কালের শপথ
আমি শংকিত আগামী দিনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কি ক্র্যাচে ভর দেয়া ঠুটো জগন্নাথে পরিণত হতে যাচ্ছে কিনা? ১/১১ এর পরে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রে দুটি বছরে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তিকে শূন্যের কোঠায় আনার পর নতুন অ্যাসাইনমেন্টে পিলখানা হত্যাকান্ডের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর নিরাপরাধ ও চৌকস ৫৫ জন সামরিক অফিসার নিহত হওয়ায় এমনিতেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাঠামো ভয়ানক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। কারন নিহতদের মাঝে দুই জন ব্রিগেডিয়ার, ১৬ জন কর্নেল, ১১ ল্যাফটেন্যান্ট, ২৩ মেজর আর ২জন ক্যাপ্টেন ছিলেন। একজন আর্মি অফিসার তৈরী করতে একটি দেশকে কি পরিমাণ কাঠখড় পোহাতে হয়, তা একজন সাধারন মানুষও তা উপলদ্ধি করতে পারেন।
সর্বশেষ পিলখানার ঘটনার জের ধরে এবং ক্যান্টমেন্টে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিতব্য দরবারে বক্তব্য রাখার কারনে শৃঙ্খলা ভঙ্গের নামে বিভিন্ন ভাবে সেনাবাহিনীর আরও প্রায় ১০০ জন সামরিক অফিসারকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত অথবা ডিমোশন করা হচ্ছে!
গত পরশু ইতোমধ্যে একজন ব্রিগেডিয়ারসহ সাতজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আরও ৩৭ জন কে খুব শিঘ্রই বরখাস্ত করা হচ্ছে এবং ৯ জন কে ব্রিগেডিয়ার থেকে ক্যাপ্টেন পদে ডিমোশন দেয়া হয়েছে।
বিদায়ের শেষ মুহূর্তে জেনা. মঈন সরকারের সাথে আঁতাত করে এসবের কাগজে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের রক্ষক সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব শূণ্য করে সাড়ে চৌদ্দ্টা বাজানোর মহান কর্ম প্রায় সমাপ্ত করে গেছেন। সম্প্রতি এক ভিআইপি কূটনীতিকের বাসায় আরও ৬জন রাষ্ট্রদূতের সাথে এক গোপন বৈঠকে একমাত্র বাংলাদেশী হিসাবে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্যও অর্জন করেছেন মঈন ইঊ।
আমি বিএনপি-আওয়ামী লীগ-জামায়াত বুঝিনা। বাংলাদেশকে যে ভালোবাসে, এদেশের পতাকাকে যে ভালোবাসে, দেশের জন্য সামান্য দায়িত্ববোধ ফিল করে, তার বিবেক সেনাবাহিনীকে পরিকল্পিতভাবে নিঃশেষ করে দেয়ার এ ঘটনা কি করে মেনে নিতে পারে? এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কত বছর লাগবে কে জানে? আদৌ সম্ভব হবে কিনা, আমার বোঝার সাধ্য নেই। সাধারন নাগরিক হিসাবে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এ দৃশ্য দেখা আর নিন্দা জানানো ছাড়া আর কিইবা করার আছে আমাদের, বলতে পারেন? আজকে সেনাবাহিনীর উপরে মানুষের যে ক্ষোভ, অসহিষ্ণুতা, তা কি মঈণ ইউ'র উচ্চাভিলাষ আর চক্রান্তের ফসল নয়? আমার কয়েকজন আত্মীয় ও পরিচিত আর্মি অফিসার আছেন, যাদের প্রত্যেকেই সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তার উচ্চাভিলাষী মনোভাবকে দায়ী করেছেন।
সকলেই অকপটে দায়ী করেন পিলখানা হত্যাকান্ড এড়াতে তার ব্যর্থতাকে।
হায়রে দুঃখীনি দেশ! দুঃখীনি মা! আর কতো মীরজাফর আর মঈন ইঊ-দের জন্ম দিবি, যারা তোর অস্তিত্ব নিয়ে টানা হেচড়া করে?
থুঃ মীরজাফর! থুঃ মঈন ইউ! থুঃ মঈন ইউ'র সাঙ্গপাঙ্গদের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।