আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

(|~|) পরিবেশের হুমকি মোবাইল বর্জ্য----একটি সতর্কতামুলক পোষ্ট (|~|)



মোবাইল বর্জ্যের ডাম্পিং স্টেশন বিশ্বে বছরে ১.৫ মোবাইলের আবির্ভাব ঘটছে। চলছে অদলবদল চর্চা। শুধু যুক্তরাজ্যে প্রতি বছর ৬০ কোটি ইলেকট্রনিক পণ্য বর্জ্য হয়ে উঠছে। কারন দেশগুলির গড় মাথাপিছু আয় এতটাই সন্তোষজনক যে,বিনোদন পণ্য ব্যবহারে তারা অনেক বেশি ফ্যাশনেবল। অর্থ ব্যয় তাদের মাথাব্যথার কারন নয়।

যেমনটি উন্নয়নশীল দেশে অবাস্তব। তবে উন্নয়নশীল দেশের মানুষ উন্নত বিশ্বের মানুষের ব্যবহৃত পণ্য ব্যবহারে বেশ অভ্যস্ত তুলনামুলক কম দামে আকর্ষনীয় পণ্য প্রাপ্তিই যার প্রধান কারণ। বিফা ওয়েস্ট সার্ভিস মুখপাত্র ফিল জানান,বিশ্বের মোট ব্যবহৃত মোবাইলের মধ্যে মাত্র ১৫ % পুনরায় উৎপাদনের কাজে ব্যবহারযোগ্য। পণ্য বদলে প্রতি বছর প্রায় ৩০ কোটি ইউরো ব্যয় হয়। ফ্যাশন প্রবণতায় যার মুখ্য কারণ ।

পুরনো পণ্য বাজেয়াপ্তি বা নষ্ট করার নজির স্থাপন করে জাপানি কম্পানি ফুজিৎসু। বিপরীতে অন্য সব প্রযুক্তি নির্মাতারা বিষয়টিকে নিয়ে তেমন কোন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেনি। পেছনে যে কারণটি প্রধান বিবেচ্য তা হচ্চে ব্যবসায়িক ক্ষতির দিক। তাছাড়া ফ্যাশন নির্ভরদের অনেকেই পণ্যটি যত্রতত্র ফেলে দেয় যা পরিবেশ ক্ষতিরকারণ হয়ে দাড়ায়। মোবাইল তৈরিতে তামা,দস্তা,নিকেলসহ বহু ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহৃত হয়।

বাংলাদেশেও যে পরিমাণ মোবাইলের প্রসার হচ্ছে তাতে আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশ মোবাইল পণ্যের বর্জে ছেয়ে যাবে। পরিবেশ হয়ে পরবে মানব স্বাস্থ্যবিরোধী। আলোচিত দৃশ্যপটটি কোনভাবেই কোন ভোক্তার প্রত্যাশিত নয়। আবার সস্তা পণ্যের লোভেও যেন কোনো সাধারণ ভোক্তা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পণ্য ব্যবহারে অভ্যস্ত না হয়ে পড়েন সেদিকেও ব্যক্তিমাত্রেই নজরদারি প্রয়োজন। খেয়াল রাখতে হবে,সচেতনতাই সবুজ পৃথিবী বিপ্লবের চাবিকাঠি।

নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক ক্ষতির কথা বিবেচনায় না আনলে প্রাকৃতিক পরিবেশ হতো আরো বেশি প্রকৃতিবান্ধব ও উপভোগ্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।