আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উয়ারী-বটেশ্বর : এবার পাওয়া গেল ৪ ফুট প্রশস্ত ইটের দেয়াল



আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন নগর সভ্যতার প্রত্নস্থান উয়ারী-বটেশ্বরের প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে এবার পাওয়া গেল চার ফুট প্রশস্ত ইটের প্রাচীর। প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা এক কালে এ স্থানে উন্নত নগর বসতি গড়ে ওঠেছিল। নরসিংদী জেলার বেলাব থানার উয়ারী-বটেশ্বর গ্রামের মাটির বুক চিড়ে ধীরে ধীরে উঠে আসছে এ বিলুপ্ত নগরীর চিহ্ন। হরপ্পা সভ্যতার সমসাময়িক জনপদের রাজধানী উয়ারী-বটেশ্বর। গবেষণায় প্রমানিত এমন তথ্যকে আরো জোরদার করেছে অষ্টম ধাপের খনন কাজে সন্ধান পাওয়া প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন মানব বসতির নিদর্শনগুলো।

আর নবম ধাপে ইটের স্থাপত্য বের হয়ে আসায় নগর সভ্যতার ধারণাটি আরো সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কিছুটা দেরিতে হলেও ৬ জুন থেকে শুরু হয় উয়ারী-বটেশ্বরের নবম ধাপের খনন কাজ। নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার বারৈচা ও রায়পুরার মরজাল থেকে ১৫ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে নতুন করে চিহ্নিত হয়েছে ৪৮টি প্রত্নস্থান। ৪৯তম স্থানে পাওয়া গেল প্রাচীন সভ্যতার দুর্লভ নিদর্শন সাড়ে চার ফুট প্রশস্ত ইটের প্রাচীর। মূল দুর্গের প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে টঙ্গীরটেক গ্রামে আবিষ্কৃত এ নিদর্শনসমৃদ্ধ অতীত মানব বসতির ইঙ্গিত বহন করছে বলে ধারণা প্রত্নতত্ত্ববিদদের।

বসত বাড়ির ছাদের মতো দেখতে এ নির্দশনটি আসাম রাজার ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত চন্ডি রাজার প্রাসাদ বলেও ধারনা এলাকাবাসীর। দেশ টিভির সঙ্গে কথা বলার সময় একজন জানান, “এই উয়ারী-বটেশ্বরের চন্ডীরাজা এবং পাশের টঙ্গীরটেক এবং পাশের শাহারালি বাজার এই এলাকা হয়তো প্রাচীন এলাকার একটা নির্দশন। ” এর আগে রাঙ্গাইরটেক ও আলগারটেক এলাকায় পাওয়া যায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতার চুন সুরকির মেঝের পাশাপাশি কালো মসৃন মৃৎপাত্র, নবযুক্ত মৃৎপাত্র, ধাতব চুড়ি বা তাম্র বলাই, পোড়া মাটির চাকতি। আর এসব পূরাকীর্তি ও প্রাচীন নিদর্শন দেখতে প্রতিদিনই হাজির হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কিশোর-কিশোরীসহ বিভিন্ন বয়সীর মানুষ। এছাড়া অষ্টম ধাপের খনন করা হয় মূল পয়েন্ট থেকে চার কিলোমিটার পশ্চিমে শিবপুর উপজেলার কামরাব ইউনিয়নের ধুপিরটেক গ্রামে।

আর এ খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২৫ শিক্ষার্থী।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।