে, সেসব জলনামা মনে স্মরণ আসে; ঘাসের বুকে এখনো বিধ্বস্ততার চিহ্ন- হারাপ্পার ডিমের খোলস থেকে আরামচেয়ারের পা পর্যন্ত!
ঘুম না এলে কলাপাতার বুক ছুঁয়ে দিই অবোধ
ঘুম না এলে কলাপাতার বুক ছুঁয়ে দিই অবোধ
পাতার চোখে সরেস বৃষ্টিমাখন
বসে বসে মেঘের খই ভাজি, মেঘের জোনাকের
মতো জ্বলেনিভে বাতিপুরাণ, স্মৃতিচেরাগ।
ঘুম না এলে খোকাটে হয়ে লেপ্টে থাকি সবুজশয্যা
কার আঁচলে যেন সোনাডাঙাপাড়ের ঘ্রাণঘ্রাণ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।