লিখতে তো দেখি ভালোই লাগে.......
আজ অফিস আসলাম ৯:০০টারও কিছু আগে। নানা ৯:০০টা না আগের টাইমে তো আট টা! ইসস কি যে কষ্ট হচ্ছে না, এই ভোর বেলা উঠে অফিসে দৌড় লাগাতে হচ্ছে। আমি বরাবরই একটু ঘুমকাতুরে ছিলাম। ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠতে আমার যত আপত্তি। আমার স্কুল শুরু হতো ৭:৪৫ মিনিটে।
ঠিক ৭:৪৫ মিনিটে স্কুলের প্রধান ফটক বন্ধ হয়ে যেত। তো আম্মা আমাকে ডাকতে ডাকতে ডাকতে ডাকতে বহু কষ্টে ৭:০০টার দিকে ঘুম হতে উঠাতে পারতো। তারপর আমার দৌড় ছুটাছুটি আর কে দেখে যেন আমি কতই সিনসিয়ার, কিছুতেই স্কুলে দেরি করে ঢুকা যাবেনা। কোন মতে আধা পেটা খেয়ে কোন কোন দিন না খেয়ে ছুটতে ছুটতে স্কুলে যেতাম। রিক্সাওলাকে বলতাম প্লেনের গতিতে রিক্সা চালাতে।
কিন্তু রিক্সার প্লেনের গতিও মাঝে মাঝে ফেল মেরে যেত। অতঃপর গেইটের বাইরে অপরাধীর মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গেইটের ভিতরে সুখী বন্ধুদের অ্যাসেম্বলী দেখা ছাড়া ১/২ মিনিটের জন্য আটকে পড়া এই অসুখী হতভাগাদের আর কিছুই করার থাকত না। যেদিন সময়ের মধ্যে গেইট পার হতে পারতাম সেদিন বুঝতে পারতাম আসলেই গেইটের ভিতরের পাখি গুলো কতটা সুখী । শাস্তিটাও কিন্তু নেহায়েত কম ছিলোনা। হয় পুরো একঘন্টা রোদে দাড়িয়ে থাকা অথবা নীল ডাউন করে থাকা, অথবা বড় সিস্টারের হাতে কয়েক পিস বেত।
আজ আমার কাছে কেমন যেন স্কুলে যাওয়ার অনুভুতির মতো মনে হল অফিস আসাটা। আজই প্রথম অফিসের গাড়িতে অফিস আসা। ড্রাইভারের আগে থেকেই বলা আছে আপা এক মিনিটও দেরি করা যাবেনা। আপনারা একজন ৫ মিনিট করে দেরি করলে আমার ৪০ মিনিট দেরি হয়ে যাবে। তো গাড়ি আসার আগেই রেডি হওয়া এবং আসার সাথে সাথে গাড়িতে উঠা আসলেই পেইন।
ভাইরে ভাই যাদের স্কুল ৭:০০ টা কিংবা ৮:০০ টায় তাদের কি অবস্থা আল্লাহ জানে। বেচারাদের ৬:০০টায় স্কুলের জন্য দৌড়াতে হবে। ভাগ্যিস আমাদের সময় সরকারের মাথায় এই ভুত চাপে নাই। নাহলে আমি যে দুই একদিন সঠিক সময়ে স্কুলে গিয়ে সুখী বন্ধুদের কাতারে দাড়াতে পারতাম তখন তাও পারতাম না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।