প্রাইমারী স্কুলে পড়াকালীন সময়। টিং টিং টিং ...টিংটিংটিংটিংটিংটিং...।
সোজা লাফ দিয়ে দৌড়। টিফিন টাইম। এক দৌড়ে বাসায়।
এক ঘন্টার জন্য ব্রেক। ছোট্ট মফস্বলে সে স্কুল টু বাসার দুরুত্বের সেই পাচ মিনিট পথও যেতাম বিশ মিনিটে। বন্ধুদের সাথে প্যাচাল ক্যাচাল আরো কত কাহিনী। সেখান থেকে আলোচনার পর মাঝে মাঝে ইচ্ছে করতো হোটেলে খেয়ে যাই।
কিন্তু ওই ছোট বয়সে হোটেলে খাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় টাকার স্বল্পতা এবং বাসায় গিয়ে না খেলে মায়ের কঠিন চেহারার কথা ভেবে তা আর করা হয়ে ওঠেনি কখনো।
হাই স্কুল লাইফে সে রিস্ক বহুবার নিয়েছে। একটা সময় নানা অসুবিধার কথা বলে বাবাকে ম্যানেজ করে দুপুরে হোটেলে টিফিন ব্যাবস্থা হোটেলেই করতে সক্ষম হয়েছিলাম।
আহা! সে কি স্বাদ।
বয়সের অপরিপক্কতা আর উন্মাদনার সে কী সময়। আরেপিত আনন্দের সেই হোটেলে খাওয়াটা আরোপিতভাবেই উপভোগ করতাম।
বছর পাঁচেক হয়ে গেছে চাকরী করি। দুপুর হলেই মনটা খারাপ হয়ে যায়।
বক্সে করে খাবার আনতে পারিনা। ভাল্লাগেনা।
বাসায় চলে যেতে ইচ্ছে করে।
মনে হয়, বাসায় গিয়ে খেয়ে আসি।
অফিসের আশেপাশের মোটামুটি সবগুলো ভালো হোটেলেই পর্যায়ক্রমে খাই।
কিন্তু স্বাদ আর লাগে না। বিস্বাদ খাবার খেতে খেতে যেন ভেতরে চর পড়ে যাচ্ছে।
ছোট বেলার জন্য আফসোস আর এখন দাঁত পড়ে গেছে তাই দাঁতকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়।
পত্রিকায় চাকরীর সুবাদে অনেকসময় দুপুরে বাসায় চলে আসা যায়।
তাই প্রতিদিন দুতিনবার মায়ের ফোন, বাসায় আসবি?
অধিকাংশ সময়ে 'না' বলতে হয়।
যেদিন যেতে পারি সেদিন যেন ভেতরে সামহোয়ার ইন সরি বাধ ভাঙ্গার আওয়াজ শুনতে পাই।
আহ আমার ঘর।
যতই হোটেল ঘরোয়া হোক আর ঘরোয়া পরিবেশ, বাড়ীর মতো সে খাবার কে দিতে পারে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।