আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কস কি রে মমিন ! এসিড মারা আর গণধর্ষণ কোন অপরাধই না ?

জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই

এই ধান্দাবাজদের দেশে যা ঘটা সম্ভব তা-ই ঘটেছে। রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার নাম দিয়ে সরকারী দলের লোকজনের মামলা থেকে বাঁচিয়ে দেয়ার যেই সংগ্রাম ও আন্দোলন (!) (আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো সব ধরনের কাজকর্মকে সংগ্রাম ও আন্দোলন বলতে অভ্যস্ত, এমনকি টয়লেটে যাওয়াও...) বর্তমানে সরকারী দলটি করছে, সেই সংগ্রাম ও আন্দোলনের সর্বশেষ ফলাফল এটা। জেলায় জেলায় কমিটি হয়েছে। সেই কমিটির লোকজন বলে দিচ্ছে কোন মামলা হয়রানিমূলক। তারাই জানে কে দোষী, কে নির্দোষ !!!!! আইনত এই রকম কোন কমিটি করা যায় কি না আমরা জানি না।

বিচার বিভাগ স্বাধীন বলে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে উনারা এই রকম কমিটির উপর দায়িত্ব দিয়েছেন । তারা সরকারী দলের লোকজনকে নির্দোষ বলবে। তারা সরকারী দলের লোকজনকে নির্দোষ বানাতে শুরু করেছে। এমনকি যারা এসিড মেরেছে তারাও নির্দোষ। যারা গণধর্ষণ করেছে তারাও নির্দোষ।

যারা জালিয়াতি করেছে তারাও নির্দোষ। এই নির্দোষ বলার জন্য উনার পকেট ভর্তি করে মালও নিয়েছেন। ভয়াবহ আশংকার কথা হল, এই উদাহরণ ভবিষ্যতের সরকারগুলো ব্যবহার করতে শুরু করবে। ৫ বছর পর বিএনপি ক্ষমতায় এসে তাদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করে নেবে। ফলে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা যা কিছুই করুক না কেন, আমরা আম-জনতা কখনই তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারব না এবং আমাদের বিরুদ্ধে তাদের অপরাধের কোন বিচারও পাব না।

নিশ্চিত। মজার ব্যাপার হল, বিরোধী দলে যারা আছেন তারা রাজনীতি করলেও এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। তারা বিরোধীদল বলেই শাস্তি ভোগ করবেন। এক দেশে বাস করেও আইন সবার জন্য সমান নয়। আর আমরা ভুদাই জনগণ নির্বাক দর্শকের মতো চাইয়া চাইয়া দেখুম।

যত দিন পর্যন্ত আমার নিজের বোন এসিডে না পুড়বে এবং আমার স্ত্রী গণধর্ষণের শিকার না হবে, তত দিন পর্যন্ত মনে করব, এটা রাজাবাদশাদের ব্যাপার, আমার মতো আম-জনতার ওখানে মাথা ঘামানোই ভাল। ভয়ংকর এক তুঘলকি শাসনের মধ্যে আছি আমরা। ভয়ংকর খবরটি এখানে একদিকে ক্রসফায়ার, অন্যদিকে দণ্ড মওকুফ - বিচার বিভাগের দরকার কী ?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।