আমার হাতদুটো পা হয়ে গেলে আর পা হাত; তাহলে কি তুমি করমদর্নের সজ্ঞাটা পালটে দিবে
এবার উঠোনে মরিচ শুকাতে দেবো
-------------------------------------------------
হুট করে জানালার কাছে নিভন্ত মোমের শরীরে আঁচড় কেটে
ফিরে গেলো যেন কেউ; নদীলগ্ন বাতাসের ছাটে কপাটের হুড়কোতে
দুলে উঠলো আহা! মেঝের দুইখানা মুখ। সরে গেলো
নিঝুম দ্বীপের নিরক্ষর উলুবন। লালাভায়
জানি আরো তৃষ্ণা উথলে উঠবে;তাই ঠিক করেছি এবার উঠোনে মরিচ
শুকাতে দেবো;ঝড়ের বার্তা ফেরত পাঠিয়ে তার
প্রাচীন কাঠের উপর ভেসে ওঠা মুখে
ছড়িয়ে দেবো আপেলের লাল। কোনকোন পাখি উড়ে আসবে
গোপনে টেরাকোটার মসৃণ আকাশে,হলদে সুখের
পেটিকোটে উড়বে তখন সমস্ত অন্ধনৌযান। শুকানো মরিচ খেয়ে ফেলতে
পারে যেসব একচোখা পাখি,
তাদের একটা খসড়া তালিকা করে ঝুলিয়ে রাখবো সদর-দরোজার
নেমপ্লেটে।
আগত অতিথিদের চোখের ভিতর থেকে এরা তুলে আনবে
সূর্যাস্তের দৃশ্য,বালুভূমির নৈশস্কুলে ডুবন্ত চন্দ্রযানে উঠে আসবে
কুঠার ও ময়না পাখিদের ঝাঁক।
নেমপ্লেটের পাখিরাই পাহারা দিবে শুকনো মরিচের নিঃশ্চুপ উঠোন
কেননা মরিচের ভাগ নিয়ে তাদের মাঝে একটা গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে
পারে। একারণে আমাদের হাতে আরেকটি খসড়া-তালিকার খাতা থাকবে;
যেমন,
অঝোর কান্নার বটিতে মাছের কানকোতে যেসব নারী-পুরুষের মিলন
দৃশ্য ভাসে, বা একটুকরো মেঘে যেসব বিরহের নদী-নালা
ভেসে ভেসে যায় শাদা-ঘনঘোর প্লেনের মত;
আমরা এইগুলো টুকে রাখবো উঠোনের এক কোণে, মাটিতে দাগ
দিয়ে লিখে রাখবো তাদের বয়সের মাপ।
আরো টুকে রাখবো শক্তিমান পাখিগুলোর আচার ব্যবহার, দুর্বল পাখিগুলোর
আপোষের শীৎকার যারা পাতাদের সাথে ওড়ে পাতার মুখোস পরে
তাদের ঘোড়াগুলোকে ছেড়ে দিবো আমরা পাহাড়ি জঙ্গলে।
পাখিদের কুটনৈতিক চালগুলোকে আমরা
নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবো।
কেউ যেন মরিচের নাভিতে দাগ কেটে
না ঢুকতে পারে সুরা পানের চলন্ত জাহাজে।
----------------------------------------------
মুক্তি মন্ডল
ও
আল্লাইয়ার
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।