আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হল আর কতদূর



আমরা সবাই কম বেশি বিপদে পড়ি। কখনো নিজের ভুলের জন্য আবার কখনো বা অন্যের কারণে। ছোটবেলায় ক'একবার ঢাকা আসলেও ভাল চিনতামনা। তো ২০০৩ এ ঢাকা ভার্সিটিতে পরীক্ষা দিতে আমি আর এক বান্ধবী ইভা ঢাকা আসব। আমরা ইভার বড় বোন দিবা আপুর কাছে শামসুন্নাহার হলে থাকব।

আব্বুকে রাজি করালাম-- বাস থেকে তো আমরা নামবনা। আর কাউন্টারে তো আপু থাকবেই। যাইহোক ২ বান্ধবী প্রচুর মজাকরে বিকালে মালিবাগে গাড়ী থেকে নামলাম। আপু আমাদের জন্য wait করছে। বাসে আব্বুর অফিসের ১ আন্টি ছিলেন।

তিনি ঢাবি চেনেনা। আন্টি আর আপু ১ রিক্সায় উঠল। আমি আর ইভা অন্য রিক্সায়। হঠাত জ্যামে পড়ে আমাদের রিক্সা আলাদা হয়ে গেল। রিক্সাওয়ালাকে জিজ্ঞাসা করায় বলল TSC চিনে।

সুতরাং no chinta, do furti। আমার একটা অভ্যাস আছে রাস্তার চারিপাশ দেখা। হঠাত দেখলাম সাইনবোর্ডে মতিঝিল লেখা। রিক্সাওয়ালা আমাদের কার্জনহলের পাশদিয়ে মতিঝিল নিয়ে গেছে। তখন আমাদের মোবাইল নেই।

ইভা ভয়ে জমে গেছে। এখন কি করা? ও দিকে দিবা আপুর অবস্থা নাই বললাম। ইভা রিক্সাওয়ালাকে বকা ঝকা শুরু করল। আমি আবার একটু শয়তান প্রকৃতির । আমার কেনো টেনশনই কাজ করেনি।

আমি বিশ্বাস করতাম নিকের দুর্বলতা প্রকাশ করা যাবেনা। যাইহোক, সবাইকে জিজ্ঞাসা করে রোকেয়া হলের সামনে দিয়ে গেলাম। শান্তি লাগছে। অবশেষে পৌছাঁলাম। হলের সামনে রিক্সা থামল।

ভয়ে ছিলাম,, দিবা আপু না জানি কি বকাটা দেয়। তো রিক্সা ভাড়া দিব এমন সময় তাকিয়ে দেখি বলাকা সিনেমা হল ব্যাটায় কইল আপনেরা না হলে যাইবেন এরেই কয় কপালের নাম গোপাল............................. পরে অন্য রিক্সা নিয়ে গন্তব্যে পৌছাঁলাম। ঐ সময় যদি মাথা ঠিক রাখতে না পারতাম না জানি কি বিপদে পড়তাম

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।